আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স: ডাক্তার সংকটে সেবাবঞ্চিত রোগীরা

বরগুনার আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রয়োজনীয় চিকিৎসক ও জনবল না থাকায় চিকিৎসাসেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন রোগীরা। অপারেশন থিয়েটার ও আধুনিক যন্ত্রপাতি থাকা সত্বেও ছোট-বড় কোনো অপারেশন করা হয় না। নিরুপায় হয়ে রোগীরা পার্শ্ববর্তী কোনো ক্লিনিক বা প্রাইভেট হাসপাতালে যেতে বাধ্য হন।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা যায়, কনসালটেন্টের ৮টি পদের ৮জনই শুণ্য রয়েছে। মেডিকেল অফিসারের ৮টি পদের মধ্যে পাঁচ জন মেডিকেল অফিসাররের পদ খালি রয়েছে।
একদিকে যেমন জনবল সংকট অন্যদিকে অপারেশন থিয়েটার ও আধুনিক যন্ত্রপাতিগুলো সঠিকভাবে রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে নষ্ট হতে চলেছে। অযত্ন-অবহেলায় ফেলে রাখার কারণে ধুলো-বালি পড়ে সরকারের দেয়া আধুনিক সব যন্ত্রপাতি নষ্ট হওয়ার উপক্রম। এ ছাড়া হাসপাতালে আল্ট্রাসনোগ্রাফির ব্যবস্থা থাকলেও মেশিনটি ৫ মাসের ঊর্ধ্বে নষ্ট হয়ে পড়ে আছে বলে জানা যায়।
স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীরা নানা অভিযোগ করে বলেন, এখানে চিকিৎসাসেবার মান নিম্নমানের। সময়মতো কোনো কিছুই পাওয়া যায় না।
এদিকে বহিঃবিভাগে রোগীরা লম্বা লাইনে দাঁড়িয়ে থাকার পরও সেবা না পেয়ে ফিরে যান। অল্পতেই রোগীদের রেফার করা হয় আশপাশের স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলোতে। হাসপাতালের পরিবেশ এতটাই নোংরা যে রোগী সুস্থ হওয়ার পরিবর্তে অসুস্থ হয়ে যায়। অপরিষ্কার টয়লেট, নেই কোনো বিশুদ্ধ পানির ব্যবস্থা।
স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আরএমও ডা: সুমন খন্দর জানান, সঠিক জনবল না থাকায় এখানে সেবা নিতে আসা রোগীদের অভিযোগ আছে। ইতিমধ্যে বিষয়টি কর্তৃপক্ষকে অবগত করা হয়েছে।
অপারেশন থিয়েটার ও আধুনিক যন্ত্রপাতি থাকা সত্বেও কোনো অপারেশন কিংবা আল্ট্রাসনোগ্রাফি করানো হয় না কেন? এমন প্রশ্নে জবাবে তিনি বলেন, এ সকল জায়গায় চিকিৎসক না থাকায় এখানে কোনো অপারেশন করানো হয় না।
আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মোনায়েম সাদ মুঠোফোনে বলেন, ইতিমধ্যে বিষয়টি কর্তৃপক্ষকে অবগত করা হয়েছে।
এমইউআর