ঢাকা শনিবার, ১৯ জুলাই ২০২৫

Motobad news
শিরোনাম
  • সামনের নির্বাচন পিআর পদ্ধতিতে দিতে হবে: রেজাউল করীম ইঁদুরের গর্ত থেকে শেখ হাসিনার সম্পত্তি বের হচ্ছে: বরিশালে রিজভী বাবুগঞ্জে মাটি কাটার অপরাধে ৩ ইট ভাটাকে জরিমানা  বরিশালে ভাড়াবাসায় মিলল স্কুলশিক্ষকের লাশ পাড়ায় পাড়ায় প্রতিবাদের সংস্কৃতি গড়ে তুলন: নাহিদ ইসলাম কলাপাড়ায় লেক থেকে যুবকের মরদেহ উদ্ধার গোপালগঞ্জে সহিংসতাকারীদের গ্রেফতার দাবিতে ঢাকায় এনসিপির বিক্ষোভ পরিকল্পিতভাবে গাজার সব ভবন ধ্বংস করে দিচ্ছে ইসরায়েল: বিবিসি অবশেষে ঢাকায় চালু হচ্ছে জাতিসংঘ মানবাধিকার পরিষদের মিশন জুলাই সনদ তৈরির প্রক্রিয়া হতে হবে স্বচ্ছ ও মানুষের কাছে দৃশ্যমান: প্রধান উপদেষ্টা
  • ভোলায় নদীর নাব্য সংকট দূর করতে ড্রেজিংয়ের মাস্টারপ্ল্যান জরুরী

    ভোলায় নদীর নাব্য সংকট দূর করতে ড্রেজিংয়ের মাস্টারপ্ল্যান জরুরী
    গুগল নিউজে (Google News) দৈনিক মতবাদে’র খবর পেতে ফলো করুন

    নদীর নাব্য সংকট দূর করতে ড্রেজিংয়ের জন্য দীর্ঘমেয়াদি মাস্টারপ্ল্যান করার পরামর্শ দিয়েছেন জলবায়ু পরিবর্তন ও পানি বিশেষজ্ঞ ড. আইনুন নিশাত। তিনি বলেন, একটা দীর্ঘমেয়াদি মডেল করে কাজ করতে হবে। ড্রেজিং লাগবেই। কিন্তু ড্রেজিং কীভাবে দীর্ঘস্থায়ী হয়, সেটা দেখতে হবে। 

    স্থানীয়রা জানান, ভোলা মেঘনা নদীর মাঝখানে বেশ কিছু ডুবো চর পড়ছে ঐ চর থেকে বালু উত্তলন করে অন্যত্র সরিয়ে নিতে সক্ষম হলে পানি প্রবাহ সঠিক ভাবে ধাবিত হতে থাকবে। ফলশ্রতিতে নদীর পাড়ে যে বাঁধ নির্মাণ করা হবে সেটা ভাংগনের ঝুঁকি বহুলাংশে কমে যাবে। 

    ভোলা পানি উন্নয়ন বোর্ড নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ হাসানুজ্জামান জানান,  মেঘনা ও তেঁতুলিয়া নদীতে নদীর নাব্যতা সংকট এর কারনে  চারটি অঞ্চলে ভাগ করে বালুমহাল ঘোষণা করা হয়েছে। নদীর মাঝামাঝি অবস্থানে ডুবোচর থাকায় পানির প্রবাহ বাধাগ্রস্ত হয়ে কিনারার দিকে ধাবিত হয়। যার ফলশ্রুতিতে নদী ভাঙ্গনের সৃষ্টি প্রবল হয়। 

    নদীর মাঝামাঝি এসকল ডুবোচর ড্রেজিং  এর মাধ্যমে কেটে দেওয়া হলে ওই অঞ্চল দিয়ে সঠিকভাবে পানির প্রবাহ যেতে পারবে। ফলশ্রুতিতে তীরবর্তী অঞ্চল সিসি ব্লক দ্বারা নির্মিত বাধ গুলো সুরক্ষিত থাকবে। ইতিমধ্যে মেঘনা-তেতুলিয়ায় যে অঞ্চলে বালুমহাল ঘোষণা করা হয়েছে সঠিক জায়গা থেকে বালু উত্তোলনের ফলে ভোলায় নদী ভাঙ্গন কমে যাবে।  এতদিন এই অঞ্চল থেকে চুরি করে যত্রতত্র থেকে বালু উত্তোলনের ফলে নদী ভাঙ্গন বৃদ্ধি পেয়েছিলো। বালুমহাল থেকে কতটুকু বালু উত্তোলন করা যাবে এবং কতটুকু গভীরতা পর্যন্ত বা বালি কাটতে হবে তা স্পষ্টভাবে উল্লেখ রয়েছে। 

    বর্ষাকালেও নাব্য সংকট প্রসঙ্গে ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ড. আইনুন নিশাত বলেন, বর্ষাকাল হলেও সংকটটা হচ্ছে খুব বড় নদীর। যেটা অনেক চ্যানেলে প্রবাহিত হয় এবং তার কোনো কোনো চ্যানেলে প্রাকৃতিকভাবেই সেডিমেন্ট (পলি) লোড বেশি যায় এবং সেগুলো বন্ধ হয়ে যাচ্ছে।

    তিনি বলেন, ঢাকা থেকে বরিশাল ও দক্ষিণাঞ্চলে যাওয়ার রুট কিছু দিন পর পর কিছু কিছু জায়গায় আটকে যায়। তবে এখানকার সঙ্গে নদী শাসন কিছুটা যোগ না করলেও এই ঘটনাটা ঘটতেই থাকবে। বিভিন্ন রুট বন্ধের বিষয়ে তিনি বলেন, শিমুলিয়া থেকে চরজানাজাত কিংবা কাঁঠালবাড়ীর মাঝখানে বিশাল  নদী আছে। সেই নদীতে কোনো অসুবিধা নেই।

    একটা দীর্ঘমেয়াদি মডেল করে কাজ করতে হবে। ড্রেজিং লাগবেই। কিন্তু ড্রেজিং কীভাবে দীর্ঘস্থায়ী হয়, সেটা দেখতে হবে।


    এমইউআর
    গুগল নিউজে (Google News) দৈনিক মতবাদে’র খবর পেতে ফলো করুন

    সর্বশেষ