ঢাকা সোমবার, ০৭ জুলাই ২০২৫

Motobad news

টাকার মান আরও কমলো

টাকার মান আরও কমলো
গুগল নিউজে (Google News) দৈনিক মতবাদে’র খবর পেতে ফলো করুন

ডলারের বিপরীতে আবারও ৫০ পয়সা দর হারিয়েছে বাংলাদেশি মুদ্রা টাকা। বৃহস্পতিবার (২১ জুলাই) আন্তঃব্যাংক মুদ্রাবাজারে এক ডলারের জন্য খরচ করতে হয়েছে ৯৪ টাকা ৪৫ পয়সা। আগের দিন বুধবার তা ছিল ৯৩ টাকা ৯৫ পয়সা।

বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক সিরাজুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, বৃহস্পতিবার ব্যাংকগুলোর চাহিদা অনুযায়ী কেন্দ্রীয় ব্যাংক ৭ কোটি ডলার বিক্রি করেছে। দাম নির্ধারিত হয়েছে ৯৪ টাকা ৪৫ পয়সা। আর এটাই আজকের আন্তঃব্যাংক দর।

প্রসঙ্গত,  গত এক মাসের ব্যবধানে ডলারের বিপরীতে টাকার মান কমেছে ৫ শতাংশের বেশি। আর এক বছরের ব্যবধানে কমেছে ১০ দশমিক ৮০ শতাংশ।

এদিকে খোলা বাজারে ডলার বিক্রি হচ্ছে আরও চড়া দামে। গত সপ্তাহের শেষে খোলাবাজারে ডলারের দাম ছিল ৯৮ টাকা। এই সপ্তাহের শুরুতে তা একশ’ টাকার উপরে উঠে।

বুধবার (২০ জুলাই) তা ১০২ টাকা ৬০ পয়সা পর্যন্ত উঠে যায়। অর্থাৎ গত চার দিনের ব্যবধানে খোলাবাজারে ডলারের দাম বেড়েছে প্রায় পাঁচ টাকা।

সাধারণত, খোলাবাজারে ডলারের চাহিদা বাড়লে মুদ্রা বিনিময়ের প্রতিষ্ঠানগুলো ব্যাংক থেকে ডলার কিনে গ্রাহকের কাছে বিক্রি করে থাকে। কিন্তু এখন ব্যাংকেও ডলারের সংকট। তাতে অনেক ব্যাংক এখন উল্টো খোলাবাজারে ডলার খুঁজছে।

ব্যাংক কর্মকর্তারা বলছেন,  আমদানি ব্যয় বৃদ্ধি ও প্রবাসী আয় বা রেমিট্যান্স কমে যাওয়ায় দেশে  ডলারের তীব্র সংকট তৈরি হয়েছে। এজন্য প্রতিনিয়ত বাড়ছে ডলারের দাম। এতে রিজার্ভ থেকে ডলার ছেড়ে বাজার নিয়ন্ত্রণে রাখার চেষ্টা করছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। তবুও প্রতিনিয়ত দামও বাড়াচ্ছে। এরপরও সংকট কাটছে না। এদিকে বাংলাদেশ ব্যাংক যে দামে ডলার বিক্রি করছে, বাজারে তার চেয়ে ৩-‍৪ টাকা বেশি দরে কেনাবেচা হচ্ছে। ফলে আমদানিকারকদের বেশি দামে ডলার কিনতে হচ্ছে। অনেক ব্যাংক পণ্য আমদানির ক্ষেত্রে প্রতি ডলারের দাম ১০১ টাকা পর্যন্ত নিয়েছে। কোনও কোনও ব্যাংক প্রতি ডলারে ১০০ টাকা দিয়েও প্রবাসী আয় পাচ্ছে না।

এদিকে বাজার স্থিতিশীল করতে গত অর্থবছরের ধারাবাহিকতায় নতুন অর্থবছরেও বিদেশি মুদ্রার সঞ্চয়ন বা রিজার্ভ থেকে ডলার বিক্রি করে চলেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। ১ জুলাই শুরু হওয়া ২০২২-২৩ অর্থবছরের ১৮ দিনে (১ থেকে ১৮ জুলাই) ৬৮ কোটি ডলার বিক্রি করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এর বিপরীতে বাজার থেকে তুলে নেওয়া হয়েছে ৬ হাজার ৩৮৮ কোটি টাকা (প্রতি ডলার ৯৩ টাকা ৯৫ পয়সা)। এর ফলে রিজার্ভ দুই বছর পর ৩৯ বিলিয়ন ডলারের ঘরে নেমে গেছে।


এএজে
গুগল নিউজে (Google News) দৈনিক মতবাদে’র খবর পেতে ফলো করুন