লালমোহনের ২৩ হাজার জেলের দুর্দিন


মার্চ-এপ্রিল দুই মাস ইলিশ ধরা বন্ধ থাকায় বেকার হয়ে পড়েছেন লালমোহনের ২৩ হাজার জেলে। নিষেধাজ্ঞা থাকায় নদীতে না যেতে পেরে তাঁরা পরিবার-পরিজন নিয়ে চরম বিপাকে পড়েছেন। অভাব-অনটন আর অনিশ্চয়তার মধ্যে দিন কাটছে তাঁদের। জেলেদের পুনর্বাসনের জন্য সরকারের পক্ষ থেকে চাল বরাদ্দ দেওয়া হলেও সেই চাল এখনো জেলেদের কাছে পৌঁছায়নি। উপজেলা মৎস্য অফিস থেকে জানা যায়, লালমোহনের ২৩ হাজার জেলে থাকলেও এবার ১১ হাজারের নামে চাল বরাদ্দ আসছে। এতে ১২ হাজার জেলে পুনর্বাসনের চাল থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।
জানা গেছে, মাছের উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে প্রতি বছরের মতো এ বছরও ভোলার মেঘনা ও তেঁতুলিয়া নদীর ১৯০ কিলোমিটার এলাকায় ইলিশসহ সকল ধরনের মাছ ধরা বন্ধ ঘোষণা করা হয়। প্রশাসনের নির্দেশ মানতে নদীতে যেতে পারছেন না জেলেরা। জাল-নৌকা তুলে ঘাটে নিয়ে রেখেছেন। কেউ বা বিকল্প পেশা খুঁজছেন। তবে পেটের টানে কিছু সংখ্যক জেলে নদীতে নামলে তাঁদের জেল-জরিমানা গুনতে হচ্ছে।
লালমোহনের বাতির খাল মৎস্যঘাটের মো. আলমগীর মাঝি বলেন, আমার নৌকার ১৮ জনই নদীতে মাছ ধরা থেকে বিরত আছে। মাছ ধরা বন্ধ থাকায় পরিবার-পরিজন নিয়ে আমাদের কষ্টে দিন কাটছে। এখনো কোনো জেলে পুনর্বাসনের চাল পায়নি। অপর জেলে সিরাজ ও মো. রিপন বলেন, মাছ ধরা বন্ধ থাকায় আমরা জাল বুনে দিন পার করছি। কবে থেকে জেলে পুনর্বাসনের চাল পাব তা এখনো অনিশ্চিত। সরকারে কাছে আমাদের দাবি, আমরা যেন দূরত্ব চাল পাই সে ব্যবস্থা যেন করে দেয়। এ বিষয়ে লালমোহন উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা রুহুল কুদ্দুস বলেন, আগামী তিন-চার দিনের মধ্যে জেলেদের চাল বিতরণ করা হবে। তখন জেলেদের এ সমস্যা আর থাকবে না।
এইচকেআর
