ঢাকা শনিবার, ০৬ ডিসেম্বর ২০২৫

Motobad news

পড়া না পারায় শিক্ষার্থীকে পিটিয়ে আহত করার অভিযোগ

 পড়া না পারায় শিক্ষার্থীকে পিটিয়ে আহত করার অভিযোগ
গুগল নিউজে (Google News) দৈনিক মতবাদে’র খবর পেতে ফলো করুন

বরগুনার একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকের বিরুদ্ধে ওই স্কুলের এক শিক্ষার্থীকে পিটিয়ে আহত করার অভিযোগ উঠেছে। বুধবার দুপুরে সদর উপজেলার গৌরীচন্না ইউনিয়নের ধুপতি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এই ঘটনা ঘটে। এরপর ওই শিক্ষার্থীকে বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। শিক্ষার্থীর অভিভাবকদের অভিযোগ, পড়া না পারায় ওই স্কুলের সহকারী শিক্ষক মরিওম আক্তার নামের এক শিক্ষক ওই শিক্ষার্থীকে পিটিয়ে আহত করেছে।

শিক্ষার্থীর বাবা জানান, বুধবার ক্লাস শুরুর পর তাঁর মেয়েকে পড়া জিজ্ঞেস করেন স্কুলশিক্ষক মরিওম। উত্তর দিতে দেরি হওয়ায় তিনি অপর এক শিক্ষার্থীকে একই প্রশ্ন করলে ওই শিক্ষার্থী উত্তর দেন। এ সময় শিক্ষক মরিওম তাঁর মেয়েকে গালাগাল করতে থাকেন। একপর্যায়ে তিনি লাইব্রেরি থেকে লাঠি এনে তাঁর মেয়ের মাথা ও পিঠে আঘাত করেন। এ সময় তাঁর মেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়লে সহপাঠীরা বিষয়টি তাঁর স্ত্রীকে জানায়। খবর পেয়ে স্কুলে গিয়ে তিনি তাঁর মেয়েকে বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেন।

ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর মা বলেন, ‘আমার মেয়ে মেধাবী শিক্ষার্থী। প্রত্যেক ক্লাসে ফার্স্ট হয়। মেয়েকে মারধর করার বিষয়টি আমি জানতে চাইলে আমার সঙ্গে খারাপ আচরণ করেছে শিক্ষক মরিওম। তিনি আমার মেয়েকে মেরে অসুস্থ করে দিয়েছেন। আমি বিষয়টি প্রধান শিক্ষককে জানিয়েছি। আমি এই ঘটনার সুষ্ঠু বিচার চাই।’

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সঞ্জয় ভুষণ মিস্ত্রি বলেন, ‘শিক্ষার্থীর পরিবার আমার কাছে আসার পরে আমি ম্যানেজিং কমিটি নিয়ে বসেছি। শিক্ষার্থীকে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ঘটনার সত্যতা পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’ এদিকে অভিযুক্ত শিক্ষক মরিওম মারধরের বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, ‘মারধরের বিষয়টি সত্য নয়। আমি ওদের গণিত শিক্ষক। গণিত শেখাতে গিয়ে আমি ওই শিক্ষার্থীকে সামান্য কটু কথা বলেছি। সে কীভাবে আহত হয়ে হাসপাতালে গেল, বিষয়টি জানা নেই। হাসপাতালে ভর্তি করানোর খবর শুনে আমি তাকে দেখে এসেছি। ওর মাথায় ব্যথা, এটা নাকি আগেরই রোগ।’

 উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা নাসির বলেন, ‘বিষয়টি আমি তদন্ত করে দেখব। দোষী প্রমাণিত হলে ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’ এ বিষয়ে বরগুনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আলী আহমেদ বলেন, ‘অভিভাবক লিখিত অভিযোগ দিলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

 


এইচকেআর
গুগল নিউজে (Google News) দৈনিক মতবাদে’র খবর পেতে ফলো করুন