ঢাকা শুক্রবার, ১৮ জুলাই ২০২৫

Motobad news

৩৫ বছরের পুরনো সরকারি সড়কের মাটি কেটে নিলেন আ. লীগ কর্মী

 ৩৫ বছরের পুরনো সরকারি সড়কের মাটি কেটে নিলেন আ. লীগ কর্মী
গুগল নিউজে (Google News) দৈনিক মতবাদে’র খবর পেতে ফলো করুন

ভোলার চরফ্যাশনে ৩৫ বছর ধরে সরকারি সড়কের মাটি কেটে নিয়ে দুই শতাধিক পরিবারের চলাফেরায় বাধা সৃষ্টি করেছেন প্রভাবশালী এক আওয়ামী লীগ কর্মী। ইউনুস হাওলাদার নামে ওই আওয়ামী লীগ সমর্থক রাস্তা কেটে গভীর নালা তৈরি করে মাটি নিয়ে গেছেন।


ভুক্তভোগীরা অভিযোগ করেন, চরফ্যাশন উপজেলার হাজারীগঞ্জ ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ড মাইনুদ্দিন মৎস্যঘাট এলাকার বেড়িবাঁধসংলগ্ন নাছির মাঝির হালট ও কামাল মেম্বারের হালটের দুটি সরকারি রাস্তা কেটে প্রায় সাড়ে ৪ ফুট গভীর নালা তৈরি করেছেন ইউনুস হাওলাদার। 

ফলে ওই রাস্তাটি দিয়ে স্থানীয়রা চলাচল করতে না পেরে অন্যের বাগান ও ফসলি জমির মধ্য দিয়ে বাড়িতে যাওয়া-আসা করতে বাধ্য হচ্ছেন। 

ভুক্তভোগী রফিকুল ইসলাম অভিযোগ করে বলেন, আমি এই রাস্তা দিয়ে প্রায় ৩৫ বছর ধরে চলাফেরা করেছি। গত কয়েক দিন ধরে স্থানীয় প্রভাবশালী আওয়ামী লীগ সমর্থক ইউনুস হাওলাদার কোনো কারণ ছাড়াই সরকারি রাস্তাটি কেটে তার বাড়ির বাগানে ও জমিতে মাটি ফেলে জমি ভরাট করে রাস্তাটিকে গভীর নালায় পরিণত করেছে। আমরা বাধা দিলে ইউনুস হাওলাদার জানান, সরকারি হালট থেকে মাটি কেটে নিচ্ছি; কারও ব্যক্তিগত জমি থেকে মাটি কাটছি না। 

ওই বৃদ্ধ আক্ষেপ করে বলেন, আমাদের ২০০ পরিবারের ব্যবহৃত রাস্তা কেটে নিচ্ছে; মনে হয় যেন আমরা সরকারের কেউ না। 

স্থানীয় আ. মালেক ও ফরিদা বেগম বলেন, এই এলাকায় ৪০ বছর ধরে বসবাস করছি। ৪০ বছর ধরে আমরা এ রাস্তাটি ব্যবহার করলেও ইউনুস রাস্তাটি কেটে তার ক্ষমতা দেখিয়েছে। এলাকার সবাই একত্রিত হয়ে একাধিকবার স্থানীয় চেয়ারম্যান সেলিম হাওলাদারকে বিষয়টি অবগত করেছি। চেয়ারম্যান এ বিষয়ে কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। 

মান্নান মাঝি ও হামিদ মাঝি বলেন, রাস্তা কেটে নেওয়ার পর থেকে এই নালার মধ্যে শিশুরা পড়ে যাচ্ছে। নালায় পানি জমে পুরো গ্রামে এখন জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হলেও ইউপি সদস্য, চেয়ারম্যান এবং প্রশাসন কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না। 

অভিযোগ প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগ সমর্থক নেতা ইউনুস হাওলাদার বলেন, আমি রাস্তাটির পাশে ৬ ফুট রেখে মাটি কেটেছি। আমি ওই জমি ভরাট করে দেব। 

এ বিষয়ে জানতে হাজারীগঞ্জ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সেলিম হাওলাদারকে একাধিকবার ফোন দিলেও তিনি রিসিভ করেননি। 

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আল নোমান রাহুল বলেন, ইউনিয়ন তহশিলদারের সঙ্গে কথা বলে তদন্ত সাপেক্ষে এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। 
 


এইচকেআর
গুগল নিউজে (Google News) দৈনিক মতবাদে’র খবর পেতে ফলো করুন