ঢাকা শনিবার, ০৬ ডিসেম্বর ২০২৫

Motobad news

আমতলীতে ওসি মিজানুর রহমানের তৎপরতায় কমে গেছে অপরাধ প্রবনতা 

আমতলীতে ওসি মিজানুর রহমানের তৎপরতায় কমে গেছে অপরাধ প্রবনতা 
গুগল নিউজে (Google News) দৈনিক মতবাদে’র খবর পেতে ফলো করুন

উপকুলীয় জনপদ বরগুনা জেলার আমতলী  উপজেলার আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির ক্রমাগত অবনতির মোড় ঘুরিয়ে দিয়েছেন  থানার অফিসার ইনর্চাজ (ওসি) একএম মিজানুর রহমান । তিনি যোগদানের পর কমে গেছে মাদকের ভয়বহতা, চুরি, ডাকাতি, ছিনতাইসহ চাঁদাবাজির ঘটনা। বর্তমান পরিস্থিতিতে স্বস্তিবোধ করছেন উপজেলার সকল শ্রেনীর মানুষ। তার এ সফলতাকে সাধুবাদ জানিয়েছে সর্বস্তরের জনসাধারন।

সরেজমিনে ঘুরে সাধারণ মানুষের কথা বলে জানা গেছে, হঠাৎ করেই পাল্টে গেছে আমতলীর  অপরাধ প্রবণতা। পাল্টে গেছে এ উপজেলার দৃশ্যপট। গা ঢাকা দিয়েছে অনেক অপরাধী। অপরাধীদের কেউ কেউ পেশা পাল্টে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসতে শুরু করেছে। পুলিশের কৌশলী ভূমিকার কারণেই ভেঙ্গে পড়েছে অপরাধীচক্রের নেটওয়ার্ক। আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির এই উন্নতিতে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন অনেকে।

স্থানীয় সচেতন মহল বলছেন, উপজেলার আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নয়নে অসাধারণ ভূমিকা রয়েছে আমতলী  থানা পুলিশের। বিশেষ করে থানার ওসি একে এম মিজানু রহমানের  যোগদানের পর অপরাধ দমনে তার আন্তরিকতার প্রমাণ মিলেছে।

আমতলী  কুকুয়া ইউপি চেয়ারম্যান মো. বোরহান উদ্দিন মাসুম তালুকদার বলেন, থানার  অফিসার ইনচার্জ যোগদানের পর থেকেই  বদলিয়ে দিয়েছেন উপজেলার চিত্র।  উপজেলার ৭টি ইউনিয়নে পুলিশী তৎপরতা জোরদার থাকায় অতীতের তুলনায় অপরাধ কর্মকান্ডের সংখ্যা এখন অনেক কম। 

চাওড়া ইউপি চেয়ারম্যান আখতারুজ্জামান  বাদল  বলেন, বর্তমান ওসি যোগদান করায় আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি দেখা দিয়েছে।

উপজেলা পুলিশিং কমিটির সভাপতি বলেন মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার বলেন,  থানার অফিসার ইনচার্জ একেএম  মিজানুর রহমান  দায়িত্ব গ্রহনের পর থেকে চোর, ডাকাত, মাদক, , ইভটিজিং, নাশকতা সৃষ্টিকারীর বিরুদ্ধে যে ধরনের ভুমিকা নিয়ে কাজ করেছে তা অব্যশই প্রশংসানীয়। এ ছাড়াও পুলিশ উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে চোর, ডাকাত, মাদক দ্রব্য বিক্রেতা, মাদক, সেবনকারী , ইভটিজিং, নাশকতা সৃষ্টিকারীদের গ্রেফতার করে জেল হাজতে প্রেরণ করেছে।

উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি মো. মোতাহার উদ্দিন মৃধা  বলেন, থানার বর্তমান অফিসার ইনচার্জ এর যুগান্তকারী পদক্ষেপের জন্য থানায় মামলার জট কমে গেছে, তাছাড়া তিনি তদন্ত ছাড়া কোন মামলা রেকর্ড করে না। থানা পুলিশ সদস্যরা প্রত্যন্ত গ্রামগুলোয় সার্বক্ষনিক টহল জোরদার করায় আইন শৃংখলা পরিস্থিতির এই উন্নতি হওয়ায় সাধারণ মানুষের মাঝে স্বস্থি ফিরে এসেছে। 


আমতলী  থানার অফিসার ইনর্চাজ একেএম মিজানুর রহমান  বলেন, ৩ জুন থেকে পুলিশ ট্রেনিং সেন্টার সারদায় প্রশিক্ষনে আছি । জনগণের সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ন্যায় ও নিষ্ঠার সঙ্গে আজীবন কাজ করে যাব। আমতলী  থানাকে সব ধরণের অপরাধমুক্ত ও একটি আদর্শ থানা হিসেবে গড়ে তোলার প্রত্যয় নিয়ে কাজ শুরু করেছি। এ ধারা অব্যাহত থাকবে। তিনি আমতলীর সার্বিক আইন শৃংখলা ভাল রাখার জন্য সকলের সহযোগিতা কামনা করেছেন।


এইচকেআর
গুগল নিউজে (Google News) দৈনিক মতবাদে’র খবর পেতে ফলো করুন