নির্বাচনী সংস্কার বিলে স্বাক্ষর করলেন না পাকিস্তানি প্রেসিডেন্ট


ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ও বিদেশী পাকিস্তানিদের ভোট দেওয়া ইস্যুতে সংশোধনী বিলে স্বাক্ষর করেননি পাকিস্তানি প্রেসিডেন্ট ডা. আরিফ আলভি। রোববার নির্বাচন (সংশোধনী) বিল-২০২২ প্রত্যাখ্যান করে তা ফিরিয়ে দিয়েছেন তিনি।
এক দশকেরও বেশি সময় ধরে এ ইস্যুটির সাথে তার সম্পৃক্ততা না থাকার পরেও পাকিস্তানি প্রেসিডেন্ট এ সংসদীয় বিলটির প্রতি কোনো আগ্রহ দেখাননি। এ বিষয়ে তিনি বলেন, যদিও বিলটি সংসদের একটি আইন হয়ে উঠতে পারে তবে ভবিষ্যত প্রজন্ম এবং দেশের স্বার্থে ভারাক্রান্ত হৃদয়ে তিনি এতে স্বাক্ষর করবেন না।
এমন অসম্মতি প্রকাশ করার সময় তিনি বলেন, ‘আমি ভবিষ্যত প্রজন্মের জন্য আমার যুক্তি এবং ধারণাগুলো লিখতে চাই।’
আলভি প্রস্তাবিত আইনটিকে ‘পশ্চাদমুখী’ বলে অভিহিত করেছেন। এ বিষয়ে তিনি বলেন, নির্বাচনে যখন প্রযুক্তি বা ইভিএম কার্যকরভাবে ব্যবহার করা হয়, তখন প্রচলিত পদ্ধতির অনেক সমস্যার সমাধান হয়। এটা বিতর্কিত ও চ্যালেঞ্জিং নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় অস্পষ্টতা, মতবিরোধ এবং কারচুপির অভিযোগ কমাতে পারে।
রাষ্ট্রপতির অভিমত ছিল যে ওই পদ্ধতিগুলোর মাধ্যমে প্রবাসীদের ভোট দেওয়ার অনুমতি দেওয়া যায়। এমন নির্বাচনী প্রক্রিয়া বিদেশে পাকিস্তানিদের ভোটে অংশগ্রহণকে সহজতর করবে, রাজনৈতিক আস্থার পরিবেশ তৈরি করবে এবং বিভাজনের প্রক্রিয়া হ্রাস করবে।
পাকিস্তানের অগ্রগতি দেখার আগ্রহ প্রকাশ করে তিনি আরও জোর দিয়ে বলেন, ‘আজকের সমস্যাগুলো কেবল অতীতের অভিজ্ঞতার আলোকে সমাধান করা উচিত নয়, আধুনিক ও নতুন বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি ব্যবহার করা উচিত।’
এএজে
