ঢাকা মঙ্গলবার, ০৮ জুলাই ২০২৫

Motobad news

স্থায়ীভাবে এইচআইভি মুক্ত হলেন প্রথম নারী

স্থায়ীভাবে এইচআইভি মুক্ত হলেন প্রথম নারী
গুগল নিউজে (Google News) দৈনিক মতবাদে’র খবর পেতে ফলো করুন

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, চিকিৎসায় ব্যবহৃত পদ্ধতিটি এইচআইভি আক্রান্ত বেশিরভাগ মানুষের জন্যই ঝুঁকিপূর্ণ। যুক্তরাষ্ট্রের একজন রোগী দৃশ্যত স্থায়ীভাবে এইচআইভি থেকে মুক্ত হয়েছেন। জানা মতে, তিনি এইচআইভিমুক্ত হওয়া বিশ্বের মাত্র তৃতীয় ব্যক্তি এবং প্রথম নারী। এইচআইভি ভাইরাসের কারণে প্রাণঘাতী এইডস রোগ হয়ে থাকে।

চিকিৎসার অংশ হিসেবে এইচআইভি ভাইরাসের স্বাভাবিক প্রতিরোধ ক্ষমতা থাকা এক ব্যক্তির কাছ থেকে তার স্টেম সেল প্রতিস্থাপন করা হচ্ছিল। তিনি টানা গত ১৪ মাস ধরে ভাইরাসমুক্ত আছেন।
এ ঘটনাটি মঙ্গলবার যুক্তরাষ্ট্রের ডেনভারে একটি মেডিকেল কনফারেন্সে উপস্থাপন করা হয়। এইচআইভি কার্যকরভাবে নিরাময়ে পদ্ধতিটির এটিই প্রথম ব্যবহার বলে জানা গেছে।  

ক্যান্সারের চিকিৎসার অংশ হিসেবে নারী রোগীটির নাভির সঙ্গে যুক্ত নাড়ির রক্ত প্রতিস্থাপন করা হয়। তখন থেকে তাকে আর এইচআইভি চিকিৎসার জন্য প্রয়োজনীয় অ্যান্টিরেট্রোভাইরাল থেরাপি নিতে হচ্ছে না।

এ ঘটনাটি এইচআইভি আক্রান্ত ব্যক্তিদের নিয়ে একটি বৃহত্তর মার্কিন গবেষণার অংশ। ক্যান্সারসহ গুরুতর রোগের চিকিৎসার জন্য  তাদের একইভাবে রক্ত ​​প্রতিস্থাপন করা হয়েছে।

প্রতিস্থাপিত করা কোষগুলোর মধ্যে একটি নির্দিষ্ট জেনেটিক মিউটেশন হয়েছে যে কারণে সেগুলো আর এইচআইভিতে সংক্রমিত হয় না। বিজ্ঞানীরা মনে করছেন, এর  ফলে চিকিৎসাটির গ্রহীতাদের শরীরের নিজস্ব রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা এইচআইভি ঠেকানোর সক্ষমতা অর্জন করতে পারে।

এর আগের দুই পুরুষ রোগী এইচআইভি মুক্ত হয়েছিলেন অন্য পদ্ধতিতে। অস্থিমজ্জা প্রতিস্থাপনের মাধ্যমে তাদের শরীরে প্রাপ্তবয়স্ক স্টেম সেল প্রবিষ্ট করা হয়েছিল।  

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, নাভির সঙ্গে যুক্ত নাড়ির রক্ত সংশ্লিষ্ট যে প্রতিস্থাপন পদ্ধতি এ চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়েছে তা এইচআইভি আক্রান্ত বেশিরভাগ মানুষের জন্যই ঝুঁকিপূর্ণ। কাজেই এটি এখনো কোনো নিশ্চিত চিকিৎসা নয়।  

তবে ইন্টারন্যাশনাল এইডস সোসাইটির প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত শ্যারন লিউইন বলেন, ‘এটি প্রমাণ করেছে যে কোন একদিন এইচআইভির নিরাময় সম্ভব হবে এবং জিন থেরাপি এজন্য একটি কার্যকর কৌশল। ’


গুগল নিউজে (Google News) দৈনিক মতবাদে’র খবর পেতে ফলো করুন