ঢাকা শনিবার, ০৬ ডিসেম্বর ২০২৫

Motobad news

ট্রাফিক পুলিশের লাঠিপেটায় সংবাদকর্মী ‍আহত

ট্রাফিক পুলিশের লাঠিপেটায় সংবাদকর্মী ‍আহত
গুগল নিউজে (Google News) দৈনিক মতবাদে’র খবর পেতে ফলো করুন

বরগুনার পৌরশহরে ট্রাফিক পুলিশের লাঠিপেটায় এক সংবাদকর্মী আহত হয়েছেন ৷ এছাড়াও ওই সংবাদকর্মীকে লাঞ্ছিত করেছেন ট্রাফিক পুলিশের ওই সদস্য। এঘটনায় অভিযুক্ত ট্রাফিক পুলিশের সদস্যের বিচারের দাবিতে রাস্তায় অবস্থান নেয় আহত সাংবাদিক। পরে সংবাদকর্মীকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে বরগুনা সদর হাসপাতালে নিয়ে যায় তার সহকর্মীরা।  

শুক্রবার (৩ মে) সন্ধ্যা পৌনে ৭ টার দিকে পৌরশহরের মাছ বাজারের সামনে সদর রোডে এঘটনা ঘটে। আহত সাংবাদকর্মীর নাম ফখরুল ইসলাম রনি (৩৩) । তিনি একটি আন্তর্জাতিক গনমাধ্যমের সংবাদদাতা ও চ্যানেল নাইনের সাবেক জেলা প্রতিনিধি। এছাড়াও কমিউনিটি রেডিও লোকবেতারের সহকারী ব্যবস্থাপক হিসেবেও কর্মরত আছেন।

ভুক্তভোগী সংবাদকর্মী রনি ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সন্ধ্যার দিকে একটি ইজিবাইকে চড়ে মাছবাজার এলাকায় আসেন তিনি। এসময় তাকে বহন করা ইজিবাইকটি সামনের রাস্তায় পার্কিং করা ছিল। হঠাৎ ট্রাফিক পুলিশের এক সদস্য সেখানে এসে পার্কিং করা রিকশার উপর লাঠিচার্জ করতে থাকে। এতে লাঠির আঘাতে রনির ঘাড়ে ও হাতের কনুইয়ে আঘাত লাগে। পরে ইজিবাইকটি ট্রাফিক পুলিশের ধাওয়া খেয়ে দ্রুত চলে যাওয়ার সময় রনির ডান পায়ের উপর থেকে চলে যায়। এতে গুরুতর আহত হন রনি।

পরে এমনটা করার কারন জানতে চাইলে ফখরুল ইসলাম রনিকে গালিগালাজ করে ওই ট্রাফিক পুলিশের সদস্য। এরপর এঘটনার বিচারের দাবিতে রাস্তায় অবস্থান নেন রনি। ঘন্টাখানেক অবস্থান কর্মসূচি পালন করে রনি। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান বরগুনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আলী আহম্মদ। পরে সহকর্মীরা এসে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে বরগুনা সদর হাসপাতালে নিয়ে যায় রনিকে। 

বরগুনা প্রেসক্লাবের সদস্য ও বাংলাভিশনের জেলা প্রতিনিধি সহিদুল ইসলাম স্বপ্ন বলেন, আমাদের সহকর্মী রনিকে লাঠিপেটা করেছে এক  ট্রাফিক পুলিশ সদস্য। শুধু রনি নয়, পুলিশের হাতে বহু সংবাদকর্মী লঞ্ছিত হচ্ছে।  যেখানে একজন সংবাদকর্মী নিরাপদ নয়, সেখানে সাধারন মানুষের কথা না-ই বললাম। আমরা এঘটনার সুষ্ঠু বিচার চাই।

স্থানীয় দৈনিক স্বাধীন বানী পত্রিকার বার্তা সম্পাদক সানাউল্লাহ রিয়াদ বলেন, ট্রাফিক পুলিশের লাঞ্ছনার শিকার আমিও হয়েছি। আইনশৃঙ্খলা সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী রাত দশটার আগে বরগুনা পৌরশহরের মধ্যে মালবাহী গাড়ি পন্য লোড-আনলোড করতে পারবেনা। তবুও সকাল থেকেই শহরে বড় বড় মাল বোঝই গাড়ি ঢুকে যানজটের সৃষ্টি করে। যা ট্রফিক পুলিশের নাকের ডগায়ই হচ্ছে। টমটম, ট্রাক্টরসহ অবৈধ যানবাহন অনবরত শহরের মধ্যে প্রবেশ করেই যাচ্ছে। বিষয়টি আমি ট্রাফিক পুলিশের দায়িত্বে থাকা  এটিএসআই জিলানি সাহেবকে জিগ্যেস করলে তিনি আমাকে বলেন পুলিশকে চার্জ করার আপনি কে? আমি পরিচয় দিলে তিনি বলেন আমার মত ৫-৬ সাংবাদিক নাকি তারও আছে। এই যদি হয় পুলিশের আচরন তাহলে সাধারণ মানুষরা কোথায় নিরাপদ।

এবিষয়ে কথা বলতে বরগুনা পুলিশ সুপার জাহাঙ্গীর মল্লিকের সাথে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও যোগাযোগ করা যায়নি। তার মোবাইল নম্বরেও একাধিক বার কল করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি।


এএজে
গুগল নিউজে (Google News) দৈনিক মতবাদে’র খবর পেতে ফলো করুন