নীলকম ইউনিয়নে স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থীর নির্বাচনি অফিস ভাংচুর, আহত ২৪


ভোলার চরফ্যাশন উপজেলার নীলকম ইউনিয়নে মোটর সাইকেল প্রতীকে স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী ইকবাল হাসান লিখনের নির্বাচনি অফিসে হামলা ভাঙচুর করার অভিযোগে উঠেছে।
এ হামলায় চেয়ারম্যান প্রার্থীর ২৪ জন কর্মী আহত হয়েছেন। এসময় ১০টি মটর সাইকেল, ৮-১০ টি রিক্সা সহ বাজারের বিভিন্ন স্থাপনা ভাংচুর করা হয়।
রবিবার (১৮ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ৭টার দিকে উপজেলার নীলকমল ইউনিয়নের ঘোষের হাট বাজারে এ ঘটনা ঘটে। হামলার ঘটনায় স্থানীয়দের মাঝে আতঙ্ক বিরাজ করছে। আহতরা হলেন, খোরশেদ (৫০), মুসা (৬০), ইসরাফিল (৪০), ইমরান (২০), রুবেল (২৪), নাঈম (১৮), পাভেল (২০), মনির (২৪), তানভির (১৫), লাইজু (২৪), মহসিন সহ আরো অনেকে।
স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী ইকবাল হাসান লিখন অভিযোগ করেন, রবিবার রাতে রিক্সায় মাইকে তাঁর নির্বাচনি প্রচারণা চালাচ্ছিল নাঈম। এসময় নৌকা মার্কার প্রার্থী আলমগীর হাওলাদারের কর্মীরা নাঈম ও রিক্সা চালককে মারধর করে। এ ঘটনা তাঁর কর্মীরা জানতে পেরে ঘটনাস্থলে ছুটে আসলে তাদেরও মারধর করা হয়। এতে ২৪ কর্মী আহত হয়।
তবে এ অভিযোগ অস্বিকার করে নৌকা মার্কার প্রার্থী আলমগীর হাওলাদার জানান, কোন নেতাকর্মীর উপর হামলা চালানো হয় নাই। আগামী ২৯ ডিসেম্বর নীলকমল ইউনিয়ন পরিষদ অমি বিজয়ী হব। এ বিষয়টি বুঝতে পেরে প্রতিপক্ষ প্রার্থী নিজেদের মধ্যে হামলার ঘটনা ঘটিয়ে আমাদের উপর দায়ভার দিচ্ছে। আমি এই সহিংসতা বন্ধ এবং সুস্থ নির্বাচন দাবি জানাচ্ছি। এদিকে অভিযোগ উঠেছে পুলিশ নিরব দর্শকের ভূমিকা পালন করেছে। এ কারণেই দু পক্ষের হামলা সংঘর্ষের রূপ নিয়েছে।
তবে দুলাল হাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আনোয়ার হোসেন জানান , পুলিশের সামনে কোন হামলার ঘটনা ঘটেনি। হামলার খবর শুনে ঘটনাস্থলে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রে আনে।
এইচকেআর
