'আলিশান' বাড়ির কমোড থেকে উদ্ধার হলো ইয়াবা

একতলার বেশ ছিমছাম একটা বাড়ি। আক্ষরিক অর্থে 'আলিশান' বাড়ি। গ্রামের মানুষের কাছে 'স্মাগলার' বাছিরের বাড়ি হিসেবেই পরিচিত। তবে জানত না পুলিশ! মাদকের চালান যখন এ বাড়িতে ঢোকে এবং পরে উদ্ধারের পর পুলিশ ভ্যাবাচেকা খায়।
শেষ পর্যন্ত ওই বাড়িতে অভিযান চালিয়ে টয়লেটের কমোড থেকে ২২৭৮ পিস ইয়াবা উদ্ধার করে পুলিশ। আটক করা হয় বাছির মিয়ার ছেলে সুমন মিয়া (২৬) ও তার সহযোগী মো. সায়েমকে (২২)।
ঘটনাটি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া উপজেলার মনিয়ন্দ ইউনিয়নে নয়ামুড়া গ্রামের। গতকাল শনিবার দুপুর থেকে বিকেল নাগাদ নয়ামুড়া গ্রামের ওই বাড়িটিতে অভিযান চালায় আখাউড়া থানার পুলিশ।
অভিযানের সময় বাছির মিয়া পালিয়ে যেতে সক্ষম হন। ছয়টি মাদক মামলার আসামি বাছির মিয়া বর্তমানে জামিনে আছেন। বাবার সূত্র ধরেই ছেলে এখন মাদক কারবারে জড়িত। তবে বাছিরের ছেলে সুমন এই প্রথমবারের মতো পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হলেন।
ঘটনা সম্পর্কে আখাউড়া থানার পুলিশ জানায়, প্রাণঘাতী মাদক ইয়াবার একটি বড় চালান প্রতিবেশী দেশ ভারত থেকে সীমান্ত পেরিয়ে ঢুকেছে বলে খবর আসে। মনিয়ন্দ ইউনিয়নের নয়ামুড়া গ্রামের একটি বাড়িতে ঢুকে বিকেলের মধ্যেই ইয়াবার এই চালান ছড়িয়ে পড়বে বিভিন্ন এলাকায়। উদ্ধার অভিযান চালাতে নয়ামুড়ার দিকে যায় পুলিশের দুটি দল। আখাউড়া থানার এসআই এরশাদ মিয়া ও এএসআই আলমগীর হোসেন এবং এসআই নেয়ামুল হুসাইন দল দুটির নেতৃত্বে ছিলেন।
শুরুতে পুলিশ জানতে পারছিল না ঠিক কোন বাড়িতে মাদকের চালান ঢুকবে। এ অবস্থায় নয়ামুড়া গ্রামের চিহ্নিত কয়েকজন মাদক কারবারির বাড়ি গোপন নজরদারিতে নিয়ে আসা হয়। বেলা পৌনে ২টার দিকে দুই যুবককে বাছির মিয়ার বাড়িতে ঢুকতে দেখে পুলিশও ছুটে যায়। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে ইয়াবা বহন করে নিয়ে আসা বাছিরের ছেলে সুমন এগুলো টয়লেটের কমোডে ফেলে দেন। এ সময় আটক সুমন ইয়াবা ফেলার কথা স্বীকার করলে পুলিশ উদ্ধার করে। আটক করা হয় সুমনের সহযোগী সায়েমকে।
আখাউড়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. মিজানুর রহমান জানান, মাদক নির্মূলে অভিযান জোরদার করা হয়েছে। এ জন্য চারটি পৃথক টিম গঠন করে সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান চালানো হচ্ছে। অভিযান চালানো বাছির মিয়া চিহ্নিত মাদক কারবারি।
এইচকেআর