ঢাকা শুক্রবার, ১৮ জুলাই ২০২৫

Motobad news

শখের কবুতরে মিটছে পড়ালেখার খরচ

শখের কবুতরে মিটছে পড়ালেখার খরচ
গুগল নিউজে (Google News) দৈনিক মতবাদে’র খবর পেতে ফলো করুন

২০১৭ সালের জানুয়ারি মাসের দিকে মামার কাছ থেকে শখের বশে দেশীয় জাতের ৩ জোড়া কবুতর নিয়ে পালতে শুরু করেন ভোলার লালমোহন উপজেলার পশ্চিম চরউমেদ ইউনিয়নের পাঙ্গাশিয়া গ্রামের ফারুক মিয়ার ছেলে রাব্বি।

শখ থেকে শুরু করা কবুতরই এখন হয়ে উঠেছে তার আয়ের অন্যতম উৎস; যা দিয়ে মিটছে রাব্বির পড়ালেখার খরচ। কবুতরের পেছনে ব্যয় বাদে বর্তমানে তার মাসিক আয় হচ্ছে অন্তত ৫ হাজার টাকা। রাব্বির কবুতর পালায় সহযোগিতা করেন তার মা রাজু বেগম। ইতোমধ্যে তার দেখাদেখি ওই গ্রামের আরও অনেক শিক্ষার্থী শুরু করে দিয়েছে কবুতর পালন। 

রাব্বির বাড়িতে গিয়ে কথা হয় তার সঙ্গে। সে জানায়, ২০১৭ সালের জানুয়ারিতে ৩ জোড়া কবুতর নিয়ে পালন শুরু করেন। তখন তিনি নবম শ্রেণিতে পড়তেন। বর্তমানে ভোলা সরকারি কলেজে অনার্স ২য় বর্ষে পড়ছেন। ২০১৭ সালের সেই ৩ জোড়া কবুতরে এখন হয়েছে ৫০ জোড়া।
 
রাব্বি আরও বলেন, বাড়ি থেকে বাচ্চা কবুতর বেশি বিক্রি হয়। বড় হলে গ্রামের বাজারগুলোতে গিয়ে বিক্রি করি। আবার মাঝে মাঝে ব্যাপারীরা বাড়িতে এসে কবুতর কিনে নিয়ে যান। বিগত ৪-৫ বছর ধরে কবুতর থেকে আসা আয় দিয়েই নিজের পড়ালেখার খরচ বহন করছি।

রাব্বির মা রাজু বেগম বলেন, ছেলে শখ করে কবুতর পালন শুরু করে। বর্তমানে ওই কবুতর পালন বাণিজ্যিকভাবে শুরু করে দিয়েছে রাব্বি। এখন আর পরিবার থেকে পড়ালেখার খরচ দেওয়া লাগে না তাকে। নিজের পড়ালেখার খরচের পরেও আমাকে ঈদ আসলে শাড়ি জুতাসহ ঈদের মার্কেট করে দেয়। তার বাবাকে ঈদের সময় লুঙ্গি-পাঞ্জাবিসহ ঈদের কেনাকাটা করে দেয়।

উপজেলা উপসহকারী প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা মো. বেলাল উদ্দিন বলেন, পড়ালেখার পাশাপাশি অনেক শিক্ষার্থীই এমন উদ্যোগ নিতে পারে। এতে নিজের পড়ালেখার খরচ বহন করার পাশাপাশি পরিবারকেও সহযোগিতা করতে পারবে তারা। রাব্বিকে উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিস থেকে কবুতর পালনের ক্ষেত্রে সব ধরনের সহযোগিতা করা হবে।


এইচকেআর
গুগল নিউজে (Google News) দৈনিক মতবাদে’র খবর পেতে ফলো করুন