পদত্যাগের হিড়িক যুক্তরাজ্যের মন্ত্রিসভায়
7.jpg)

পদত্যাগের হিড়িক পড়েছে যুক্তরাজ্যের মন্ত্রিসভায়। এরই মধ্যে দুই দিনে (মঙ্গলবার ও বুধবার) সরকারি দায়িত্ব থেকে মন্ত্রী ও তাদের সহযোগী মিলে ৪০ জনের বেশি পদত্যাগ করেছেন। একের পর এক মন্ত্রী ইস্তফা দিলেও তা আমলেই নিচ্ছেন না ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন।
বরং তিনি স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, ২০১৯ সালের ভোটের ফলাফল বলে দিয়েছে যে জনগণ তাকেই ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দেখতে চান। ফলে, পদত্যাগ করার প্রশ্নইআসে না।
মঙ্গলবার দেশটির অর্থমন্ত্রী ঋষি সুনাক এবং স্বাস্থ্যমন্ত্রী সাজিদ জাভিদ পদত্যাগপত্র জমা দেওয়ার পরই মূলত এই পদত্যাগের হিড়িক পড়ে।
পদত্যাগকারী উল্লেখযোগ্য মন্ত্রীদের মধ্যে রয়েছেন নগরোন্নয়ন মন্ত্রী জন গ্লেন, সংস্কৃতিমন্ত্রী জুলিয়া লোপেজ, বাণিজ্যমন্ত্রী লি রাউলি, ন্যায় দফতরের প্রতিমন্ত্রী ভিক্টোরিয়া অ্যাটকিন্স, পার্লামেন্ট ও বাণিজ্য দফতরের ভারপ্রাপ্ত মন্ত্রী ফেলিসিটি বুকান, পরিবার ও শিশু কল্যাণমন্ত্রী উইল কুইন্স, সমতা বিষয়ক মন্ত্রী নিল ও’ ব্রায়েন, স্থানীয় সরকার মন্ত্রী কেমি বাদেনোচ, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জুনিয়র মন্ত্রী র্যাচেল ম্যাকলিন, নিরাপত্তা বিষয়ক মন্ত্রী র্যাচেল ম্যাকলিন।
মঙ্গলবার পিঞ্চার প্রসঙ্গে পার্লামেন্টে বৈঠকে ক্ষমা চেয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। তার বক্তৃতার কয়েক মিনিটের মধ্যেই ইস্তফা দেন ঋষি সুনাক ও সাজিদ জাভিদ।
তবে মন্ত্রীসভার এতগুলো সদস্য পদত্যাগ করলেও নিজে পদত্যাগ না করার বিষয়ে অনড় জনসন। পার্লামেন্টের প্রশ্নোত্তর অধিবেশনে তিনি বলেন, “কঠিন সময়েও অবিচল থাকা একজন প্রধানমন্ত্রীর কর্তব্য। আমি সেই দায়িত্বই পালন করছি। তাছাড়া, ২০১৯ সালের নির্বাচনে দেশের মানুষ আমাকে বিপুল ভোট দিয়ে ক্ষমতায় এনেছেন, যা থেকে স্পষ্ট, তারা আমাকেই প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দেখতে চান।”
এমইউআর
