ঢাকা রবিবার, ০৭ ডিসেম্বর ২০২৫

Motobad news

পাথরঘাটায় মাদ্রাসা সুপারের বিরুদ্ধে নিয়োগ বানিজ্যের অভিযোগ

পাথরঘাটায় মাদ্রাসা সুপারের বিরুদ্ধে নিয়োগ বানিজ্যের অভিযোগ
কাঠালতলী দাখিল মাদ্রাসা
গুগল নিউজে (Google News) দৈনিক মতবাদে’র খবর পেতে ফলো করুন

বরগুনার পাথরঘাটা কাঠালতলী দাখিল মাদ্রাসার সুপার শরীফ মুহাঃ আব্দুর রহমানের বিরুদ্ধে নিয়োগ বানিজ্যের অভিযোগ পাওয়া গেছে। মাদ্রাসায় নতুন সৃষ্ট কোঠায় দু’টি পদে নিয়োগ বানিজ্যে ১৬ জন আবেদনকারীর কাছ থেকে ২৮ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। এদের মধ্যে সর্বোচ্চ টাকা প্রদান কারিদের নিয়োগ দেয়ায় ১৪ জন আগ্রহী আবেদন কারী মাদ্রাসার ক্লাশ রুমে আজ বুধবার বেলা ১২ টা সময় সুপারের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করেন।

এ সময় শতাধীক গ্রামবাসী উপস্থিত ছিলেন। তবে নিয়োগকারিদের কাছ থেকে স্কুলের বাউন্ডারী দেয়ার জন্য কিছু টাকা নেয়ার কথা স্বীকার করেছেন মাদ্রাসা সুপার। এ ব্যাপারে সুপারের বিরুদ্ধে পাথরঘাটা উপজেলা নির্বাহী অফিসার হুসাইন আল মুজাহিদের কাছে অভিযোগ দেয়া হয়ছে।

অভিযোগ কারিদের মধ্যে খলিলুর রহমান, বাকিবিল্লাহ্, রিয়াজুল ইসলাম জানান, পাথরঘাটা কাঠালতলী দাখিল মাদ্রাসার সুপার শরীফ মুহাঃ আব্দুর রহমান ২০২০ সালে ২৮ ডিসেম্বর সৃষ্ট পদে মাদ্রাসার নিরাপত্তাকর্মী ও আয়ার জন্য লোক নিয়োগে একটি পত্রিকায় নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেন।

ওই বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে আমরা স্থানীয় নারী ও পুরুষ ১৬ জনে আবেদন করি। করোনার কারনে গত দেড় বছর ধরে নিয়োগ প্রক্রিয়া বন্ধ থাকে। এই সময়ের মধ্যে চাকরি দেয়ার নাম করে আবেদনকারী প্রত্যেকের কাছ থেকে ২ থেকে আড়াই লাখ টাকা করে নেয় মাদ্রাসা সুপার। যাহা অনেক আবেদনকারীর কাছে ফোন রেকর্ডও রয়েছে।

পরে পূর্বের আবেদনের প্রেক্ষিতে ২০২১ সালের ২৫ জুন লিখিত ও মৌখিক পরিক্ষার জন্য বরগুনা জেলা শিক্ষা কার্য্যালয় ডাকা হয়। এসময় মাদ্রাসা সভাপতি উপস্থিত না হওয়ায় পরিক্ষা না নিয়েই সকলকে চলে যেতে বলেন। পরে নিয়োগ বোর্ডের সদস্যদের ম্যানেজ করে গোপনে নিরাপত্তা কর্মী হিসাবে মোঃ রফিকুল ইসলাম ও আয়া পদে সুমি আক্তারকে নিয়োগ দেয়।

তারা নিয়োগের ৭ মাস পার হয়ে গেলেও লোক জানাজানির ভয়ে কেহ মাদ্রাসায় দায়ীত্ব পালন করেনী। পরে চলতি বছরে বেতন কাঠামো শুরু হলে অবৈধ ভাবে নিয়োগের বিষয়টি সকলে জেনে জায়। যাদের চাকরী হয়নী তারা সুপারের কাছে টাকা চাইতে গেলে সুপার আব্দুর রহমান স্থানীয় আ’লীগ নেতা ও ওই মাদ্রাসার সভাপতি হুমায়ুন কবিরের মাধ্যমে সবাইক ভয়ভিতি প্রদর্শন করছেন।

এ ব্যাপারে মাদ্রাসা সভাপতি ও উপজেলা আ’লীগের কৃষি বিষয়ক সম্পাদক হুমায়ুন কবির জানান, সুপার টাকা নিছে তাতে কি হয়েছে। পরবর্তীতে তাদেরকেও (যাদের চাকরী হয়নী) নিয়োগ দেয়া হবে।

পাথরঘাটা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুহাম্মাদ হোসাইন আল মুজাহিদ অভিযোগের বিষয়টির সত্যতার কথা স্বীকার করে বলেন, আমি গোপনে খোঁজ খবর নিচ্ছি, সত্যতা পেলে সুপারের বিরুদ্ধে বিধি অনুযায়ী ব্যাবস্থা নেয়া হবে।


কেআর
গুগল নিউজে (Google News) দৈনিক মতবাদে’র খবর পেতে ফলো করুন