আমতলীতে মাথা গোঁজার ঠাঁই পেলো আরো ১৯০ পরিবার

বরগুনার আমতলী উপজেলার ১৯০ গৃহহীন ভূমিহীন পরিবার পেলো মুজিব বর্ষের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপহারের সেই ঘর। তাদের জীবনে বাড়িঘরের স্বপ্নতো দূরের কথা, বেঁচে থাকার বা টিকে থাকাই ছিল আসল বিষয়। এই অবস্থায় আশীর্বাদ হয়ে এসেছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঘর । ভুমিহীনরা জমি পেয়েছে ২ শতাংশ করে, প্রতিঘরে রয়েছে দুটি করে শয়ন কক্ষ, ১টি করে রান্নাঘর ও বাথরুম। প্রতি ঘরের নির্মাণ ব্যয় ২ লাখ ৫৯ হাজার ৫শ’ টাকা।
আমতলীতে ভূমিহীনদের নিকট গৃহ প্রদানের জন্য গঠিত টাস্কফোর্স কমিটি সুত্রে জানাগেছে এসব তথ্য। আমতলী উপজেলায় পৌরসভায় ৮০টি বাকী ইউনিয়ন গুলিতে ৭০টি । এর মধ্যে হলদিয়া ১৬টি, আঠারগাছিয়া ইউনিয়নে ২২টি, কুকুয়া ইউনিয়নে ১০ টি । ১৯০ টি ঘরের মধ্যে ৪০টি ঘরের কাজ সম্পূর্ন ভাবে নির্মান কাজ সম্পন্ন হয়েছে। বাকী ১৫০টির কাজ চলমান রয়েছে।
সরেজমিনে উপজলোয় বিভিন্নি এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, কোথাও রাজমিস্ত্রী, কাঠমিস্ত্রি ও শ্রমিকরা নির্মাণাধীন গৃহের ভিটির কাজ করছে, কোথায় ইটের গাঁথুনি, কোথাও কাঠের কাজ ও চালা নির্মাণ করছেন। এসকল গৃহ নির্মাণ কাজ সার্বক্ষণিক তদারকি করছেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার একেএম আব্দুল্লাহ বিন রশিদ । কোথাও কোনো অনিয়মের অভিযোগ পেলে তরিৎগতিতে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে। তবে গৃহ নির্মাণে এখন পর্যন্ত কোথাও কোন অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া যায়নি। হলদিয়া ইউনিয়নের ভূমিহীন জামাল জোমাদ্ধার বলেনএই ঝুপড়ি ঘরের মধ্যে পরিবার পরিজন নিয়ে বসবাস করছি।
বর্তমান সরকাররে পক্ষ থেকে আমাকে বিনামূল্যে একটি পাঁকাঘর তৈরি করে দিচ্ছেন। এজন্য আমি ও আমার পরিবারের সবাই অনকে খুশি। আমি শেখ হাসিনার জন্য আল্লাহর কাছে দোয়াকরি তিনি আরো বেশীদিন ক্ষমতায় থেকে আমাদের মত গরীব, অসহায় ও গৃহহীন মানুষের জন্য কাজ করে যেতে পারেন। সরেজমিনে উপজলোয় বিভিন্নি এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, কোথাও রাজমিস্ত্রী, কাঠমিস্ত্রি ও শ্রমিকরা নির্মাণাধীন গৃহের ভিটির কাজ করছে, কোথায় ইটের গাঁথুনি, কোথাও কাঠের কাজ ও চালা নির্মাণ করছেন। এসকল গৃহ নির্মাণ কাজ সার্বক্ষণিক তদারকি করছেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার।
কোথাও কোনো অনিয়মের অভিযোগ পেলে তরিৎগতিতে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে। তবে গৃহ নির্মাণে এখন পর্যন্ত কোথাও কোন অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া যায়নি। উপজেলার আঠারগাছিয়া ইউনিয়নের ছোনাউঠা গ্রামের জয়নাল (৭০) বলেন, আমি ভিক্ষা করে স্ত্রী ও সন্তান নিয়ে কোন রকমে খেয়ে না খেয়ে ঝড় বৃষ্টি উপেক্ষা করে ঝুপড়ি ঘরের মধ্যে বসবাস করছি। বর্তমান সরকার আমাদের কষ্ট লাগবে একটি পাকা ঘর দিয়েছেন। ঘর দেওয়ায় আমরা অনেক খুশি। দোয়াকরি শেখের বেটি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে উপড় দীর্ঘায়ু কামনা করি ।
হলদিয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো. আসাদুজ্জামান মিন্টু মল্লিক বলেন বলেন, আমি বাচাই করে প্রকৃত যারা ঘর পাওয়ার উপযোগী তাদের মধ্যেই মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দেয়া উপহার ঘর বরাদ্দ দেওয়া হবে । আমতলী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা একেএম আব্দুল্লাহ বিন রশিদ জানিয়েছেন, যারা ঘর পায়নি, অচিরেই তাদের মাথা গোঁজার ঠাঁই হবে। ঘর ও জমির দলিলসহ চাবি হহস্তান্তর হবে। এসব সদস্যরাও অপেক্ষার প্রহর গুনছে তাদের স্বপ্নের ঠিকানার জন্য।
আমতলী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পৌর মেয়র মো. মতিয়ার বলেন, আমতলী হচ্ছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্বাচনী আসন। এ উপজেলা স্বচ্ছ ভাবে ঘর নির্মাণ হচ্ছে । অসহায় দরিদ্ররা খুজে পাবে শান্তির ঠিকানা। আমতলী উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান (ভারপ্রাপ্ত) মো. মজিবুর রহমান বলেন, আমতলী উপজেলার অসহায় ভুমিহীন দরিদ্ররা গৃহহীনরা মুজিব বর্ষের ঘর পেয়ে আনন্দে আত্মহারা। তারা খুজে পেয়েছেন শান্তির ঠিকানা।
এইচকেআর