অনিয়ম ঢাকতে বাউফলে রাতের আঁধারে সড়ক ঢালাই


পটুয়াখালীর বাউফলে অনিয়ম ধামাচাপা দিতে রাতের আঁধারে একটি কার্পেটিং সড়কের ঢালাই দেয়া হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। বিষয়টি নিয়ে এলাকায় তোলপাড় চলছে। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ২০১৭-১৮ইং অর্থ বছরে দেড় কোটি টাকা ব্যয়ে উপজেলার কনকদিয়া ইউনিয়নের বীরপাশা বাজার থেকে কুয়েত মসজিদ পর্যন্ত ২ দশমিক ২২ কিলোমিটার কার্পেটিং সড়ক নির্মাণের উদ্যোগ নেয় স্থাণীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি)। নির্মাণকাজ শুরুর পর নির্মাতা প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ ওঠে। শুরুতেই সড়কটির বেড কেটে স্থানীয় পুকুর ও ডোবা থেকে অবৈধভাবে ড্রেজিং করে কাদা মিশ্রিত স্যান্ড ফিলিং করা হয়।
এরপর সাববেজ, এজিন ও ম্যাকাডাম নির্মাণের ক্ষেত্রে নিম্মমানের ইট ব্যবহার করা হয়। ম্যাকাডাম তৈরির পর রোলার দিয়ে কমপ্যাক করার সময় পুরো বেড ডাষ্ট হয়ে যায়। অনিয়মের বিষয়টি এলাকাবাসী মৌখিকভাবে প্রকল্প তদারকির দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তাকে একাধিকবার অবহিত করলেও তিনি কর্ণপাত করেননি। এলাকাবাসীর তীব্র প্রতিবাদের মুখে ওই ডাষ্টের উপর গত দুই রাত তড়িঘড়ি করে সড়কটির কার্পেটিং করা হয়।
বুধবার সরেজমিন পরিদর্শনকালে এলাকাবাসী সাংবাদিকদের কাছে সড়কটি নির্মাণের ক্ষেত্রে পদে পদে অনিয়মের অভিযোগ তুলে ধরেন। স্থানীয় বাসিন্দা মো. সুমন (৩২) ও মোতাহার মোল্লা (৬০) বলেন,‘গত দুই দিন সন্ধ্যা থেকে রাত দেড়টা পর্যন্ত মুঠোফোনের লাইট জ্বালিয়ে রাস্তা নির্মাণের কাজ করা হয়েছে। তাড়াহুড়ো করে কোন রকম কাজ শেষ করেন শ্রমিকেরা।
তারা বলেন, পুকুর ও ডোবা থেকে অবৈধ ড্রেজার দিয়ে কাদা মিশ্রিত বালু উত্তোলনের পর রাস্তা ভরাট করা হয়। এজিনে দেয়া হয় নিম্নমানের ইট। খোয়া ছিল চুলোর মাটির মত। প্রাইমকোটে সামান্য পরিমানে বিটুমিন ছিটিয়ে দেওয়া হয়। সিলকোট ঢালাই এখনই উঠে যাচ্ছে। অনিয়মের অভিযোগ অস্বীকার করে নির্মাতা প্রতিষ্ঠান মহিউদ্দিন আজাদ অ্যান্ড জেবি’র প্রতিনিধি এনামুল হক বলেন, সিডিউল মেনে কাজ করা হয়েছে। প্রকল্পটি তদারকির দায়িত্বে থাকা বাউফল এলজিইডির সার্ভেয়ার জহিরুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, সঠিক নিয়মে কাজ হয়েছে। অভিযোগ সত্য নয়।
উপজেলা প্রকৌশলী মো. সুলতান হোসেন বলেন,‘রাতের আঁধারে কাজের বিষয়ে আমি কিছু জানি না।
পটুয়াখালী এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী জিএম সাহাবুদ্দিন বলেন, অভিযোগ তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এসএমএইচ
