ঢাকা বুধবার, ১৯ নভেম্বর ২০২৫

Motobad news

ফরিদপুরে যথাযোগ্য মর্যাদায় ৭ই মার্চ পালন

ফরিদপুরে যথাযোগ্য মর্যাদায় ৭ই মার্চ পালন
গুগল নিউজে (Google News) দৈনিক মতবাদে’র খবর পেতে ফলো করুন

ফরিদপুরে ঐতিহাসিক ৭ই মার্চ দিবসটির গুরুত্ব আগামী প্রজন্মের মধ্যে জাগরিত করার লক্ষ্যে  জেলা প্রশাসন বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করা হচ্ছে।

সকাল ৭ টায় জাতির পিতার স্মৃতি বিজড়িত ঐতিহাসিক অম্বিকা ময়দানে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক অতুল সরকার। এ সময় রাজনৈতিক দল ও অঙ্গসংগঠনসমূহ, বিভিন্ন সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠনসহ সর্বস্তরের জনতা শ্রদ্ধা নিবেদন করে।  

সকাল ১০ টায় সরকারি রাজেন্দ্র কলেজ শহর শাখার মাঠে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত কেন্দ্রীয় অনুষ্ঠান সম্প্রচার ও উপভোগ করা হয়। বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের সমন্বয়ে ঐতিহাসিক ৭ই মার্চ, বঙ্গবন্ধু ও ফরিদপুরে বঙ্গবন্ধু আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এছাড়া শহরের গুরুত্বপূর্ণ স্থানসমূহে ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের ভাষণ প্রচার করা হয়। বাদ যোহর বিভিন্ন মসজিদে মুক্তিযুদ্ধ সহ সকল শহীদের আত্মার মাগফেরাত কামনায় দোয়া ও মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। এছাড়া জেলাস্থ বিভিন্ন মন্দির, গীর্জা, প্যাগোডা ও অন্যান্য উপসনালয়ে বিশেষ প্রার্থনা করা হয়।

বিকেল সাড়ে ৫টায় ফরিদপুর সরকারি রাজেন্দ্র কলেজ শহর শাখার মাঠে অনুষ্ঠিত হয় ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের গুরুত্বরও তাৎপর্য শীর্ষক আলোচনা সভা ও পুরস্কার বিতরণ। এদিকে গত ১ মার্চ হতে ৬ মার্চ পর্যন্ত শিশু একাডেমিতে শিশুদের আবৃত্তি, চিত্রাঙ্কন ও রচনা প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। ১ মার্চ থেকে শহরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থান ও গোয়ালচামটস্থ শহীদ স্মৃতিফলকে শুরু হওয়া বঙ্গবন্ধুর বিভিন্ন ভাষণ ও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক চলচ্চিত্র প্রদর্শনী চলবে আগামী ৩১ মার্চ পর্যন্ত।

৭ মার্চ বাঙালির মুক্তি সংগ্রামের ইতিহাসে এক ঐতিহাসিক দিন। ১৯৭১ সালের এই দিনে বাংলাদেশের স্থপতি, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ঢাকার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের (তৎকালীন রেসকোর্স ময়দান) জনসভায় লাখ লাখ জনতার উদ্দেশে দৃঢ় দৃপ্তকণ্ঠে স্বাধীনতার ডাক দিয়েছিলেন, ‘এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম।

এ ভাষণেই জাতি পেয়ে যায় প্রতিরোধের বীজমন্ত্র, স্বাধীনতার দিকনির্দেশনা। এই ভাষণে উজ্জীবিত হয়েই পাকিস্তান বাহিনীর সাথে নয় মাসের সশস্ত্র যুদ্ধের পর বাঙালি ছিনিয়ে আনে বাংলাদেশের স্বাধীনতা।

 


এইচকেআর
গুগল নিউজে (Google News) দৈনিক মতবাদে’র খবর পেতে ফলো করুন