ঢাকা শনিবার, ০৬ ডিসেম্বর ২০২৫

Motobad news

আমতলীতে কৃষি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের ভবন নির্মানে অনিয়মের অভিযোগ

আমতলীতে কৃষি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের ভবন নির্মানে অনিয়মের অভিযোগ
গুগল নিউজে (Google News) দৈনিক মতবাদে’র খবর পেতে ফলো করুন

আমতলী উপজেলা পরিষদের অভ্যন্তরের কৃষকদের প্রশিক্ষনে জন্য হল রুম কাম দ্বিতল অফিস ভবন নির্মানের কাজে দুর্নীতি এবং অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে। ভবনটি নির্মান হলেও আনুসাঙ্গিক কাজের দোহাই দিয়ে দেড় বছরেও হস্তার করছে না ঠিকাদার। এ অবস্থায় কৃষি বিভাগ ভাঙ্গা টিনের ঘরে প্রশিক্ষণ ও অফিস করছেন কর্মকর্তা কর্মচারীরা। 

জানা গেছে, আমতলী উপজেলায় কৃষকদের জন্য প্রশিক্ষণ কেন্দ্র কাম কৃষি অফিসারের কার্যালয়ের জন্য একটি দ্বিতল ভবন বরাদ্দ করে বরগুনার গনপূর্ত অধিদপ্তর। ভবনটির নির্মান ব্যায় ধরা হয় দেড় কোটি টাকা। দরপত্রের মাধ্যমে  ভবন নির্মানের কাজ পায় চট্টগ্রামে ইউনুস এন্ড ব্রাদার্সের ঠিকাদর মো. ইউনুস মিয়া। তার নিকট থেকে ভবন নির্মানের কাজ কিনে নেন সাব ঠিকাদার পটুয়াখালীর ফিরোজ মিয়া। ২০১৮ সালের প্রথম দিকে ভবনটি নির্মান কাজ শুরু করেন সাব ঠিকাদর। তবে তিনি ভবন নির্মানে নানা ধরনের অনিয়মের আশ্রয় নেন। নিম্ন মানের ইট, মরিচা ধরা লোহার রড এবং সিমেন্টের পরিমান কম দিয়ে ভবনটি নির্মান করেছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।

ভবন নির্মানের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত কৃষি কর্মকর্তাকে কোন কিছু জানানো হয়নি। তাকে অন্ধকারে রেখে সকল কাজ করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেন কৃষি কর্মকর্তা। ভবনটি নির্মান করা হলেও মূল গেটের ফটক এবং উত্তর পাশের একটি কালভার্টসহ সংযোগ সড়ক সিডিউলে ধরা থাকলেও তা এখনো করা হয়নি। ভবনে নিম্ন মানের রং ব্যবহারের কারনে হস্তান্তরের আগেই ভবনের ভিতরের রং উঠে যাচ্ছে।  ভবনটিতে এখনো বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া হয়নি। এনিয়ে ঠিকাদার এবং গনপূর্ত বিভাগের সাথে যোগাযোগ করা হলেও কোন সারা পাচ্ছে না কৃষি বিভাগ। এছাড়াও উত্তর এবং পশ্চিম পাশে একটি সীমানা প্রচীর নির্মানের কথা থাকলেও তা বাকী রয়েছে এখনো। 

এবিষয়ে সাব ঠিকাদার মো. ফিরোজ মিয়া বলেন, ভবন নির্মানে কোন অনিয়মের আশ্রয় নেওয়া হয়নি। ভবনের সব কিছু ঠিকমত এবং সিডিউল অনুযায়ী নির্মান করা হয়েছে। যে কাজ বাকী আছে তা শেষ করে অচিরেই ভবনটি হস্তান্তর করা হবে। 

আমতলী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সিএম রেজাউল করিম বলেন, ভবন নির্মানের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত আমাকে কোন কিছু জানায়নি। এমনকি কত টাকা বরাদ্দ কি ধরনের কাজ হবে তাও জানায়নি। ভবন নির্মানে নিম্ন মানের ইট, খোয়া এবং মরিচা ধরা লোহার রড ব্যবহার করা হয়েছে এবং সিমেন্টর পরিমান কম দেওয়া হয়েছে। 

এ ব্যাপারে গণপূর্ত অধিদপ্তরের প্রকৌশলীর নিকট এবং ঠিকারের সাথে বারবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাদের সাথে কোন কথা বলা যায়নি। এবং বরাদ্দের বিষয়টিও জানা জায়নি। ভবনটি নির্মান কাজ শেষ হয়েছে দেড় বছর আগে এখনো হস্তার করা হয়নি। তিনি  আরো অভিযোগ করে বলেন ভবনে এখনো বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া হয়নি। উত্তর পাশে কালভার্ট এবং সংযোগ সড়ক ও দুই পাশের সীমানা প্রচীর নির্মান করা হয়নি।

বরগুনার গণপূর্ত অধদপ্তরের প্রকৌশলী  সুব্রত বিশ্বাস বলেন, নিময় অনুযায়ী ভবন নির্মান করা হয়েছে। এখনো যে কাজ বাকী রয়েছে তা অবশ্যই করে দেওয়া হবে। তবে ভবন নির্মানের পরও কেন হস্তান্তর করা হচ্ছে না এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, অতি দ্রæত কাজটি শেষ করে ভবন হস্তান্তর করা হবে।


এমইউআর
গুগল নিউজে (Google News) দৈনিক মতবাদে’র খবর পেতে ফলো করুন