বরগুনা থেকে যাত্রী না নিয়েই চলে গেল ৩ লঞ্চ
বরগুনা থেকে ঢাকাগামী যাত্রীদের না নিয়ে নির্ধারিত সময়ের আগেই ছেড়ে গেছে তিনটি লঞ্চ। বরগুনা সদর ও আমতলী লঞ্চঘাট থেকে বুকিং দেওয়া যাত্রীদের না জানিয়েই সকালে ছেড়ে গেছে রয়েল ক্রুজ, সুন্দরবন-৭ ও শতাব্দী বাধন নামে তিনটি লঞ্চ। এতে বিপাকে পড়েছেন বরগুনা থেকে ঢাকাগামী যাত্রীরা।
জানা যায়, বরগুনা ও আমতলী ঘাট থেকে প্রতিদিন বিকেল ৩টা ও ৪টায় ঢাকার উদ্দেশ্যে প্রতিদিন তিনটি লঞ্চ ছেড়ে যায়। কিন্তু শুক্রবার (২৯ এপ্রিল) খুব সকালে ঢাকা থেকে আসা যাত্রীদের বরগুনা ঘাটে নামিয়ে দিয়েই ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায় রয়েল ক্রুজ লঞ্চটি। আমতলীর সুন্দরবন-৭ ও শতাব্দী বাধন লঞ্চ দুটিও একইভাবে সকালেই ছেড়ে যায়।
সিডিউল অনুযায়ী প্রতিদিন বিকেলে লঞ্চ ছাড়ার কথা থাকলেও সকালেই ঢাকার যাত্রী নিয়ে ছেড়ে গেছে লঞ্চগুলো। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন সাধারণ যাত্রীরা। লঞ্চের কেবিন প্রি-বুকিং করা যাত্রীদেরও কিছু না জানিয়ে ছেড়ে গেছে লঞ্চগুলো।
পলাশ আহমেদ নামে বরগুনার এক যাত্রী বলেন, আমি ব্যবসা করি। দোকানের মাল আনতে ঢাকা যাওয়ার জন্য রয়েল ক্রুজে আগে থেকেই একটি কেবিন বুক করেছিলাম। লঞ্চ বিকেলে ছাড়ার কথা থাকলেও ঘাটে এসে দেখি সকালেই লঞ্চ চলে গেছে।
খলিল, মারুফ, হাসনাত নামে আমতলীর কয়েকজন যাত্রী বলেন, আমরা আগে থেকেই কেবিনের টিকেট কেটেছি। কিন্তু আমাদের না নিয়েই লঞ্চ ছেড়ে গেছে। এদিকে বাসের টিকেটও পাওয়া যাচ্ছে না। কীভাবে ঢাকা যাব এখন। ঢাকা যাওয়াটা খুব জরুরি।
আমতলী ঘাটের দায়িত্বে থাকা শহীদ মিয়া জানান, অনেক যাত্রী ঢাকা যাওয়ার জন্য ঘাটে এসেছেন তারা জানেন না লঞ্চ ছেড়ে গেছে। এখন ঈদের সময় যাত্রীরা কীভাবে যাবে। বেশি যাত্রী পেতে নির্ধারিত সময়ের আগেই লঞ্চগুলো ঢাকায় চলে গেছে।
বরগুনা নদী বন্দর কর্মকর্তা মামুন অর রশিদ বলেন, এটা সম্পূর্ণ অন্যায়। তারা এভাবে যাত্রী না নিয়ে যেতে পারেন না। স্বেচ্ছাচারিতার মাধ্যমে তারা এমনটা করছেন। আমি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে বিষয়টি জানিয়েছি।
এ বিষয়ে বরগুনার জেলা প্রশাসক হাবিবুর রহমান বলেন, বিষয়টি অন্যায়। আমরা খোঁজ নিয়ে দেখব এবং ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে ব্যবস্থা নেব।
এসএম