সাঁকো দিয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পার হচ্ছে দুই পাড়ের মানুষ


:কাউখালী উপজেলার সীমান্তবর্তী শিয়ালকাঠি ইউনিয়নের জোলাগাতি খালে বাঁশের সাঁকো দিয়ে জীবনের ঝুকি নিয়ে পারাপার হচ্ছে দুই পাড়ের স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা ও উপজেলাগামী জনসাধারণ।
ইউপি সদস্য নুরু মিয়ার বাড়ি সংলগ্ন ৫০/৬০ বছর ধরে বাঁশ ও সুপারিগাছ দিয়ে নির্মিত সাঁকো নিয়ে এই আধুনিক যুগেও চরম ভোগান্তিতে আছে কাউখালী এবং ভাণ্ডারিয়া উপজেলার সংশ্লিষ্ট বাসিন্দারা।
তিনটি বাজার, দুটি মাদ্রাসা, দুটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়, দুটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ঝুকি নিয়ে পারাপার হচ্ছে প্রতি নিয়ত।
এছাড়াও ভারী জিনিস পত্র বহনেও চরম ঝুঁকিতে রয়েছে দুই পাড়ের বাসিন্দারা। এলাকার সাধারণ মানুষ এবং শিক্ষার্থীরা জানান অনেক ঝুঁকি নিয়ে বর্ষা মৌসুমে ভরা খালে অনেক স্রোতের সময় পাড়াপাড় হতে হয়, এছাড়া এলাকায় উৎপাদিত রবি শস্য ও ফসল নিয়ে পাড়াপাড়ে আতংকে কমদামে বিক্রি করতে হচ্ছে।
অন্যএলাকার লোকজন বাঁশের সাঁকোর অজুহাতে ছেলে- মেয়েদের সঙ্গে বিবাহ দিতে চায় না। আত্মীয় স্বজন বেড়াতে আসেনা। কেউ অসুস্থ হয়ে পড়লে জরুরী ভাবে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া যায় না। নৌকা বা ভিন্ন পন্থা অবলম্বন করতে হয়।
৫ নম্বর শিয়ালকাঠি ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো. গাজী ছিদ্দিকুর রহমান সাংবাদিকদের জানান সাঁকো টি অনেক বড়ো বিধায় পরিষদের পুল নির্মানের বরাদ্দ নেই। উপজেলা সমন্বয় মিটিং সহ বিভিন্ন দপ্তরে যোগাযোগ করে ও কোনো সেতু নির্মাণের ব্যাবস্থা করতে পারিনি।
কাউখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সজল মোল্লা জানান সরকারি বরাদ্দ ছাড়া নির্মাণ করা সম্ভব না। বরাদ্দ পেলে একটা পুলের ব্যাবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এইচকেআর
