পাকা ঘরে ঠাঁই হলো ভিক্ষুক তাজনুরের


‘স্বপ্নেও কল্পনা করতে পারিনি, পাকা ঘরে পরিবার নিয়ে বসবাস করবো; এ যেন স্বপ্নের মতোই লাগছে।’ মুজিববর্ষে বাংলাদেশ পুলিশের পক্ষ থেকে পাকা ঘর পেয়ে আনন্দে আত্মহারা ভিক্ষুক তাজনুর বেগম(৪৯) এভাবেই নিজের অনুভূতি প্রকাশ করছিলেন। ভিক্ষাবৃত্তি আর মানুষের বাড়ি বাড়ি ঝিয়ের কাজ করে চলছিলো বিধবা তাজনুর বেগমের (৪৯) সংসার। ৭ বছর আগে স্বামী ছিডুর মৃত্যুর পর ১ ছেলে ১ মেয়েকে নিয়ে অতি কষ্টে দিনাতিপাত করে তাজনুর বেগম । তাকে এখন আর ঝুপড়ি ঘরে মাটিতে বিছানা করে ঘুমাতে হবে না ।
পাকা ঘরে ঠাঁই হলো তাজনুরের। দৌলতখান উপজেলার চরখলিফা দিদার উল্যাহ গ্রামের তাজনুর বেগমের চোখে- মুখে এখন আনন্দের হাঁসি। বিধবা তাজনুর জানায়, ‘৭ বছর আগে স্বামী মারা গেছে। ছেলে মনির হোসেনও (২৮) তাকে ছেড়ে চট্টগ্রামে চলে যায়। তাকে দেখার কেউ নেই। মেয়ে নুর নাহার (২৫) কে বিয়ে দেয়ার পর তার স্বামী তাকেও আমার কাছে ফেলে রেখে চলে গেছে। ভিক্ষাবৃত্তি এবং মানুষের বাড়ি বাড়ি কাজ করে এক বেলা খেয়ে অন্য বেলা না খেয়ে বেঁচে থাকতাম। দিদার উল্যাহ গ্রামের রিপন মিয়ার বাগানে ঝুপড়ি ঘরে মেয়েকে নিয়ে দিন পার করতাম। আমাগো দৌলতখান থানার ওসি আমার খোঁজখবর নিয়ে কষ্টের কথা শুনে পুলিশের পক্ষ থেকে একটি ঘর উপহার পাইয়ে দিয়েছেন। আজ আমাকে সেই ঘরের চাবি ওসি স্যার বুঝিয়ে দিয়েছেন। আমি তার জন্য নামাজ পড়ে দোয়া করবো।’
দৌলতখান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বজলার রহমান জানান, ‘মুজিববর্ষে উপলক্ষে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর উপহার হিসেবে বাংলাদেশ পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ড. বেনজীর আহমেদের নির্দেশনায় দৌলতখানে গৃহহীন তাজনুর বেগমকে একটি সেমি পাকা ঘর উপহার দেয়া হয়েছে।
এইচকেআর
