ঢাকা সোমবার, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫

Motobad news

শ্রীলঙ্কাকে ফের মার্কিন বলয়ে ফেরাতে সক্রিয় জুলি চাং

শ্রীলঙ্কাকে ফের মার্কিন বলয়ে ফেরাতে সক্রিয় জুলি চাং
গুগল নিউজে (Google News) দৈনিক মতবাদে’র খবর পেতে ফলো করুন

শ্রীলঙ্কাকেন্দ্রিক ভূরাজনৈতিক তৎপরতায় নতুন করে সক্রিয় হয়ে উঠছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। এ সক্রিয়তার পুরোধা হিসেবে রয়েছেন শ্রীলঙ্কায় নিয়োজিত মার্কিন রাষ্ট্রদূত জুলি চাং। শ্রীলঙ্কাকে পুনরায় মার্কিন প্রভাববলয়ে নিয়ে আসতে বদ্ধপরিকর তিনি।

চলমান সংকটের মধ্যে শ্রীলঙ্কায় যুক্তরাষ্ট্রের সক্রিয়তা একটু একটু করে বাড়তে দেখা যাচ্ছে। বিশেষ করে রনিল বিক্রমাসিংহে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ পাওয়ার পর থেকেই দ্বীপদেশটিতে যুক্তরাষ্ট্র ও পশ্চিমা আনুকূল্যের মাত্রা একটু একটু করে বাড়ছে। শ্রীলঙ্কায় চীনের প্রভাব মোকাবেলায় ভারতের ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত রনিল বিক্রমাসিংহেকে নির্ভরযোগ্য সহযোগী হিসেবে দেখছে ওয়াশিংটন। প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তার নিযুক্তির পর প্রথম উচ্ছ্বসিত সমর্থনও এসেছিল শ্রীলঙ্কায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত জুলি চাংয়ের কাছ থেকে।
এ প্রসঙ্গে জুলি চাংয়ের মন্তব্য ছিল, প্রধানমন্ত্রী হিসেবে রনিল বিক্রমাসিংহের নিযুক্তি এবং দ্রুত একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক সরকার গড়ে তোলার উদ্যোগ হল সংকট নিরসন এবং স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনার পথে প্রথম পদক্ষেপ।

রনিল বিক্রমাসিংহেকেই এ মুহূর্তে শ্রীলঙ্কায় মার্কিন ও পশ্চিমা স্বার্থ সংরক্ষণের জন্য সবচেয়ে উপযুক্ত ব্যক্তি হিসেবে দেখছেন জুলি চাং। প্রধানমন্ত্রী হিসেবে আগের মেয়াদে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে স্ট্যাটাস অব ফোর্সেস এগ্রিমেন্ট (সোফা) চুক্তির সপক্ষে শক্ত অবস্থান নিয়েছিলেন রনিল বিক্রমাসিংহে। এমনকি চুক্তির মার্কিন শর্তগুলো নিয়ে কোনও ধরনের দ্বিমতও ছিল না তার। সে সময় মার্কিন শর্তমাফিক চুক্তি সই হলে যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষে ভারত মহাসাগরের নিরাপত্তা কাঠামোর অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে নিয়ে নেওয়া সম্ভব ছিল বলে মনে করছেন রাজনীতির পর্যবেক্ষকরা। 

এমনকি কারও কারও মতে, এতে শ্রীলঙ্কায় মার্কিন ঘাঁটি স্থাপনের পথও খুলে যেত। সাবেক প্রেসিডেন্ট মাইথ্রিপালা সিরিসেনার সঙ্গে তার বিরোধ ও শ্রীলঙ্কায় তখন দেখা দেওয়া সাংবিধানিক সংকটের পেছনে বিষয়টি বড় ধরনের ভূমিকা রেখেছে বলে মনে করা হয়। ভারত ও পশ্চিমাঘেঁষা অবস্থান শ্রীলঙ্কার অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে বিক্রমাসিংহেকে অনেকটাই অজনপ্রিয় করে তুলেছিল। সর্বশেষ নির্বাচনেও দেশটির জাতীয় পার্লামেন্টে তার দল আসন পেয়েছিল মোটে একটি। এরপরও তাকে প্রধানমন্ত্রিত্ব ফিরে পাওয়ার সুযোগ করে দিয়েছে চলমান সংকট।

এছাড়া শ্রীলঙ্কার সঙ্গে নিরাপত্তা সহযোগিতা বাড়ানোয় মার্কিন আগ্রহের কথাও তার বক্তব্যে উঠে এসেছে।


এমইউআর
গুগল নিউজে (Google News) দৈনিক মতবাদে’র খবর পেতে ফলো করুন