আমতলীতে ডিজিটাল সেন্টারের সেবায় উপকৃত মানুষ

সরকারের বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা গ্রামীন পর্যায়ের সাধারণ মানুষের দোড়গোড়ায় পৌঁছে দেয়ার সর্বনিম্ন সরকারী প্রতিষ্ঠান হচ্ছে ইউনিয়ন পরিষদ। এটি তৃণমুল পর্যায়ের সাধারণ মানুষের সবচেয়ে কাছের সরকারী প্রতিষ্ঠান। ইউনিয়ন পরিষদে স্থাপিত তথ্য ও প্রযুক্তিভিত্তিক কেন্দ্র ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টার পরিষদকে আরও উন্নত এবং আধুনিক করেছে।
বর্তমানে মানুষকে আর সেবার জন্য দ্বারে দ্বারে ঘুরতে হচ্ছেনা, বরং সেবাই পৌঁছে যাচ্ছে মানুষের কাছে। ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টার স্থাপনের ফলে সাধারণ লোকজন এখন অতি সহজে সরকারী ও বেসরকারী ঝামেলাহীনভাবে সুবিধা ভোগ করছেন।
এই সেন্টারের উল্লেখযোগ্য সরকারী সেবাসমূহগুলো হলো, অনলাইনে জন্ম-মৃত্যু নিবন্ধন, জীবন বীমা, নাগরিক সনদ, নাগরিক আবেদন, ভিজিএফ-ভিজিডি তালিকা, পাবলিক পরীক্ষার ফলাফল, জমির পর্চা, পল্লী বিদ্যুতের বিল পরিশোধ, সরকারী ফরম ইত্যাদি।
মঙ্গলবার (আমতলী উপজেলার সদর ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টারের বিভিন্নসেবা প্রান্তিক মানুষ কিভাবে পাচ্ছে তা দেখতে গিয়ে দেখা যায় সেবা গ্রহিতা মহিষডাঙ্গার নাইম বিল্লাহ বলেন,আমি চাকুরীর জন্য আবেদন করছি, কোন ঝামেলা ছাড়াই । কম্পিউটারের দোকোনে বসে থাকতে হয়নি দিতে হয়নি অতিরিক্ত টাকাও । আমরা হয়রানী ঘুষ দুটো থেকেই বেচে গেছি। আমরা খুশি। প্রত্যন্ত অঞ্চলের এসব প্রান্তিক মানুষ ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টারের সেবা নিয়ে এখন যাবতীয় কাজ করছে।
আমতলী সদর ইউনিয়ন ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টারের উদ্যোক্তা মিঠুন জানান, আমতলী সদর ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টারের মাধ্যমে সাধারন নাগরিকগণ এখন সহজে, কম খরচে ও ঝামেলাহীনভাবে সরকারি-বেসরকারি সেবা ইউডিসি থেকে পাচ্ছে।
ইউপি চেয়ারম্যান মো. মোতাহার উদ্দিন মৃধা বলেন, ‘জনগণের দোড়গোড়ায় সেবা’ শ্লোগানকে সামনে রেখে ইউডিসির যাত্রা ইউডিসি প্রতিষ্ঠার ফলে সমাজ ও রাষ্ট্র ব্যবস্থার প্রতিটি ক্ষেত্রে একটি অবাধ তথ্য প্রবাহ সৃষ্টি করা সম্ভবপর হয়েছে, যেখানে মানুষকে আর সেবার জন্য দ্বারে দ্বারে ঘুরতে হচ্ছে না, বরং সেবাই পৌঁছে যাচ্ছে মানুষের দোরগোড়ায়।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা একএম আব্দুল্লাহ বিন রশিদ বলেন, ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টারের সেবা মানুষ এখন এলাকায় বসে পাচ্ছে। আমরা উদ্যোক্তাসহ সেবা গ্রহীতাদের যে সমস্যা সাথে সাথে সমাধানের চেস্টা করে থাকি।
এসএমএইচ