ঢাকা মঙ্গলবার, ০৮ জুলাই ২০২৫

Motobad news

প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘরে পাল্টে গেছে ভূমিহীদের জীবন

প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘরে পাল্টে গেছে ভূমিহীদের জীবন
গুগল নিউজে (Google News) দৈনিক মতবাদে’র খবর পেতে ফলো করুন

ভোলা সদরের ভেদুরিয়া ইউনিয়নের রুমা বেগম এতোদিন থাকতেন নদীর পাড়ে। ঝড়-বৃষ্টিতে অন্যের ঘরে আশ্রয় নিয়েও তাকে কাটাতে হয়েছে মানবেতর জীবন।

কিন্তু এখন আর সে চিত্র নেই। প্রধানমন্ত্রীর ঘর পেয়ে আরামদায়ক জীবন ফিরে পেয়েছেন। পরিবারের ৭ সদস্য নিয়ে ভালো আছেন তিনি। এখন অনেকটাই খুশি, স্বপ্ন দেখছেন ঘুরে দাঁড়ানোর।

শুধু রুমা বেগম নয়, তাঁর মতো অনেকেই মাথা গোজার ঠাই পেয়েছেন। নদী ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্ত ছিন্নমূল ভূমিহীন এসব পরিবার নতুন ঘর পেয়ে খুশিতে আত্মহারা।

সেমি পাকা বাড়ি, বিশুদ্ধ পানি, বিদ্যুৎ ও স্বাস্থ্য সম্মত টয়লেট-বাথরুম পেয়ে পাল্টে গেছে এসব মানুষের জীবন। ভূমিহীনরা মনে করছেন এই ঘরই তাদের নিরাপত্তা দিচ্ছে। যা কখনই তাঁরা ভাবেননি। জীবন-যাত্রা পাল্টে যাওয়ার এমনই গল্প প্রায় ভোলার ৪ হাজার ভূমি ও গৃহহীনের।

প্রধানমন্ত্রীর উপহারের  ঘর পেয়ে পাল্টে গেছে ভোলার ভূমীহীন পরিবারের জীবন-জীবিকা। তাঁরা খুঁজে পেয়েছেন স্বাভাবিক জীবন। এখন নতুন করে স্বপ্ন দেখছেন ঘুরে দাঁড়ানোর।

তাঁরা মনে করছেন কষ্টের জীবন শেষ হয়ে গেছে তাদের। এই ঘর দিয়েছে তাদের নিরাপত্তা। নতুন ঘরে আশ্রয় নেওয়া জসিমেরর স্ত্রী মিতু বলেন, ঘর পাওয়ার আগে ব্যাংকেরহাট এলাকায় ঘর ছিল, নিজস্ব জমি না থাকায় অন্যের জমিতে থাকতে হতো। এখন ভালো আছেন তিনি।

আরেক বাসিন্দা অটোরিকশা চালক ইউসুফের স্ত্রী সোনিয়া বেগম বলেন, আগে ভাড়া বাড়িতে দিন কাটাতে হয়েছে। পরিবার-পরিজনের ভরণপোশন আর ঘড় ভাড়ার চাপ থাকায় স্বাভাবিক ছিল না জীবন-জীবিকা। এখন নতুন ঘর পেয়ে ভালো আছি।


জেলে জহিরুলের স্ত্রী রেখা বেগমের গল্পটাও যেন একই রকম। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর ঘর পেয়ে অনেক ভালো আছেন তিনি।

ইব্রাহামের স্ত্রী  সুরমা বেগম বলেন, আমাদের ঘরবাড়ি নদীতে ভেঙে যায়। জায়গা জমি কিছুই ছিল না, নদীর পাড়ে থাকতাম। ঝড়-বৃষ্টি মাথায় নিয়ে কাটাতে হয়েছে। এখন পরিবারেরর ৫ সদস্য নিয়ে শান্তিতে আছি, নিরাপদে আছি।

এ সময় লাল সবুজ রঙের এসব ঘরে বসবাস করা পরিবারগুলো প্রধানমন্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।

ভোলা সদরের ভেদুরিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোস্তফা কামাল বলেন, প্রধানমন্ত্রীর ঘর পেয়ে বাসিন্দারা অনেক ভালো আছেন। তাদের আরও সুবিধা নিশ্চিত করা হলে জীবনমানের আরও উন্নতি হবে।

ভোলার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) তামিম আল ইয়ামীন বলেন, নতুন ঘর পেয়ে ভূমিহীনদের  জীবনমানের উন্নতি হয়েছে। তারা শুধু ঘরের মালিক নন, একই সঙ্গে তারা জমিরও মালিক। তাদের দুঃখ কষ্ট নেই, সবাই অনেক খুশি। থাকতে পারছেন নিরাপদে।

উল্লেখ্য, মুজিব বর্ষ উপলক্ষে ভোলায় ৩ দফায় ২ হাজার ৯১৩টি পরিবারকে উপহারের ঘর দেওয়া হয়েছে।


এইচকেআর
গুগল নিউজে (Google News) দৈনিক মতবাদে’র খবর পেতে ফলো করুন