ঢাকা শনিবার, ০৬ ডিসেম্বর ২০২৫

Motobad news

তিন বছরের কমিটিতে ৭ বছর পার

তিন বছরের কমিটিতে ৭ বছর পার
গুগল নিউজে (Google News) দৈনিক মতবাদে’র খবর পেতে ফলো করুন

বরগুনা জেলা আওয়ামী লীগের সর্বশেষ সম্মেলন হয়েছিল ২০১৪ সালে। দলের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী কমিটির মেয়াদ তিন বছর। কিন্তু সাত বছরের বেশি সময় অতিবাহিত হলেও সম্মেলন হচ্ছে না বরগুনা জেলা আওয়ামী লীগের। ৩০ বছরের বেশি সময় ধরে শীর্ষ দুই পদ আঁকড়ে আছেন দুই নেতা। এতে দলীয় শৃঙ্খলা ভেঙে পড়ার পাশাপাশি ঝিমিয়ে পড়ছে সাংগঠনিক কর্মকান্ড।

সাংগঠনিক কাজে সক্রিয় নেতাদের অভিযোগ, দলীয় পদ হারানোর আশঙ্কায় জেলা আওয়ামী লীগের প্রথম সারির নেতারা সম্মেলন করতে আগ্রহী নন। সম্মেলন করার জন্য কেন্দ্র থেকে কয়েক দফা তাগিদ দিলেও নানা অজুহাতে তা করা হয়নি। এতে নেতৃত্বের বিকাশ হচ্ছে না। দলের পরতে পরতে এখন হতাশা ছড়িয়ে পড়ছে।

বরগুনা জেলা আওয়ামী লীগের সর্বশেষ সম্মেলন হয় ২০১৪ সালের ১৫ নভেম্বর। ওই সম্মেলনে সংসদ সদস্য ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভু সভাপতি ও জাহাঙ্গীর কবির সাধারণ সম্পাদক হন। এই দুই নেতা প্রায় ৩০ বছর ধরে জেলা আওয়ামী লীগের শীর্ষ দুই পদ আঁকড়ে আছেন। জেলা কমিটির সম্মেলন না হওয়ায় এর প্রভাব পড়েছে জেলার ছয়টি উপজেলা কমিটিতেও। এই ছয় উপজেলা আওয়ামী লীগের কমিটির মেয়াদ শেষ হলেও নতুন কমিটি করা যায়নি। তিনটি পৌর কমিটিও গঠন করা সম্ভব হয়নি। এর মধ্যে আমতলী উপজেলায় দলীয় কোন্দল নিয়ে দলে চরম বিভক্তি দেখা দিয়েছে। এমনকি মামলা দিয়ে প্রতিপক্ষকে হয়রানির প্রতিযোগিতা চলছে এই উপজেলায়। দলীয় সূত্র জানায়, ২০১৯ সালের ১ ডিসেম্বর জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলন হওয়ার কথা থাকলেও নির্ধারিত সময়ের পাঁচ দিন আগে সম্মেলন স্থগিত করা হয়।

বরগুনা জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল মোতালেব মৃধা বলেন, ‘রাজনৈতিক যে দর্শন তার অর্থ হলো সব জায়গায় পরিবর্তন। নতুন নেতৃত্ব, যোগ্য নেতৃত্ব, সহজ নেতৃত্ব আসবে। ব্যক্তি নয়, রাজনীতিকে সচল, সক্রিয় রাখার জন্য এটাই নিয়ম। আমি কোনো ব্যক্তি সম্পর্কে সমালোচনা করব না। সারা বাংলাদেশে এই পরিবর্তন আসবে। কেউ একাধিকবার দলীয় শীর্ষ পদে থাকতে পারবে না। শুধু বরগুনায় না, আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে এই পরিবর্তন আনতে হবে। তা না হলে আওয়ামী লীগ দুর্নীতিবাজদের কারণে জনবিচ্ছিন্ন হয়ে যাবে। ’

 জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি হুমায়ুন কবীর বলেন, ‘সম্মেলন হওয়া দরকার। সম্মেলন হলো একটা দলের প্রাণ। সম্মেলন না হলে নেতাকর্মীদের মনে একঘেয়েমি চলে আসে। মানুষের আকাঙ্ক্ষায় ভাটা পড়ে। রাজনীতির যে আকর্ষণ তা নষ্ট হয়ে যায়। দলের সব উপজেলায় চাপা দুঃখ-কষ্ট আছে। সম্মেলন হলে এটা দূর হয়ে যেত। ’ আওয়ামী লীগের বরিশাল বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আফজাল হোসেন বলেন, ‘কেন্দ্রীয় নির্দেশনা আছে তিন মাসের মধ্যে সব শাখা কমিটির সম্মেলন করার। আমরাও জেলা নেতাদের নির্দেশনা দিয়েছি। ’

 


এইচকেআর
গুগল নিউজে (Google News) দৈনিক মতবাদে’র খবর পেতে ফলো করুন