একতারা হাতে প্রচারে ব্যস্ত হিরো আলম


এক সঙ্গে দুটি আসনে উপনির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে অংশ নিয়েছেন আশরাফুল আলম (হিরো আলম)। তাই অন্য প্রার্থীদের চেয়ে তার ব্যস্ততাও বেশি। প্রচারেই দিনরাত কেটে যাচ্ছে তার।
আদালতের রায়ে প্রার্থিতা ফিরে পাওয়ার পর থেকেই মাঠে রয়েছেন হিরো আলম। আজ শনিবার দুপুরে বগুড়া শহরের সাতমাথা এলাকায় নির্বাচনী প্রতীক একতারা হাতে দোকানে দোকানে গিয়ে ভোট চেয়েছেন তিনি।
হিরো আলম বলেন, ‘এক সঙ্গে দুটি আসন থেকেই নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার কারণে সব ভোটারদের কাছে যাওয়া সম্ভব হচ্ছে না। তবে প্রচারে কমতি রাখিনি। প্রতিটি এলাকায় যাওয়ার চেষ্টা করছি। আশা করছি, দুটি আসনের জনগণই আমাকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করবেন।’
সরেজমিনে দেখা গেছে, হিরো আলম পিকআপে চড়ে ও হেঁটে লিফলেট বিতরণ করে প্রচার চালাচ্ছেন। পিকআপে ছিল ছোট মঞ্চ এবং একতারা প্রতীক-সংবলিত ব্যানার ও মাইক।
প্রচার নিয়ে হিরো আলম বলেন, ‘জনগণের ভালোবাসা পেয়ে আমি ধন্য। হাইকোর্ট থেকে অনুমতি আনতে পেরেছি, তারপর ভোট করতে পারছি। এরপর যদি আমি হেরেও যাই তাও খুশি। কারণ এত মানুষের ভালোবাসা পেয়ে আমি খুশি।’
ভালো সাড়া পাচ্ছেন জানিয়ে হিরো আলম বলেন, ‘সবাই আমাকে বলেছিল এবার ভোট দেওয়ার কোনো ইচ্ছাই ছিল না। ভোটকেন্দ্রেও যাওয়ার ইচ্ছা ছিল না। কিন্তু যেহেতু তুমি প্রার্থী হয়েছ তাই একটা ভোট দেব।’
তিনি বলেন, ‘আদালতের ন্যায়বিচার পেয়েই এলাকায় প্রচার শুরু করেছি। আজ সকাল থেকে কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে আমার নির্বাচনী এলাকায় গণসংযোগে নেমেছি। প্রচারে ভোটারদের অভাবনীয় সাড়া পাচ্ছি। অনেকেই আমাকে নিজের সন্তানের মতো দোয়া দিয়েছেন।’
হিরো আলম আরও বলেন, ‘আমি আপনাদেরই সন্তান, আমাকে আপনাদের ভালোবাসা থেকে বঞ্চিত করবেন না। আমি চাইব আপনারা আমাকে ভোট দিয়ে জয়ী করবেন। আমি এমপি হলে বগুড়ায় বিমানবন্দর করব। বগুড়া রেললাইন শহরের বাইরে নিয়ে যাব। শহরকে যানজট মুক্ত করতে যা কিছু করা দরকার তার সবই করব।’
আগামী ১ ফেব্রুয়ারি বগুড়া-৪ (কাহালু-নন্দীগ্রাম) এবং বগুড়া-৬ (সদর) আসনে উপনির্বাচনের ভোটগ্রহণ হওয়ার কথা রয়েছে।
এএজে
