ঢাকা মঙ্গলবার, ১৫ জুলাই ২০২৫

Motobad news
শিরোনাম
  • বিচারক রকিবুল ইসলামকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানালেন পিপি কাজী বসির উদ্দিন যুক্তরাষ্ট্র ও মালয়েশিয়ায় বেনজীরের সম্পদ ক্রোক, ব্যাংক হিসাব ফ্রিজ বিএনপি এখন চাঁদাবাজদের দলে পরিণত হয়েছে: নাহিদ ইসলাম বরিশালে জাল টাকা ও বিপুল পরিমাণ ইয়াবাসহ আটক ৪ দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া: ভোলার ১০ রুটে লঞ্চ চলাচল বন্ধ বরগুনা জেলা নির্বাচন অফিসে আগুন, পুড়েছে গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র সাঈদ-মুগ্ধদের ‘জাতীয় শহীদ’, ড. ইউনূসকে ‘জাতীয় সংস্কারক’ ঘোষণা কেন নয় বরিশালের ৬টি আসনে ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থী ঘোষণা মিটফোর্ডে হত্যার শিকার সোহাগের পরিবারের পাশে বিএনপি পিরোজপুরে পথসভা থেকে ফেরার সময় এনসিপি নেতার ওপর হামলা
  • বাউফলে ভূমি কর্মকর্তার কাছে রক্ষিত মেবাইলফোন গায়েব

    বাউফলে ভূমি কর্মকর্তার কাছে রক্ষিত মেবাইলফোন গায়েব
    গুগল নিউজে (Google News) দৈনিক মতবাদে’র খবর পেতে ফলো করুন

    পরীক্ষার কক্ষে মেবাইলফোন রাখার দায়ে দুই পরীক্ষার্থীকে বহিস্কার করা হয়। ওই মেবাইলফোন দুটি উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) নিয়ে যান। পরীক্ষা শেষে দেওয়ার কথা থাকলেও দীর্ঘদিন অতিবাহিত হলেও মুঠোফোন দুটি দেওয়া হয়নি। এখন বলা হচ্ছে পাওয়া যাচ্ছে না।

    এমন ঘটনা ঘটেছে পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলা সদরের ছালেহিয়া ফাজিল মাদ্রাসা আলিম পরীক্ষা কেন্দ্রের ২০২১ সালের ২১ ডিসেম্বর হাদিস শরীফ বিষয়ের পরীক্ষায়। ওই  দুই পরীক্ষার্থীর নাম মো. মোস্তাফিজুর রহমান ও মো. বায়েজিদ রহমান। মোস্তাফিজ উপজেলার কালাইয়া রব্বানিয়া ফাজিল মাদরাসা থেকে ও বায়েজিদ বাউফল ছালেহিয়া মাদ্রাসা থেকে আলিম পরীক্ষায় অংশ নিয়েছে।

    খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, মেবাইলফোন জব্দ ও বিতরণের তালিকায় ওই দুই পরীক্ষার্থীর নাম নাই। কিন্তু ওই দুই পরীক্ষার্থীকে বহিস্কারের কারণ উল্লেখ করা মুঠোফোন রাখার অপরাধে।

    বহিস্কৃত পরীক্ষার্থী মো. মোস্তাফিজুর রহমানের বাবা মো. রুহুর আমিন বলেন, অনলাইনে পাঠদানের জন্য ২৪ হাজার টাকা দিয়ে একটি অ্যানড্রয়েট মুঠোফোন কিনে দেই। যার মডেল রিয়ালমি-৮। মুঠোফোনটি ভুলবশত পরীক্ষার কক্ষে নিয়ে যায়। আর সেই অপরাধে আমার ছেলেকে বহিস্কার করা হয়েছে। পরবর্তীতে মুটোফোনটি পাওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসহ অ্যাসিল্যান্ড- মহোদয়ের কাছে গেলে তিনি আবেদন করতে বলেন। গত ১ জানুয়ারি লিখিত আবেদন করেছি। দেই দিচ্ছি বলে ঘুরাতে থাকে। সর্বশেষ গত বুধবার জানিয়ে দেওয়া হয় তাঁর ছেলের মুঠোফোনটি পাওয়া যাচ্ছে না। একই কথা বলা হচ্ছে বায়েজিদকেও। তাঁর মুঠোফোনটিও অ্যানড্রয়েট।

    নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক পরীক্ষার্থী বলেন,‘যে দুটো মুঠোফোন দামী ছিল। সেই দুটো মুঠোফোনই গায়েব করা হয়েছে।’

    ওই কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও ওই মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মো. নজিরুল হক বলেন,‘পরীক্ষা চলাকালীন পরিদর্শনে যান উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. বায়েজিদুর রহমান। তিনি সাত পরীক্ষার্থীর কাছে মুঠোফোন পাওয়ায় ও তিন পরীক্ষার্থী অসদুপায় অবলম্বনের দায়ে মোট দশ পরীক্ষার্থীকে বহিস্কার করেন এবং মুঠোফোনগুলো তিনি নিয়ে যান। মোস্তাফিজুর ও বায়েজিদকে মুঠোফোন রাখার অপরাধে বহিস্কার করা হয়েছে।’

    উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. বায়েজিদুর রহমান বলেন, ‘কারো মুঠোফোন গায়েব হওয়ার কোনো সুযোগ নাই। মুঠোফোনগুলো জব্দ করে তাঁর কার্যালয়ের নাজিরের কাছে রেখেছি। সেখান থেকে মালিকানা যাছাই করে মুঠোফোনগুলো ফেরত দেওয়া হচ্ছে। তবে মুঠোফোনগুলো সরকারি মালখানায় জমা দিয়ে দিলেই ভালো হত। তাহলে কোনো ঝামেলা থাকত না।’

    উপজেলা ভূমি কার্যালয়ের নাজির মো. রাসেল হোসেন বলেন,‘দুটো মুঠোফোন ছাড়া সব মুঠোফোন ফিরিয়ে দেওয়া আছে। যে দুটো মুঠোফোন আছে তা বাটোন সেট। আর ওই তালিকায় মোস্তাফিজুর রহমান ও বায়েজিদ রহমান নামে কারো নাম নাই।’


    এমইউআর
    গুগল নিউজে (Google News) দৈনিক মতবাদে’র খবর পেতে ফলো করুন

    সর্বশেষ