পাথরঘাটায় শিশুসহ ৩০ জনকে আহত করল কুকুর

বরগুনার পাথরঘাটায় বেওয়ারিশ কুকুরের কামড়ে নারী ও শিশুসহ ৩০ জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। কুকুরে কামড়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৫ জন।
রোববার বিকেল থেকে সোমবার রাত পর্যন্ত পাথরঘাটা পৌর শহরের বিভিন্ন জায়গায় কুকুরের আক্রমণে ৩০ জন আহত হয়েছে।
পাথরঘাটা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা গেছে, আহতদের মধ্যে ৫ জনের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় পাথরঘাটা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। আহতদের মধ্যে চার বছরের এক শিশুও রয়েছে। এছাড়াও উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে কুকুরের আক্রমণে আহতরা স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
পৌর শহরের বাসস্ট্যান্ড এলাকার বাসিন্দা পরিমল চন্দ্র শীল জানান, সোমবার সকালে বাজার করতে যাওয়ার পথে একটি কুকুর হঠাৎ এসেই পা কামড়ে দেয়। এতে পায়ের গোড়ালি থেতলে গেছে।
উপজেলার টেংরা এলাকার মো. আব্দুল্লাহ জানান, গতকাল রোববার বিকেলে আমার চার বছরের ছেলে বাড়ির বাইরে খেলছিল। এসময় একটি কুকুর এসে রিফাতকে আক্রমণ করে। কুকুরে কামড়ে রিফাতের শরীরের বিভিন্ন জায়গায় ক্ষত হয়ে গেছে। এ ঘটনায় ছেলেকে হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়েছে।
পৌরসভার ৪নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা নাসির হোসেন বলেন, সকালে বাসা থেকে বের হয়ে সদর রোডে ওঠার সঙ্গে সঙ্গে একটি কুকুর আমাকে ধাওয়া করে। আমি দৌড়ে পাশের একটি দোকানে আশ্রয় নেই। এমন অবস্থায় আমরা সাধারণ মানুষরা আতঙ্কিত।
পাথরঘাটা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্মকর্তা ডা. সাইফুল হাসান বলেন, গত দুই দিনে পাথরঘাটা উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে প্রায় ৩০ জন কুকুরের কামড়ে আহত রোগী চিকিৎসা নিতে এসেছেন। এদের মধ্যে অনেকেই প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে চলে গেছেন। হাসপাতালে ভর্তি শিশুটির অবস্থা গুরুতর।
এ বিষয়ে পাথরঘাটা উপজেলা প্রাণিসম্পদ অধিদফতরের কর্মকর্তারা চিকিৎসক অরবিন্দ দাস জানান, আমরা ধারণা করছি কুকুরগুলো জলাতঙ্কে আক্রান্ত। তাই যাকে তাকে কামড়ে দিচ্ছে। শিগগিরই প্রশাসন ও পৌর কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে শহরের বেওয়ারিশ কুকুরগুলোকে ভ্যাকসিন প্রদানের ব্যবস্থা করা হবে।
কুকুর নিধন বন্যপ্রাণী আইনে দণ্ডনীয়। তবে কুকুরগুলোকে ভ্যাকসিনের আওতায় আনা যেতে পারে বলে জানিয়েছেন পাথরঘাটা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হোসাইন আল মোহাম্মদ মুজাহিদ।
এসএম