উপকূল থেকে হারিয়ে যাচ্ছে পাটের আবাদ

বরগুনার আমতলী উপজেলা থেকে প্রতি বছরই কমে আসছে পাটের আবাদ। দেশের বিভিন্ন স্থানের মত আমতলী উপজেলায় ও অনেক কৃষক পাটের আবাদ করতো। বিরুপ আবহাওয়া, শ্রমিক সংকটসহ নানাবিধ সমস্যার কারণে বর্তমানে পাঠ আবাদে হতাশ হয়ে পড়ছেন কৃষকরা।
পাটের পরিবর্তে কৃষকরা এখন হাইব্রিড ফসল আবাদের দিকে বেশি ঝুঁকে পড়ছে। একসময় বাংলাদেশের প্রধান অর্থকরী ফসল ছিলো এই পাট। তাই পাটকে বলা হতো সোনলী আঁশ। ধানের পর পরেই ছিল পাটের স্থান। অল্প করে হলেও প্রত্যেক কৃষকই পাট আবাদ করতেন। কিন্তু গত কয়েক বছর ধরে বিরূপ আবহাওয়া, ভালো বীজের অভাব, পাট পঁচানোর পানির অভাব, ন্যায্যমূল্য না পাওয়াসহ নানা অসুবিধায় আমতলীর কৃষকরা পাট আবাদে আগ্রহ হারিয়ে ফেলছেন।
পাট আবাদে আগ্রহ হারিয়ে ফেলার অন্যতম কারণগুলোর মধ্যে হলো ন্যায্যমূল্যের অভাব। পাটখেত নিড়ানি, কর্তন ও পাটের আঁশ ছড়াতে অনেক শ্রমিকের পারিশ্রমিকের প্রয়োজন হয়। যার ফলে পাট বিক্রয় করার সময় ন্যায্য মূল্যের চেয়ে কম মূল্যে বিক্রয় করতে হয়।
আমতলী উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে থেকে জানা যায়, চলতি বছর (২০২১-২০২২ অর্থবছর) পাট আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল ১০ হেক্টর জমিতে। এর মধ্যে চাষ হয়েছে ৬ হেক্টরে প্রতি বছরই আমাদের এভাবে পাটের আবাদ কমে যাচ্ছে।
আমতলী উপজেলা কৃষি অফিসার সিএম রেজাউল করিম বলেন, বিরূপ আবহাওয়া, শ্রমিক সংকট, জলাবদ্ধতা এবং অন্যান্য ফসল আবাদে কৃষকদের আগ্রহ বেশি থাকায় পাট চাষে তারা এখন আগ্রহ কম দেখাচ্ছেন।
এমইউআর