বেতাগীর ১৪৬ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কলাগাছের শহিদ মিনার


রাষ্ট্রভাষা বাংলা প্রতিষ্ঠার ৭০ বছর পরেও বরগুনার বেতাগী উপজেলার অধিকাংশ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভাষা শহিদদের স্মরণে শহিদ মিনার নেই। ফলে ভাষা দিবসে কোথাও বাঁশ বা কাঠ, কোথাও কলাগাছ ও মাটি দিয়ে অস্থায়ী শহিদ মিনার নির্মাণ করে সেখানে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়।
এবারো একইভাবে শহিদ মিনার নির্মাণ করে সেখানেই পুষ্পস্তবক অর্পণ করতে হবে। অথচ এ উপজেলায় ১৮৬টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মধ্যে মাত্র ৪০টিতে শহিদ মিনার রয়েছে।
বাকি ১৪৬টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কলাগাছ দিয়ে শহিদ মিনার সাজিয়ে উদযাপন করা হবে। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার ১২৯টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বদনীখালী, বাসন্ডা ও পূর্ব কাউনিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ মাত্র ১৬টি বিদ্যালয়ে শহিদ মিনার থাকলেও ১১৩টি বিদ্যালয়ের কোথাও শহিদ মিনার নেই।
সূত্র থেকে আরও জানা যায়, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পযার্য়ে আসমত আলী, কাউনিয়া, আখতার মোর্শ্বেদ কৃষি কলেজ, বেতাগী টেকনিক্যাল অ্যান্ড বিজনেস ম্যানেজমেন্ট কলেজ, কাউনিয়া বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়, পশ্চিম করুনা মাধ্যমিক বিদ্যালয়, ফুলতলা বিকাশ মাধ্যমিক বিদ্যালয়, মোকামিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়, রানীপুর খোন্তাকাটা নিন্মমাধ্যমিক বিদ্যালয়, সবুজ কানন মাধ্যমিক বিদ্যালয়, ভোড়া আর্শ্বেদিয়া জুনিয়র মাধ্যমিক বিদ্যালয়সহ ১১টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে প্রতিষ্ঠার দীর্ঘদিনেও শহিদ মিনার নির্মাণ করা হয়নি। এছাড়াও মাদ্রাসা পর্যায়ে ২২টি প্রতিষ্ঠানে এখনো কোথাও শহিদ মিনার নেই। স্থানীয় বাসিন্দা আসাদুজ্জামান রিপন জানান, শহিদদের স্মৃতি রক্ষার্থে প্রতিটি প্রতিষ্ঠানে শহিদ মিনার নির্মাণ বাধ্যতামূলক করা প্রয়োজন। সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শহিদ মিনার নির্মাণ করা হলে কোমলমতি শিশু ও ছোট ছোট ছেলেমেয়েরা ভাষা আন্দোলনের ব্যাপারে জানতে আরও আগ্রহ প্রকাশ করবে।
এ বিষয় উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান বলেন, সরকারি বিধিমোতাবেক মাতৃভাষা দিবস উদযাপনের জন্য উপজেলার সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ইতোমধ্যে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. শহীদুর রহমান বলেন, সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শহিদ মিনার নির্মাণ করতে সরকারের পাশাপাশি স্কুল কর্তৃপক্ষের এগিয়ে আসা উচিত। তবে এ বছর সরকারি নিদের্শ মোতাবেক স্বাস্থ্যবিধি মেনে উদযাপন করা হবে।
এইচকেআর
