ভোলায় পরিত্যক্ত খাল থেকে মাথার খুলি-হাড় উদ্ধার


ভোলার লালমোহন উপজেলায় পরিত্যক্ত খাল থেকে মানুষের মাথার খুলি ও হাড় উদ্ধার করেছে পুলিশ। রোববার (২৭ মার্চ) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে লালমোহন পৌরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের ওয়েস্টার্নপাড়া শেখের দোকানের পশ্চিম পাশে কালভার্ট সংলগ্ন খাল থেকে এ খুলি ও হাড় উদ্ধার করা হয়।
এ সময় ওই স্থান থেকে একটি প্যান্টের বেল্টও পাওয়া যায়। প্যান্টের বেল্ট দেখে এ মাথার খুলি ও হাড় গত বছরের অক্টোবর মাসে নিখোঁজ হওয়া ওই এলাকার রাশেদের তৃতীয় শ্রেণিতে পড়ুয়া ছেলে রায়হান নামের এক শিশুর বলে দাবি করেন তার পরিবার।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ওই এলাকার রুহুল আমিন নামে এক ব্যক্তি পরিত্যক্ত খালে মাছ ধরার জন্য প্রস্তুতি নেন। এ জন্য গত শনিবার থেকে কচুরিপানা পরিস্কার করার জন্য খালে দুই জন শ্রমিক নামান। পরে রোববার সন্ধ্যার আগে শ্রমিক সেলিম কচুরিপানা পরিস্কার করার সময় প্রথমে মানুষের একটি মাথার খুলি দেখতে পান। এরপর একই স্থানে আরও দুটি হাড় পান। খবর পেয়ে লালমোহন থানা থেকে পুলিশের একটি টিম ঘটনাস্থলে গিয়ে দেহের বাকি হাড়গোড় খোঁজার জন্য পুনরায় শ্রমিকদের খালে নামানো হয়। সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে একই স্থানে আরো কিছু হাড়গোড় ও প্যান্টের বেল্ট পাওয়া যায়।
শ্রমিক সেলিম জানান, রোববার বিকেলে খালের কচুরিপানার মধ্যে একটি পুতে রাখা লাঠি টান দিলে প্রথমে মাথার খুলি ভেসে উঠে। এরপর দুটি হাড়ও পাওয়া যায়। এসব পেয়ে আমরা খাল থেকে উঠে যাই এবং পুলিশকে খবর দেই।
নিখোঁজ শিশু রায়হানের পিতা মো. রাশেদ জানান, গত বছরের ১২ অক্টোবর খেলাধুলার জন্য শিশু রায়হান বাড়ি থেকে বের হয়ে স্থানীয় শেখের দোকানের দিকে গিয়ে নিখোঁজ হয়। এরপর থেকে তাকে আর খুঁজে পাওয়া যায়নি। এ ঘটনায় পরদিন লালমোহন থানায় সাধারণ ডায়েরি করা হয়। উদ্ধার হওয়া মাথার খুলি ও হাড়গোড় নিখোঁজ ছেলের হতে পারে বলে তিনি ধারণা করছেন। এ জন্য প্রয়োজনীয় পরীক্ষার জন্য তিনি প্রস্তুত আছেন।
লালমোহন থানার পরিদর্শক (তদন্ত) এনায়েত হোসেন জানান, মানুষের মাথার খুলি পাওয়ার খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে যাই। পরে বাকি হাড় খোঁজার জন্য খালে তল্লাশি চালানো হয়। তল্লাশিকালে আরো কিছু হাড় পাওয়া যায়। এই খুলি ও হাড়গুলো কার তা শনাক্ত করতে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হবে। পরীক্ষার রিপোর্ট ও তদন্তের পর আসল ঘটনা জানা যাবে।
এইচকেআর
