আমরা নিজেরা ফসল ফলাতে পারলে আমদানি নির্ভরতা কমে যাবে:কৃষি সচিব

আমতলীর কেওয়াবুনিয়া গ্রামে শুক্রবার সকাল ১০ টায় ডাল ফসলের উন্নত জাত বারি-৬ এর আধুনিক উৎপাদন কলাকৌশল শীর্ষক কৃষক সমাবেশ ও মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত হয়। আঞ্চলিক ডাল গবেষনা ইনিষ্টিটিউট মাদারীপুর ও বরিশাল অঞ্চলের সহযোগিতায় সরেজমিন কৃষি গবেষনা বিভাগ পটুয়াখালী এ মাঠ দিবসের আয়োজন করে। বাংলাদেশ কৃষি গবেষনা উনিষ্টিটিউট জয়দেবপুর গাজীপুর এর মহাপরিচালক ড. দেবাশীষ সরকার এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন কৃষি মন্ত্রনালয়ের সচিব মো. সায়েদুল ইসলাম।
বিশেষ অতিথির বক্তব্য ক্তব্য রাখেন স্বাধীনতা পদক প্রাপ্ত ডেপুটি প্রজেক্ট লিডার, ইউনিভার্সিটি অফ ওয়েস্টার্ন অস্টেলিয়ার গবেষক এমএজি নিয়োগী, মূখ্য বৈঞ্জানিক কর্মকর্তা মাদারীপুর অঞ্চল এর ড. মো. সালেহ উদ্দিন, গাজীপুর এর মূখ্য বৈঞ্জানিক কর্মকর্তা ড. শহীদুজ্জামান, সরেজমিন গবেষনা বিভাগ পটুয়াখালীর প্রধান বৈঞ্জানিক ড. মো. শহীদুল ইসলাম ইসলাম ও বরগুনার কৃষি উপ-পরিচালক জোবায়দুল আলম প্রমুখ। সভায় প্রধান অতিথি কৃষি সচিব মো. সায়েদুল ইসলাম বলেন, বাংলাদেশে প্রতিবছর ৪ হাজার কোটি টাকার ডাল আমদানি করতে হয়।
আমরা নিজেরা এ ফসল ফলাতে পারলে আমাদের আমদানি নির্ভরতা কমে যাবে। তিনি আরো বলেন, আমতলীতে যে ভাবে কৃষকরা ডাল চাষে উৎসাহিত হয়েছে তাতে আগামী দিনে এ অঞ্চলে ডাল উৎপাদন আরো বাড়বে ফলে এ প্রভাব সারা বাংলাদেশে পড়বে। তিনি আরো বলেন, বঙ্গবন্ধু বলে গেছেন নিজেদের উৎপাদন বাড়াতে হবে তাহলে দেশের উন্নয় হবে। সচিব আরো বলেন, মাননীয় প্রধান মন্ত্রী কৃষির জন্য সকল প্রকার ভতুর্কি দিয়ে সার বীজ কৃষকদের দোর গোড়ায় পৌছে দিচ্ছেন। তাই এখন আমাদের ডাল জাতীয় ফসলসহ সকল ধরনের কৃষি উৎপাদন বাড়াতে হবে।
গনপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের কৃষি মন্ত্রনালয়ের মত দেশের একটি গুরুত্ব পূর্ন মন্ত্রনালয়ের সচিব মহোদ্বয় আমতলীর গ্রামাঞ্চলে এসে মাঠ দিবস অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত থাকলেও আমতলীর জনপ্রতিনিধি ও উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তাদের অনুষ্ঠানের স্থলে না দেখে উপস্থিত সাধারন মানুষ ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। উপজেলা প্রশাসনের ও জনপ্রতিনিধিদের বেশ কয়েকজন নাম প্রকাশ না শতের্ বলেন কৃষি গবেষনা বিভাগ পটুয়াখালী এ মাঠ দিবসের আয়োজন করে কিন্তু তারা কাউকে কোন কিছু না জানিয়ে নিজেদের মনমত মাঠ দিবস করে চলে গেছেন। উপজেলা প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিরা জানেনা যে আমতলীতে কৃষি সচিব আসছিল।
এইচকেআর