সেই পলাতক চেয়ারম্যান ফুলের মালা দিয়ে জেলা পরিষদে

দ্রুতবিচার আইনে দীর্ঘদিন পলাতক থাকা সেই স্বতন্ত্র ইউপি চেয়ারম্যান মোশাররফ হোসেন ৭ দিন জেলহাজতে থাকার পর মঙ্গলবার জামিনে মুক্তি পেয়েছেন। মুক্তির পর ফুলের মালা গলায় দিয়ে মিছিলসহকারে বরগুনা জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান দেলোয়ার হোসেনের চেয়ারের পাশে বসেন।
মঙ্গলবার সকালে বরগুনার জেলা ও দায়রা জজ মো. হাসানুল ইসলাম জামিনে মুক্তির আদেশ দিয়েছেন। এর আগে দ্রুতবিচার আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট মো. নাহিদ হোসেনের আদালতে বুধবার মোশাররফ হোসেনকে জেলহাজতে প্রেরণের আদেশ দেন।
মোশাররফ হোসেন বরগুনা সদর উপজেলার ৫ নম্বর আয়লা পাতাকাটা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান।
জানা যায়, গত বছরের ১২ জুন বেলা অনুমান ২টার দিকে ওই ইউনিয়নের পূর্ব কেওড়াবুনিয়া গ্রামে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী এম মজিবুল হক কিসলুর সমর্থকদের ওপর মোশাররফ হোসেন ও তার সমর্থকরা হামলা করে ১৩টি মোটরসাইকেল ভাংচুর, একটি মোটরসাইকেলে অগ্নিসংযোগ ও মজনুকে কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করে।
পরে নৌকার প্রার্থী বাদী হয়ে ১৩ জুন বরগুনা থানায় ১৩২ জনকে আসামি করে একটি মামলা করে। সেই মামলায় কিছু আসামি জামিনে গেলেও চেয়ারম্যান দীর্ঘদিন ৭ মাস পলাতক ছিলেন।
মামলার বাদী বলেন, চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অপর দুইটি মামলাও আছে। সেই মামলায় হাজির হলেও দ্রুতবিচার আইনের মামলায় হাজির না হয়ে ৭ মাস পলাতক থাকেন। বুধবার সকালে চেয়ারম্যান মোশাররফ হোসেন আদালতে হাজির হলে তার জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করেন দ্রুত বিচার আদালত।
মোশাররফের আইনজীবী মজিবুর রহমান বলেন, জামিন পেয়ে আমরা খুশি।
এইচকেআর