ঢাকা সোমবার, ১৪ জুলাই ২০২৫

Motobad news
শিরোনাম
  • বিচারক রকিবুল ইসলামকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানালেন পিপি কাজী বসির উদ্দিন যুক্তরাষ্ট্র ও মালয়েশিয়ায় বেনজীরের সম্পদ ক্রোক, ব্যাংক হিসাব ফ্রিজ বিএনপি এখন চাঁদাবাজদের দলে পরিণত হয়েছে: নাহিদ ইসলাম বরিশালে জাল টাকা ও বিপুল পরিমাণ ইয়াবাসহ আটক ৪ দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া: ভোলার ১০ রুটে লঞ্চ চলাচল বন্ধ বরগুনা জেলা নির্বাচন অফিসে আগুন, পুড়েছে গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র সাঈদ-মুগ্ধদের ‘জাতীয় শহীদ’, ড. ইউনূসকে ‘জাতীয় সংস্কারক’ ঘোষণা কেন নয় বরিশালের ৬টি আসনে ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থী ঘোষণা মিটফোর্ডে হত্যার শিকার সোহাগের পরিবারের পাশে বিএনপি পিরোজপুরে পথসভা থেকে ফেরার সময় এনসিপি নেতার ওপর হামলা
  • হত্যার পর ফের ধর্ষণ করে চাচাতো ভাই

    হত্যার পর ফের ধর্ষণ করে চাচাতো ভাই
    গুগল নিউজে (Google News) দৈনিক মতবাদে’র খবর পেতে ফলো করুন

    ধর্ষণে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ দেখে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয় নোয়াখালীর চাটখিল উপজেলার সেই শিশু আছমা আক্তারকে (৫)। শুধু তাই নয়, হত্যার পরও শিশুটিকে ধর্ষণ করা হয়েছে এবং পরে পাশের বাড়ির শৌচাগারের ট্যাংকে লাশ গুম করে। 

    এ ঘটনায় গ্রেপ্তার নিহত শিশু আছমা আক্তারের চাচাতো ভাই শাহাদাত হোসেন আদালতে দেওয়া ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে ঘটনার বর্ণনায় এসব তথ্য দিয়েছেন।

    রোববার (৩ এপ্রিল) দুপুর দুইটা থেকে বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত নোয়াখালীর চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে আসামি শাহাদাত হোসেনের জবানবন্দি রেকর্ড করা হয়। সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নবনীতা গূহ আসামির জবানবন্দি রেকর্ড করেন। পরে আদালতের নির্দেশে আসামি শাহাদাত হোসেনকে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

    শিশু আছমা আক্তারকে অপহরণ, ধর্ষণ, হত্যা ও লাশ গুমের মামলায় গ্রেপ্তার আসামি শাহাদাত হোসেনের আদালতে দোষ স্বীকার করে জবানবন্দি দেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেন চাটখিল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. গিয়াস উদ্দিন। 

    শাহাদাতের জবানবন্দির বরাত দিয়ে তিনি বলেন, শাহদাত স্বীকারোক্তিতে বলেছেন নির্যাতনের শিকার শিশুটি তাঁর চাচাতো বোন। ঘটনার দিন (২৪ মার্চ) দুপুর দেড়টার দিকে বাড়ির সামনের বরই গাছের নিচে থেকে ডেকে তাঁর ঘরে নিয়ে যান। সেখানে অন্য কেউ ছিল না।

    শাহাদাত স্বীকারোক্তিতে বলেছেন, শিশুটিকে মুখ ও হাত-পা ছেপে ধরে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। এতে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ দেখা দেয়। তখন আছমা চিৎকার দেওয়ার চেষ্টা করলে তার নাক-মুখ ছেপে ধরে তাকে মেরে ফেলে। এরপর লাশ বস্তায় ভরে বস্তাটি নিজের কক্ষের খাটের নিচে লুকিয়ে রাখে। পরে সন্ধ্যার দিকে পাশের বাড়ির নুর নবীর ঘরের পশ্চিম পাশের শৌচাগারের ময়লার ট্যাংকের ঢাকনা খুলে সেখানে লুকিয়ে রাখেন।

    পুলিশ জানায়, নিখোঁজের ঘটনার ১০ দিনের মাথায় সন্দেহভাজন হিসেবে শাহাদাত হোসেনকে আটক করা হয়। পরে তাঁকে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে তিনি আছমাকে অপহরণ, ধর্ষণ, হত্যার ও লাশ গুম করার কথা স্বীকার করেন।তাঁর দেখানো মতে শনিবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে পাশের বাড়ির একটি শৌচাগারের ময়লার ট্যাংক থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়।

    নিহত আছমা আক্তার চাটখিল উপজেলার বদলকোট ইউনিয়নের মেঘা গ্রামের মৃধা বাড়ির মো. শাহজাহানের মেয়ে। পাঁচ বোনের মধ্যে আছমা ছিল সবার ছোট। উদ্ধারের পর শিশু আছমার লাশ শনিবার রাতে চাটখিল থানায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে। সেখান থেকে রোববার সকালে ময়না তদন্তের জন্য নোয়াখালীর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করা হয়। 

    নিহত আছমার বাবা মো. শাহজাহান স্থানীয় একটি মসজিদের ইমাম। তিনি বলেন, ‘আমার সঙ্গে কারো কোন শত্রুতা কিংবা বিরোধ নেই। আমি আমার মেয়ের হত্যাকারী শাহাদাতের ফাঁসি চাই।


    এসএমএইচ
    গুগল নিউজে (Google News) দৈনিক মতবাদে’র খবর পেতে ফলো করুন

    সর্বশেষ