ঋণ পরিশোধ করেও জেলে যেতে হলো ব্যবসায়ীকে

বরগুনার বেতাগীতে অগ্রণী ব্যাংকের ঋণের টাকা পরিশোধ করেও অর্থ ঋণ আদালত আইনে দায়ের করা সার্টিফিকেট মামলায় জেলে ঢুকলেন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী নুরুল হক। এ ঘটনায় এলাকায় তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে।
বুধবার সন্ধ্যায় পৌর শহরের শহীদ মিনার এলাকায় তার দোকান থেকে নুরুল হককে গ্রেফতার করে পুলিশ। বৃহস্পতিবার সকালে বরগুনায় আদালতে প্রেরণ করা হয়।
ডেথ রেফারেন্সের কারণে আদালত বন্ধ থাকায় তার বের হওয়া আর হয়নি। শুক্র ও শনিবার দুদিন সরকারি সাপ্তাহিক ছুটি থাকায় আগামী রোববার জেল থেকে মুক্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে তার আইনজীবী সূত্রে এমনটাই জানা গেছে।
ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের দাবি ব্যাংকের ঋণ পরিশোধ ও মামলা উত্তোলন খরচ দেওয়ার পরেও অগ্রণী ব্যাংকের বেতাগী শাখা ব্যবস্থাপক মো. শাহআলমের গাফিলতি ও ভুলের কারণে তাদের এ খেসারত গুনতে হচ্ছে। বিনা অপরাধে জেল খাটতে হচ্ছে।
জানা গেছে, ২০১৩ সালে ভোগ্যপণ্য ঋণ হিসেবে ১ লাখ টাকা গ্রহণ করেন নুরুল হক। ২ হাজার ৩০০ টাকা মাসিক কিস্তি হিসেবে দিয়ে আসার পর এক পর্যায় ব্যর্থ হওয়ায় ২০১৭ সালে অর্থ ঋণ আদালত আইনে গ্রাহক নুরুল হকের বিরুদ্ধে সার্টিফিকেট মামলা হয়। ২০২১ সালের ফ্রেরুয়ারি মাসে ৫৫ হাজার ৫০০ টাকা সন্বয়ের মাধ্যমে ঋণ পরিশোধ করেন এবং স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের মধ্যস্থতায় মামলা উত্তোলন খরচ বাবদ সঙ্গে বাড়তি ৪ হাজার টাকা শাখা ব্যবস্থাপকের কাছে প্রদান করেন।
নুরুল হকের স্ত্রী হালিমা বেগম অভিযোগ করেন, ব্যাংক কর্তৃপক্ষের গাফিলতি ও ভুলের কারণে তাদের খেসারত দিতে হচ্ছে। বিনা অপরাধে তার স্বামীকে জেল খাটতে হচ্ছে। সংশ্লিষ্টদের কাছে ক্ষতিপূরণসহ তিনি এর সুষ্ঠু প্রতিকার দাবি করেন।
বেতাগী থানার অফিসার ইনচার্জ মো. শাহআলম হাওলাদার জানান, ঋণ সংক্রান্ত মামলার ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি হওয়ায় তাকে গ্রেফতারের পর বরগুনায় কোর্টে পাঠানো হয়েছে।
গাফিলতির অভিযোগ অস্বীকার করে অগ্রণী ব্যাংকের বেতাগী শাখা ব্যবস্থাপক মো. শাহআলম বলেন, ‘এ বিষয় ব্যাংক কর্তৃপক্ষের কোনো দায়বদ্ধতা নেই। মামলায় গ্রাহক হাজিরা না দেওয়ার কারণে তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়।
এসএমএইচ