ঢাকা রবিবার, ০৭ ডিসেম্বর ২০২৫

Motobad news

আমতলীতে ঝুপড়ি ঘরে অসহায় সুফিয়ার বসবাস, জোটেনি সহায়তা

আমতলীতে ঝুপড়ি ঘরে অসহায় সুফিয়ার বসবাস, জোটেনি সহায়তা
গুগল নিউজে (Google News) দৈনিক মতবাদে’র খবর পেতে ফলো করুন

বরগুনা আমতলী উপজেলায় ভাঙা টিনের চালার ঝুপড়ি ঘরে অসহায় বিধবা সুফিয়া বেগমের বসবাস, ভাগ্যে জোটেনি সরকারি বেসরকারি কোন সহায়তা। অনাহারে দিন কাটে অসহায় সুফিয়া বেগমের। স্থানীয় মেম্বারের দ্বারে দ্বারে ঘুরে অনেকটাই ক্লান্ত এ বিধবা নারী সুফিয়া বেগম।

উপজেলার আঠারগাছিয়া ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ডের পূর্ব সোনাখালী গ্রামের মৃত্যু তোজম্বর হাওলাদারের স্ত্রী সুফিয়া বেগম। দুই ছেলে এবং এক মেয়ে থাকলেও কেউ খোঁজ রাখেননি, স্বামীকে হারিয়েছেন গত ৩০ বছর আগে। মাকে ফেলে দুই ছেলে ছলেমান ও সেলিম স্ত্রী সন্তানদের নিয়ে অন্যত্র আলাদাভাবে সংসার করছেন। তার এমন বিপদে এগিয়ে আসেননি জন প্রতিনিধিরাও। এখন পর্যন্ত তার ভাগ্যে জোটেনি বিধবা ভাতা, ভিজিডি কার্ড কিংবা মাথা গোঁজার মতো ঠাঁই একটা ঘর।

বৃহস্পতিবার ২৭  জানুয়ারী বিধবা সুফিয়া বেগমের বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, কোনো রকমের ভাঙ্গাচোরা টিন দিয়ে তৈরি ছোট একচালা একটি ঝুপড়ি ঘরে বসবাস করছেন। নেই ঘরের বেড়া, যেদিন রাতে বৃষ্টি আসে সেদিন বিছানার এক কোণে বসে অথবা অন্যের বাড়িতে গিয়ে রাত কাটান তিনি। বৃষ্টির পানিতে সব কিছু ভিজে যায়। বর্তমানে মানবেতর জীবন-যাপন করছেন। জানতে চাইলে কান্নাজড়িত কণ্ঠে সুফিয়া বেগম বলেন, আমার খোঁজখবর নিয়া কি হইবে, দীর্ঘদিন অসুখে থাইকা মারা গেছে স্বামী।
শুধুমাত্র বসত ভিটা টুকু ছাড়া অন্য কোনো সহায়-সম্পদ রেখে যাননি, তাও আবার নদী ভাঙ্গনে বিলীন হয়ে গেছে। এখন অন্যর  পতিত জমিতে এলাকাবাসীর সহযোগিতায় একটা ঝুপড়ি ঘর তুলে সেখানে বসবাস করছেন। ছেলেরাও আমার খোঁজ রাখে না, অন্যের বাড়ীতে কাজ-কাম কইরা বাইচা আছি। ঈদ-কোরবানি কতকিছু যায় কোন মেম্বার চেয়ারম্যান সহযোগিতা করেনা। করোনার সময় ২৫০০ করে টাকা পাইসে সবাই, গত বছরে মেম্বারের কাছে গিয়ে কত বলছি আমার একটা নাম দিতে, কিন্তু মেম্বার আমার নাম দেয় নাই।

প্রতিবেশী আর্শেদ খান জানান, বৃষ্টি-বাদলের দিন খুব কষ্ট হয় এই বিধবা সুফিয়া বেগমের। সুফিয়া অতি দরিদ্র হলেও তার ভাগ্যে জোটেনি বিধবা ভাতা ও একটা সরকারি ঘর।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় একাধিক ব্যক্তি জানান, টাকার বিনিময়ে বয়স্ক ভাতা, বিধবা ভাতার কার্ড দিচ্ছে। সরকারি বিভিন্ন প্রকল্পের অর্থ লুটেপুটে খাচ্ছে মেম্বার ও নেতারা। গরীব অসহায় মানুষগুলো সরকারি কোনো সহায়তা পাচ্ছে না।

ইউপি সদস্য মোঃ নাসির উদ্দীন মোল্লা বলেন, সুফিয়া বেগম আসলেই অসহায়, তার সরকারী সহযোগিতা পাওয়া উচিৎ।
আঠারোগাছিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ রফিকুল ইসলাম রিপন বলেন, খোঁজ নিয়ে জরুরী ভিত্তিতে সুফিয়া বেগমের ব্যাপারে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

এ ব্যাপারে আমতলী উপজেলা নির্বাহী অফিসার একেএম আব্দুল্লাহ বিন রশিদ বলেন, খোঁজ খবর নিয়ে সুফিয়া বেগমকে মুজিব বর্ষের একটি ঘর জমিসহ দেয়া হবে।

 


এমবি
গুগল নিউজে (Google News) দৈনিক মতবাদে’র খবর পেতে ফলো করুন