‘কাঁকড়া খেয়ে’ পর্যটকের মৃত্যু

সমুদ্র সৈকতে বেড়াতে গিয়ে হোটেলে কাঁকড়া খান এক পর্যটক। কাঁকড়া খাওয়ার পরপরই তার শরীরে শুরু হয় তীব্র অস্বস্তি। অসুস্থতা বাড়লে দ্রুত তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তবে হাসপাতালে নেওয়ার আগেই তিনি মারা যান। রোববার ভারতের পশ্চিমবঙ্গের পূর্ব মেদিনীপুর জেলার দিঘা সমুদ্র সৈকতের পাশে তাজপুর সমুদ্র সৈকত এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের খবরে বলা হয়, নিহত ব্যক্তির নাম সুদীপ মুখোপাধ্যায়। তিনি পশ্চিমবঙ্গের উত্তর ২৪ পরগনার সোদপুরের বাসিন্দা। গত শনিবার সপরিবারে দিঘা বেড়াতে গিয়েছিলেন সুদীপ। রোববার দিঘা থেকে তারা গিয়েছিলেন তাজপুরে।
রোববার দুপুরে তাজপুরের স্থানীয় একটি হোটেলে খাওয়া-দাওয়া করে সমুদ্রস্নানে নামেন সুদীপ ও তার পরিবারের সদস্যরা। কিন্তু সমুদ্রে নামতেই শরীরে অস্বস্তি শুরু হয় সুদীপের। অসুস্থতা বাড়তে থাকায় তাকে দিঘা হাসপাতালে নেওয়া হয়। তবে তার আগেই সুদীপ মারা যান বলে জানান সেখানকার চিকিৎসকেরা।
নিহতের পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন, রোববার দুপুরে তাজপুরের এক হোটেলে কাঁকড়া খাওয়ার পর থেকেই সুদীপের শরীর খারাপ হতে শুরু করে। যদিও এখন পর্যন্ত তার মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানাতে পারেননি চিকিৎসকেরা।
দিঘা মোহনা কোস্টাল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) অমিত দেব জানিয়েছেন, কাঁকড়া খাওয়ার পরই ওই ব্যক্তি অসুস্থ হয়ে পড়েন। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পেলে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে।এ বিষয়ে থানায় অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে।
দিঘায় বেড়াতে এসে কাঁকড়া খেয়ে এর আগেও একাধিক মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। গত বছরের নভেম্বর ও ডিসেম্বর মাসে কাঁকড়া খেয়ে দিঘায় পরপর দুই পর্যটকের মৃত্যু হয়েছিল। যদিও ওই দুই পর্যটকেরই অ্যালার্জির সমস্যা ছিল বলে জানা গিয়েছে।
কাঁকড়া খাওয়ার পর তাদের মুখে-ঠোঁটে অস্বস্তি শুরু হয়। পরে হাসপাতালে নিয়ে গেলে তাদের মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসকরো। কয়েক মাসের ব্যবধানে আবার কাঁকড়া খাওয়ার পরপরই অসুস্থ হয়ে মৃত্যুর ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে দিঘা ও এর আশপাশের সৈকতগুলোতে।
এএজে
