এখন বন্দুক নিয়ন্ত্রণ আইন করার সময়


নির্বিচারে গুলিবর্ষণে এবার ইলেমেন্টারি স্কুলের ১৮ শিশু শিক্ষার্থীসহ ২১ জনের প্রাণ ঝরলো যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাসে। এর ১০ দিন আগে নিউইয়র্ক স্টেটের বাফেলোতে একটি গ্রোসারী স্টোরে নির্বিচার গুলিবর্ষণে মারা গেছে ১০ জন কৃষ্ণাঙ্গ আমেরিকান। মঙ্গলবারের এই গণহত্যার ঘটনাটি এ বছরের সবচেয়ে ভয়ংকর এবং সবচেয়ে বেশী মানুষের প্রাণ কেড়ে নিল।
মঙ্গলবারের পরিস্থিতির পর উদ্বিগ্ন, হতাশ এবং ক্রোধান্বিত প্রেসিডেন্ট বাইডেন চেষ্টা করেছেন কংগ্রেসের ব্যর্থতার প্রতি ইঙ্গিত করতে যে, কেন তারা বন্দুক নিয়ন্ত্রণেরে বিধি তৈরীতে সক্ষম হচ্ছে না।
বাইডেনের মতে, তিনি এমন একটি দেশের নেতা হয়েছেন যেখানে নির্বিচার গণহত্যার ঘটনা কমছে না। কমার কোনো লক্ষণই দেখা যাচ্ছে না। একজন বাবা যিনি তার দুটি সন্তানকে হারিয়েছেন, এক ব্যক্তি যিনি সম্ভবত: যে কোন জীবিত রাজনীতিকের চেয়ে বেশী কঠিন পরিস্থিতির সম্মুখীন হয়েছেন। একের পর এক চ্যালেঞ্জের সম্মুৃখীন হচ্ছেন। ট্র্যাজেডি থেকে জাতিকে পরিত্রাণের অভিপ্রায়ে সান্তনা দেওয়ার চেষ্টা করছেন।
টেক্সাসের উভেল্ড সিটির ইলেমেন্টারি স্কুলে শিশু শিক্ষার্থীদের নির্বিচারে হত্যার সংবাদ জানার কয়েক ঘণ্টা পর হোয়াইট হাইজের রুজভেল্ট রুম থেকে ৭ মিনিটের আবেগঘন বক্তব্যে বাইডেনের প্রশ্ন-কেন আমরা এমন হত্যাযজ্ঞকে নিত্য সঙ্গী করে বাঁচতে চাচ্ছি? কেন আমরা এমন পরিস্থিতিকে চলতে দিচ্ছি? কোথায় আমাদের ঈশ্বরের প্রতি আনুগত্যের মেরুদণ্ড? বাইডেন উল্লেখ করেন, এখন সময় হচ্ছে এই কষ্টবোধকে শক্তিতে পরিণত করে নির্বিচার গুলিবর্ষণের ঘটনা বন্ধে বন্দুক নিয়ন্ত্রণ আইন করা।
এমইউআর
