বরগুনায় অফিস দখল নিয়ে মুখোমুখি শ্রমিকদের ২ গ্রুপ

বরগুনায় অফিস দখল নিয়ে ট্রাক শ্রমিকদের দুটি সংগঠন মুখোমুখি অবস্থান নিয়েছে। গতকাল (বুধবার) সকাল থেকে দুটি সংগঠনের শ্রমিকরা শহরের টাউনহল এলাকায় মুখোমুখি অবস্থান নেয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
জানা যায়, গত বছরের সেপ্টেম্বর মাসে বেসিক ট্রেড ইউনিয়ন বরগুনা জেলা শাখার নামে একটি সংগঠন আত্মপ্রকাশ করে। এর পর থেকে টাউনহল এলাকায় অবস্থিত আন্তঃজেলা ট্রাক শ্রমিক ইউনিয়নের অফিস দখলে নিয়ে বেসিক ট্রেড ইউনিয়নের কার্যক্রম চলতে থাকে।
এরপর গতকাল রাতে দুর্বৃত্তরা ওই অফিসের দেয়াল ভেঙে মালামাল লুট করে নিয়ে যায়। পরে সকাল থেকেই বেসিক ট্রেড ইউনিয়ন ও আন্তঃজেলা ট্রাক শ্রমিক ইউনিয়নের সদস্য পাল্টাপাল্টি অভিযোগে অফিসের সামনে মুখোমুখি অবস্থান নেয়।
বরগুনা আন্তঃজেলা ট্রাক শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি ও পৌরসভার প্যানেল মেয়র রইসুল আলম রিপন বলেন, সারাদেশের মতো বরগুনায়ও আন্তঃজেলা ট্রাক শ্রমিক ইউনিয়ন শ্রমিকদের কল্যাণে কাজ করে যাচ্ছে। হঠাত করে বেসিক ট্রেড ইউনিয়নের নামে একটি সংগঠন আমাদের কার্যালয় দখলে নিয়ে ব্যাপক চাঁদাবাজি শুরু করে। আমরা প্রথম থেকেই তাদেরকে বাধা দিয়ে আসছি। গতকাল গভীর রাতে উপজেলার চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে একদল দুর্বৃত্ত দখল নেওয়া আমাদের অফিস কার্যালয় ভাঙচুর করে ভেতরের আসবাবপত্র লুটে নিয়ে যায়।
খবর পেয়ে সকালে আন্তঃজেলা শ্রমিক ইউনিয়ের দুই শতাধিক ট্রাক শ্রমিক টাউনহল চত্বরে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ সমাবেশ শুরু করেন। আমরা বিষয়টি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহীনিকে জানিয়েছি এবং তাদের সহায়তায় আমরা আমাদের অফিসে ফিরতে চাই।
বেসিক ট্রেড ইউনিয়নের সভাপতি ও সদর উপজেলা চেয়ারম্যান মনিরুল ইসলাম পাল্টা অভিযোগ এনে বলেন, গতবছরের শুরুতে আন্তঃজেলা ট্রাক শ্রমিক ইউনিয়নের চাঁদাবাজির অভিযোগ আমার কাছে আসে। আমি শ্রমিকদের স্বার্থে বেসিক ট্রেড ইউনিয়নের দায়িত্ব নিয়ে শ্রমিকদের সংগঠিত করে চাঁদা থেকে রক্ষা করেছি। তরমুজ পরিবহনের মৌসুম আসায় আন্তঃজেলা ট্রাক শ্রমিক ইউনিয়ন ফের চাঁদাবাজির প্রস্ততি নিয়ে রাতের আঁধারে আমাদের অফিস ভেঙে সকাল থেকে সেটি দখলের চেষ্টা করছে।
বরগুনার পুলিশ সুপার মুহাম্মদ জাহাঙ্গীর মল্লিক বলেন, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। আমরা শ্রমিক নেতাদের নিয়ে বৈঠকে বসেছি। আশা করি বিষয়টি সমাধান হবে।
এসএম