ঢাকা সোমবার, ১৪ জুলাই ২০২৫

Motobad news
শিরোনাম
  • যুক্তরাষ্ট্র ও মালয়েশিয়ায় বেনজীরের সম্পদ ক্রোক, ব্যাংক হিসাব ফ্রিজ বিএনপি এখন চাঁদাবাজদের দলে পরিণত হয়েছে: নাহিদ ইসলাম বরিশালে জাল টাকা ও বিপুল পরিমাণ ইয়াবাসহ আটক ৪ দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া: ভোলার ১০ রুটে লঞ্চ চলাচল বন্ধ বরগুনা জেলা নির্বাচন অফিসে আগুন, পুড়েছে গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র সাঈদ-মুগ্ধদের ‘জাতীয় শহীদ’, ড. ইউনূসকে ‘জাতীয় সংস্কারক’ ঘোষণা কেন নয় বরিশালের ৬টি আসনে ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থী ঘোষণা মিটফোর্ডে হত্যার শিকার সোহাগের পরিবারের পাশে বিএনপি পিরোজপুরে পথসভা থেকে ফেরার সময় এনসিপি নেতার ওপর হামলা ঝালকাঠিতে এনসিপির পদযাত্রায় বৈষম্যবিরোধী ব্যানারে বাধা দেয়ার অভিযোগ
  • এক লঞ্চঘাট ইজারা দিল দুই প্রতিষ্ঠান

    এক লঞ্চঘাট ইজারা দিল দুই প্রতিষ্ঠান
    গুগল নিউজে (Google News) দৈনিক মতবাদে’র খবর পেতে ফলো করুন


    পটুয়াখালীতে পন্টুনবিহীন ঘাট ইজারা নিয়ে সরকারি দুই প্রতিষ্ঠানের মধ্যে বিরোধ চলছে। একই ঘাট ইজারা দিয়েছে দুই প্রতিষ্ঠান। স্থান-অবস্থান ঠিক থাকলেও শুধু নামের পরিবর্তন করে এ ঘাটের ইজারা দেওয়া হয়। বিআইডব্লিটিএ এর নিয়োগকৃত ইজাদার ঘাট বুঝে পেয়ে মাশুল (টাকা) আদায় করছে। তবে জেলা প্রশাসনের নিয়োগকৃত ইজারাদার সরকারি কোষাগারে ধার্যকৃত টাকা জমা দিয়েও ঘাট বুঝে পাননি। তিনি ঘাট পেতে চিঠি নিয়ে ঘুরছেন বিভিন্ন দফতরে। 

    সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী উপজেলার ফেলাবুনিয়া পন্টুনবিহীন লঞ্চঘাট জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে ইজারা আহ্বান করা হলে পটুয়াখালী সদর উপজেলার নন্দিপাড়া  গ্রামের সিদ্দিকুর রহমান সর্বোচ্চ দরদাতা হিসেবে ২০২১ সালের ২১ মার্চ পন্টুনবিহীন লঞ্চঘাটির ইজারাদার নিযুক্ত হন। ২৫ মার্চ তিনি সরকারি কোষাগারে ইজারার নির্ধারিত টাকা জমা দেন। কিন্তু ওই একই স্থানে বিআইডব্লিউটিএ কর্তৃপক্ষ পন্টুন স্থাপন করে দেড় লাখ টাকায় সাসির উদ্দিনের কাছে ঘাট ইজারা দেয় এবং তিনি বর্তমানে টাকা উত্তোলন করছেন। এমন পরিস্থিতিতে ক্ষতিগ্রস্ত ওই ব্যক্তি জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে যোগাযোগ করে দীর্ঘ ৯ মাসেও কোনো প্রতিকার পাননি। 

    ঘাট ইজারা নেওয়া সিদ্দিকুর রহমান বলেন, জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে আমি ঘাট ইজারা পাই। সরেজমিন দেখি বিআইডব্লিউটিএ ঘাটের নাম পরিবর্তন করে পন্টুন দিয়ে ইজারা দিয়েছে। তখন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) স্যারের কাছে দেখা করলে তিনি রাঙ্গাবালী উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে ঘাট বুঝাইয়া দেওয়ার জন্য বলেন। আমরা তার সঙ্গে এ ব্যাপারে ছয়বার দেখা করলেও তিনি কোনো পদক্ষেপ নেননি। পরবর্তীতে এডিসি স্যারের সঙ্গে দেখা করলে তিনি ইউএনও স্যারকে কারণ দর্শানোর চিঠি দিলেও তিনি গ্রাহ্য করেননি। 

    তিনি আরও বলেন, আমি ঘাট ইজারা নিয়ে ঘাট বুঝেও পেলাম না, টাকাও পেলাম না। চিঠিতেই চলে গেল ৯ মাস। এ কারণে আমি আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হলাম।

    রাঙ্গাবালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাশফাকুর রহমানকে কয়েকবার মোবাইলে কল দেওয়া হলেও তিনি কল রিসিভ করেননি।

    পটুয়াখালী বিআইডব্লিউটিএর সহকারী পরিচালক ও নদীবন্দর কর্মকর্তা মহিউদ্দিন খান বলেন, বিআইডব্লিউটিএ সরকারি বিধি মোতাবেক ঘাট ইজারা প্রদান করেছে। দেড় লাখ টাকা ইজারা মূল্যে এটি ইজারা দেওয়া হয়েছে। জেলা প্রশাসন কীভাবে ইজারা দিয়েছিল সেটি আমার দেখার বিষয় নয়।

    এ বিষয়ে পটুয়াখালীর অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মোহাম্মদ ওবায়দুর রহমান বলেন, ঘাটটি বুঝিয়ে কেন দেওয়া হয়নি এজন্য রাঙ্গাবালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে প্রতিবেদন দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। যেহেতু সে দেয়নি সে কারণে তাকে আবারো চিঠি দেওয়া হবে। প্রতিবেদন পেলে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।


    এসএম
    গুগল নিউজে (Google News) দৈনিক মতবাদে’র খবর পেতে ফলো করুন

    সর্বশেষ