ঢাকা রবিবার, ০৭ ডিসেম্বর ২০২৫

Motobad news

আমতলীতে সরকারি খাল ইজারা নিয়ে কৃষকদের ভোগান্তিতে ফেলার চেষ্টা

আমতলীতে  সরকারি খাল ইজারা নিয়ে কৃষকদের ভোগান্তিতে ফেলার চেষ্টা
গুগল নিউজে (Google News) দৈনিক মতবাদে’র খবর পেতে ফলো করুন

বরগুনার আমতলীতে নৌকার প্রভাব খাটিয়ে সরকারি খাল ইজারা নিয়ে  সাধারণ কৃষকদের চরম ভোগান্তিতে ফেলছেন কথিত নৌকার কর্মী রাশেদুল ইসলাম রেজাউল। জানা গেছে রাশেদুল ইসলাম রেজাউল আমতলী উপজেলা নির্বাহী অফিসার কার্যালয় থেকে  হলদিয়া ইউপির কুলাইরচর গ্রামের  দুষমী সাবানিয়া খালটি বাংলা ১৪২৮ থেকে ১৪৩০ পর্যন্ত তিন বছর মেয়াদি লিজ নিয়ে মাছচাষ না করে মিথ্যা মামলা দিয়ে উক্ত এলাকার সাধারণ কৃষকদের হয়রানি করার অভিযোগ উঠেছে।

এলাকার কৃষক মান্নান খান বলেন, এই রাশেদুলের বাড়ী টেপুরা সে কুলাইর চর গ্রামে এসে এক প্রভাবশালী  চাকুরীজীবির ইন্ধনে  এ খাল লিজ নিয়েছেন।  কৃষক জামাল খা বলেন, আমরা কৃষকরা এই খালের ইজারা বাদ দেওয়ার জন্য আমরা দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন করে আসছি।কিছু মিডিয়ায় দেখলাম নির্বাচনে নৌকার পক্ষ  করায়  রাসেদেুল খাল ইজারা নিয়ে ভোগদখল করতে পারছেনা। এটা ডাহা মিথ্যা কথা।  আমাদের চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান মিন্টু মল্লিক উপজেলা শ্রমিকলীগের সভাপতি বরিশাল বিভাগে সবচেয়ে বেশি ভোট পেয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। তার সুনাম ক্ষুন্ন করার জন্য একটি প্রভাবশালী চক্র রাসেদুলের মাধ্যমে মিথ্যা প্রপাগান্ডা ছড়াচ্ছেন। এ খালের লিজ বাতীলের জন্য আমরা কৃষকরা আন্দোলন করছি। আর দুর্নাম ছড়ানো হচ্ছে চেয়ারম্যানের নামে। এই প্রপাগান্ডার বিরুদ্ধে আমরা কৃষকরা ঐক্যবদ্ধ হয়ে  খালের লিজ বাতীলের জন্য আন্দোলন চালিয়ে যাবো।

কৃষকরা জানান, দুষমী সাবানিয়া খালের দুইপাড়ের কয়েক শত একর তিন ফসলী কৃষি জমি রয়েছে। উক্ত দুষমী সাবানিয়া খালের পানিদ্বারা কৃষকরা শুকনো মৌসুমের রবিষস্য, মৌসুমি ফসল তরমুজ, মুগডাল, চিনা বাদাম, মিষ্টি আলুসহ বোরো-ইরি ধানের চাষাবাদ করেন। গত দুই বছর ধওে উক্ত এলাকার রাশেদুল ইসলাম (রেজাউল) উপজেলা নির্বাহী অফিসার কার্যালয় থেকে বাংলা ১৪২৮ সাল থেকে ১৪৩০ সাল পর্যন্ত দুষমী সাবানিয়া খালের লিজ নিয়ে মাছ চাষ করছেন এবং কৃষকদের ঐ খালের পানি কৃষি কাজে ব্যবহার করতে দিচ্ছেননা। কৃষকরা তরমুজ ও ইরী মৌসুমে খালের পানি ব্যবহার করতে গেলে কৃষকদেরকে মারধর ও মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করছেন রাশেদুল ইসলাম রেজাউল।

এমনকি এলাকার কৃষকদের গরু ছাগলকে পানি পান করাতে দিচ্ছেননা। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী কৃষকদের বিরুদ্ধে পরপর ৪টিমিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করারও অভিযোগ রয়েছে রেজাউলের বিরুদ্ধে, ইতি পূর্বে রাশেদুল এর দায়ের কৃত মিথ্যা মামলায় কয়েকজন কৃষক হাজতবাসও করেছেন। এ ঘটনায় কৃষকদের মধ্যে চরম ক্ষোভ বিরাজ করছে। তারা অবিলম্বে খালের লিজ বাতিল, মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার ও লিজ গৃহীতা রাশেদুলের বিচার দাবি করছেন কৃষকরা । হলদিয়া ইউপির কুলাইরচর এলাকার ইউপিসদস্য মোঃ জিয়াউল ইসলাম জোসেফ তালুকদার বলেন এই খালটি লিজ দেওয়ায় কৃষকরা জমি চাষাবাদ করতে পারছেন না। কৃষক জামাল খান, মান্নান খান,  বাবুল মোল্লা বলেন খালের লিজ বাতিল না করলে কৃষকরা মাঠে মরা যাবে।

সরকারী দুষমী (সাবানিয়া) খালটির পানি কৃষকের জমি চাষাবাদে খুবই প্রয়োজন। ওই খালের পানি দিয়েই এলাকার কৃষকরা তাদের জমি চাষাবাদ করে থাকেন। ওই খালের ইজারা বাতিলের জন্য কৃষকরা জেলা প্রশাকর বরাবরে লিখিত আবেদন করেছেন। আমি আশা করবো উপজেলা প্রশাসন ওই খালের ইজারা বাতিল করে এলাকায় শান্তি বিরাজ করার ব্যবস্থা করবেন।

উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোঃ নাজমুল ইসলাম মুঠোফোনে বলেন, ইউএনও স্যারের নির্দেশে আমি গতকাল সরেজমিনে সরকারী দুসমী (সাবানিয়া) খালটি তদন্তের জন্য পরিদর্শন করেছি। দ্রুত তদন্ত রিপোর্ট জমা দেবো।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ আবদুল্লাহ বিন রশিদ মুঠোফোনে বলেন, সরকারী দুষমী (সাবানিয়া) খালটির ইজারা বাতিলের জন্য ডিসি স্যারের কাছে দেওয়া অভিযোগের বিষয় তদন্ত করার জন্য এ্যাসিল্যান্ডকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।

 

 


এইচকেআর
গুগল নিউজে (Google News) দৈনিক মতবাদে’র খবর পেতে ফলো করুন