ঢাকা রবিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫

Motobad news
মুদ্রাস্ফীতি লাগামহীন

স্বর্ণমুদ্রা চালু করছে জিম্বাবুয়ে

স্বর্ণমুদ্রা চালু করছে জিম্বাবুয়ে
গুগল নিউজে (Google News) দৈনিক মতবাদে’র খবর পেতে ফলো করুন

দক্ষিণ আফ্রিকার দেশ জিম্বাবুয়ের বর্তমানে মুদ্রাস্ফীতি আরও লাগামহীন। এই বেহাল দশায় পরিস্থিতি সামাল দিতে বৈধ লেনদেনের মাধ্যম হিসেবে স্বর্ণমুদ্রা চালুর উদ্যোগ নিয়েছে জিম্বাবুয়ের কেন্দ্রীয় ব্যাংক। চলতি জুলাই মাসের শেষ নাগাদ এই ব্যবস্থা চালু হবে বলে জানা গেছে।

জুনে জিম্বাবুয়েতে দ্বিগুণের বেশি বেড়েছে মুদ্রাস্ফীতি। দেশটিতে গত মাসে মুদ্রাস্ফীতি ছিল ১৯১ শতাংশ, যা ২০০০ সালের মুদ্রাস্ফীতির বিষয়টিই স্মরণ করে দিচ্ছে। ওই সময় দেশটির মুদ্রার মান তিনবার পরিবর্তন করা হয়েছিল। যদিও অবশেষে ২০০৯ সালে মুদ্রাটি একেবারে পরিত্যক্ত করা হয়।

দেশটির কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর জন ম্যাংগুদা আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেছেন, স্বর্ণমুদ্রা বিনিময় মূল্য হিসেবে কাজ করবে এবং এটি দেশে মার্কিন ডলারের চাহিদা হ্রাস করবে। ডলারের দাম বেড়ে যাওয়ায় স্থানীয় মুদ্রার মূল্য অনেক কমে গেছে।

ম্যাংগুদা আরও বলেন, স্থানীয় মুদ্রা এবং মার্কিন ডলারসহ অন্যান্য বিদেশি মুদ্রা উভয় দিয়েই এই স্বর্ণমুদ্রা জনগণের কাছে বিক্রি করা যাবে। সেক্ষেত্রে স্বর্ণমুদ্রার দাম প্রচলিত আন্তর্জাতিক মূল্য এবং উৎপাদন খরচের ওপর ভিত্তি করে নির্ধারণ করা হবে।

এই স্বর্ণমুদ্রার নামকরণ করা হবে জলপ্রপাত ‘ভিক্টোরিয়া ফলস’ বা স্থানীয়ভাবে পরিচিত ‘মসি-ওয়া-তুনয়ার’ নামানুসারে। এ মুদ্রায় স্থানীয় বা আন্তর্জাতিক নগদ মুদ্রাও ভাঙানো যাবে, যা দিয়ে স্থানীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে বাণিজ্য করা যাবে।

এদিকে, স্বর্ণমুদ্রা চালুর ঘোষণায় মিশ্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন দেশটির নাগরিকরা। স্থানীয় বৈদেশিক মুদ্রা ব্যবসায়ী ইভান মুপাচিকা বলেন, “এর ওপর আমার আস্থা নেই। আমার নগদ অর্থ রেখে কেন্দ্রীয় ব্যাংক একটি কয়েন ধরিয়ে দেবে।”

উল্লেখ্য, জিম্বাবুয়ের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ওপর নাগরিকের আস্থা সংকট রয়েছে। কারণ, এর আগে আর্থিক কর্তৃপক্ষ বিশ্বাসযোগ্যতা পরীক্ষায় ব্যর্থ হয়েছে।

২০০৮ সালে দেশটি ১০০ বিলিয়ন ডলার (জিম্বাবুয়ে) নোট বাজারে আনে। জিম্বাবুয়ের ডলারের ভয়াবহ পতনের ফলে অনেক নাগরিক তাদের জমানো অর্থ হারান। কারও কারও পেনশন হারাতে হয়। এতে লোকজন ব্যাংকে অর্থ রাখা বাদ দিয়ে বাড়িতে অর্থ জমাতে শুরু করেন। ২০০৯ সাল থেকে মুদ্রাস্ফীতিতে জর্জরিত ডলার থেকে সরে আসে জিম্বাবুয়ে। এর বদলে মার্কিন ডলার নির্ভরশীল হয়ে পড়ে দেশটি। ২০১৯ সালে আবার স্থানীয় মুদ্রা চালু করা হয়। তবে সেটিও দ্রুত মূল্য হারায়।


এমইউআর
গুগল নিউজে (Google News) দৈনিক মতবাদে’র খবর পেতে ফলো করুন