চরফ্যাসনে গৃহবধূর রহস্যজনক মৃত্যু


চরফ্যাসনে গৃহবধূর রহস্যজনক মৃত্যুর ঘটনা নিয়ে টানাপোড়েন চলছে। শুক্রবার গভীর রাতে পৌরসভার ৪নং ওয়ার্ডের স্বামী মানোষ মজুমদার শাওনের বাসা থেকে শ্বাসতি রায় চৈতির ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। শনিবার চৈতির মরদেহ ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে। চৈতির আত্মহত্যার ঘটনায় প্ররোচনার অভিযোগে স্বামী মানোষ মজুমদার শাওন এবং শ্বশুড় সমির মজুমদারকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
এই ঘটনায় চৈতির বাবা সুভাষ চন্দ্র রায় বাদি হয়ে চরফ্যাসন থানায় স্বামী, শ্বশুড় এবং শাশুড়িসহ ৩জনকে আসামী করে মেয়ের আত্মহত্যায় প্ররোচনার অভিযোগে মামলা করেছেন।
জানাযায়, তজুমদ্দিন উপজেলায় নিকটাত্মীয়ের বিয়ে অনুষ্ঠানে যোগদান শেষে শুক্রবার রাতে বাসায় ফিরেন স্বামী মানোষ মজুমদার শাওন। পেশায় উপসহকারী কৃষি অফিসার মানোষ মজুমদার মধ্যরাতের পর বাসায় ফিরে বেডরুমে সিলিংফ্যানেরচ সাথে স্ত্রী চৈতির দেহ ঝুলতে দেখে শ্বশুড় সুভাষ চন্দ্র রায় সংবাদ দেন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে লাশ উদ্ধার করেন। গতকাল শনিবার চৈতির মরদেহ ভোলা মর্গে পাঠানো হয়েছে। অপর দিকে চৈতির বাবা চরফ্যাসন বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত সহকারী শিক্ষক সুভাষ চন্দ্র রায় অভিযোগ করেন, স্বামী শ্বশুড় শাশুড়ি বিয়ের পর থেকে মেয়ে চৈতিকে নির্যাতন করে আসছিল। যার ধারাবাহিকতায় চৈতিকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করেছে বা আত্মহত্যা করতে বাধ্য করেছে।
লাশ উদ্ধারকারী পুলিশ কর্তকর্তা চরফ্যাসন থানার ওসি (তদন্ত) রিপন কুমার সাহা জানান, গলায় শাড়ি প্যাচানো রেডরুমের সিলিংফ্যানে ঝুলন্ত অবস্থায় লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। লাশে দেহে আঘাতের কোন দৃশ্যমান চিহ্ন পাওয়া যায়নি। ময়নাতদন্ত রিপোর্ট পেলে হত্যা বা আত্মহত্যার বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া যাবে। এদিকে চৈতির বাবা সুভাষ চন্দ্র রায় মেয়ে চৈতিকে আত্মহত্যায় প্ররোচনার অভিযোগে স্বামী মানোষ মজুমদার, তার বাবা সমীর চন্দ্র মজুমদার এবং শাশুড়ি নিয়তি রানীকে আসামী করে মামলা দায়ের করেছেন।
চরফ্যাসন থানার ওসি মনির হোসেন মিয়া জানান, চৈতির বাবার দায়ের করা মামলা গ্রহন করা হয়েছে। মামলা অনুযায়ী স্বামী মানোষ মজুমদার এবং শ্বশুড় সমীর চন্দ্র মজুমদারকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ময়নাতদন্ত রিপোর্ট এবং পরবর্তী তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এইচকেআর
