ঢাকা শনিবার, ০৬ ডিসেম্বর ২০২৫

Motobad news

আমতলীতে পৌর মেয়রের হস্তক্ষেপে নিজেদের তৈরি করা শহীদ মিনারে শিশুদের শ্রদ্ধা

 আমতলীতে পৌর মেয়রের হস্তক্ষেপে নিজেদের তৈরি করা শহীদ মিনারে শিশুদের শ্রদ্ধা
গুগল নিউজে (Google News) দৈনিক মতবাদে’র খবর পেতে ফলো করুন

বরগুনার আমতলী পৌরসভার মেয়র মো, মতিয়ার রহমানের  ও কাউন্সিলর মো. জাহিদুল ইসলাম তালুকদার জুয়েলের  হস্তক্ষেপে মহান ভাষা শহীদ ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে আমতলীর পৌরসভার ৩নং ওয়ার্ডে   নিজেদের  তৈরি শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা জানিয়েছে শিশুরা। তারা নিজ হাতেই গড়েছে এই শহীদ মিনার, তারপর ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছে। কেউ বাড়ির গাছের ফুল দিয়ে, কেউ বাবা মায়ের কাছ থেকে টাকা নিয়ে ফুল কিনে শ্রদ্ধা জানিয়েছে।

জানাগেছে পৌরসভার ৩ নং ওয়ার্ডের শিশুরা বাইতুল আমান জামে মসজিদ সলগ্ন  সরকারী জমিতে শহীদ মিনার তৈরি করতে গেলে  সরকারী জমি দখলকারী আমতলী কৃষি ব্যাংকের অফিসার মো. মজিবুর রহমানের স্ত্রী লিপি বেগম শিশুদের শহিদ মিনার নির্মানে বাধা প্রদান করেন। শিশুদের মধ্যে সাকিব নামের এক শিশু বাধা প্রধানের বিষয়টি আমতলী পৌর মেয়র মো. মতিয়ার রহমানকে জানালে তিনি  শিশুদের  শহীদ মিনার নির্মান করার নির্দেশ দেন এবং মেয়র বিষয়টি দেখার জন্য   ৩ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. জাহিদুল ইসলাম তালুকদারকে দায়িত্ব প্রধান করেন।  কাউন্সিলর জাহিদুল ইসলাম তালুকার জুয়েল জানান,  ব্যাংক কর্মকর্তা মজিবর কে বলা হয়েছে শহীদ মিনার নির্মানে  বাধা প্রদান করবেন না।

উল্লেখ্য  উক্ত সরকারী জমিতে অবৈধ ভাবে পাকা স্থাপনা নির্মান করেন .কৃষি ব্যাংক কর্মকর্তা মো. মজিবুর রহমান।  তার দখল থেকে সরকারী জমি উদ্দার করতে  আমতলী সাবেক সহকারী কমিশনার ভ’মি দেবেন্দ্র নাথ উরাও ও আমতলীর সাবেক উপজেলা নির্বাহী অফিসার বর্তমানের পিরোজপুর জেলা প্রশাসনের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মনিরা পারভীন  দুবার মো. মজিবুর রহমানের দখল থেকে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করেন এবং মজিবুরর রহমানকে  পাকা স্থাপনা সরিয়ে ফেলার নির্দেশ প্রদান করেন । মজিবুর রহমান  উপজেলা প্রশাসনের  নির্দেশ অমান্য করে পাকা স্থাপনা সরান নাই।  এমনকি স্থানীয়রা শিশুরা  উক্ত সরকারী জমিতে খেলতে গেলে মজিবুর রহমান ও তার পরিবারের সদস্যরা বাধা প্রদান করেন।

স্থানীয় শিশুরা সরকারী জমিটি তাদের খেলার মাঠ করে দেওয়ার জন্য আমতলী পৌরসভার মেয়র ও উপজেলা  প্রশাসনের প্রতি দাবী জানিয়েছেন। এ ব্যাপারে মজিবুর রহমানের বক্তব্য জানার জন্য একাধিকবার  তার মুঠোফোনে চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।

শিশুরা বলেন, অভিভাবক এবং বই পড়ে শহীদ ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের তাৎপর্য  সম্পর্কে জানতে পারে তারা। পরে তারা ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে নিজ হাতে গড়া শহীদ মিনারে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।

সোমবার (২১ ফেব্রুয়ারি) পৌরসভার ৩ নং ওয়ার্ডের  শিশুরা বাইতুল আমান  মসজিদ সলগ্ন ১নং খতিয়ানের সরকারী খাসজমিতে  শহীদ মিনার বানিয়েছে। শিশুরা তাতে বাঁশের কঞ্চি ও রঙিন কাগজ লাগিয়ে সৌন্দর্য্য বাড়িয়েছে।

সাকিব নামে  নামে এক শিশু শিক্ষার্থী বলেন, ‘স্কুলে স্যার আমগো বলেছে ২১ ফেব্রুয়ারি শহীদ মিনারে ফুল দিয়ে ভাষা শহীদদের শ্রদ্ধা জানাতে হয়। স্কুল বন্ধ থাকায়  সরকারী জমিতে  শহীদ মিনার তৈরি করে শ্রদ্ধা জানিয়েছি।’

শ্রাবন   নামে অপর এক শিশু বলেন, ২০ ফেব্রুয়ারি থেকে আমরা কাজ শুরু করি। ২১ ফেব্রুয়ারি সকালে ছেলে মেয়েরা সবাই মিলে আমরা এখানে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানাই।’

আমতলীর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের (অব:) প্রধান শিক্ষক মো. মস্তফা বিল্লাহ  বলেন, ‘শহীদ মিনার বানিয়ে শিশুদের শ্রদ্ধা নিবেদন আসলেই একটি ভাল দিক। এরফলে বর্তমান প্রজন্মের শিশুরা ভাষা আন্দোলন সম্পর্কে আরো বিস্তারিতভাবে  জানার সুযোগ পাবে।

 


এইচকেআর
গুগল নিউজে (Google News) দৈনিক মতবাদে’র খবর পেতে ফলো করুন