ঢাকা শুক্রবার, ১৫ অগাস্ট ২০২৫

Motobad news
শিরোনাম
  • শের-ই বাংলা মেডিকেলে ভাঙচুরের ঘটনায় রনি ও কাফির বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ বরিশালে অস্ত্র-ইয়াবাসহ 'মাদক সম্রাট' রাসেল গ্রেফতার এক ইলিশ বিক্রি হলো ৫৬০০ টাকা আল্লামা সাঈদী‎ জীবন ও কর্ম দৃষ্টান্ত হিসেবে রেখে গেছেন সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের প্রশিক্ষণ ভাতা বাড়লো দেশে আর চাঁদাবাজ-দখলবাজ দেখতে চাই না: ফয়জুল করীম শেখ হাসিনাসহ ২৮৬ জনের বিরুদ্ধে সরকার উৎখাতের প্রমাণ পেয়েছে সিআইডি ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে এসে ভিডিও কল, আওয়ামী লীগ সন্দেহে গণপিটুনি শেবাচিম হাসপাতালে কর্মচারীদের ওপর হামলার ঘটনার তদন্তে কমিটি বরিশালে স্বাস্থ্যখাত সংস্কার ‍আন্দোলন থেকে সরে দাঁড়ালো ‍একাংশ, প্রতিরোধের ঘোষণা
  • বাংলাদেশ দুঃসময়ের বন্ধুদের ভোলে না: প্রধানমন্ত্রী

    বাংলাদেশ দুঃসময়ের বন্ধুদের ভোলে না: প্রধানমন্ত্রী
    গুগল নিউজে (Google News) দৈনিক মতবাদে’র খবর পেতে ফলো করুন

    মহান মুক্তিযুদ্ধের সেই দুঃসময়ে যারা বাংলাদেশের পাশে ছিলেন তাদের অবদানের কথা স্মরণ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আমরা কখনো আমাদের বন্ধুদের ভুলি না।

    বৃহস্পতিবার (২৭ এপ্রিল) স্থানীয় সময় বিকেলে টোকিও’র জাপানের রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন আকাসাকা প্যালেলে মুক্তিযুদ্ধে অবদান রাখা চার জাপানি নাগরিককে ‘ফ্রেন্ডস অব লিবারেশন ওয়ার অনার’ প্রদান অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

    প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, আমার মনে হয়, বাংলাদেশই বোধ হয় একমাত্র দেশ মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় যারা আমাদের পাশে ছিলেন, যারা আমাদের সহযোগিতা করেছেন, আমি সরকারে আসার পর থেকে তাদের খোঁজ করেছি, খুঁজে বের করেছি এবং আমাদের সাধ্যমতো সবাইকে আমরা সম্মান করার চেষ্টা করেছি, সম্মান দিয়েছি।

    শেখ হাসিনা বলেন, সেই সময় (১৯৭১) যারা আমাদের পাশে ছিলেন, তাদের কখনো আমরা ভুলতে পারি না; তাদের অবদান আমরা ভুলতে পারি না।

    মুক্তিযুদ্ধে অবদান রাখা ব্যক্তিদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা বাঙালি, আমাদের স্বাধীনতা অর্জন করেছি অনেক রক্তের বিনিময়ে। কিন্তু আমাদের পাশে থেকে যারা সহযোগিতা করেছেন তাদের প্রতি আমাদের কৃতজ্ঞতার শেষ নেই।

    সম্মাননাপ্রাপ্ত ৪ জাপানি নাগরিকের অবদানের কথা স্মরণ করে শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশ আজকে আরও চারজন মহান বন্ধুকে সম্মান জানিয়েছে, যারা আমাদের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন। তারা আমাদের অসহায় মানুষদের জন্য মানবিক ত্রাণ, চিকিৎসা সুবিধা পাঠিয়েছিলেন।

    মুক্তিযুদ্ধে অবদান রাখায় ইতোপূর্বে সম্মাননা পাওয়া ৮ জন জাপানি নাগরিকের কথাও স্মরণ করেন তিনি।

    শেখ হাসিনা বলেন, যুদ্ধের ওই সংকটময় মুহূর্তে, জাপানি বন্ধুরা আমাদের দুর্দশা বুঝতে পেরেছিলেন এবং মানবতার জন্য এগিয়ে গিয়েছিলেন। এজন্য তারা (জাপানিরা) অনেক চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়েছিলেন, কিন্তু পিছিয়ে পড়েননি। তাদের নিঃস্বার্থ ভালোবাসা আমাদের আত্মাকে পুনরুজ্জীবিত করেছিল। সবচেয়ে অবিস্মরণীয় ছিল জাপানি স্কুলের বাচ্চাদের কথা, যারা আমাদের সাহায্য করার জন্য তাদের টিফিনের অর্থ সঞ্চয় এবং দান করেছিল।

    জাপানের সঙ্গে বাংলাদেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাপান-বাংলাদেশ বন্ধুত্ব অটুট থাকুক। আমরা শুধুমাত্র আমাদের বন্ধুদের সম্মান করি না, জাপানের সঙ্গে বন্ধুত্বের বন্ধনও উদযাপন করি।

    জাপানের সঙ্গে গত ৫০ বছর ধরে চলে আসা বন্ধুত্ব আগামী প্রজন্ম আরও এগিয়ে নেবে বলে প্রত্যাশা করেন শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, আমি নিশ্চিত, জাপানের জনগণ অতীতের মতো ভবিষ্যতেও আমাদের পাশে থাকবে। গত পঞ্চাশ বছর ধরে চলে আসা আমাদের দীর্ঘস্থায়ী বন্ধুত্ব ও অংশীদারিত্ব আগামী বছরগুলিতেও দুই দেশের নতুন প্রজন্ম সামনে এগিয়ে নিয়ে যাবে।

    সব সময় বাংলাদেশের পাশে থাকার জন্য জাপানের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের বিশ্বাস জাপান অতিতের মতো আমাদের পাশে থাকবে। অতীতের মতো আমাদের প্রয়োজনে জাপান সরকার সব সময় আমাদের পাশে থাকবে।


     


    এইচকেআর
    গুগল নিউজে (Google News) দৈনিক মতবাদে’র খবর পেতে ফলো করুন

    সর্বশেষ