রাজধানীর সাত মসজিদে ফুল গাছে সজ্জিত হচ্ছে সড়কের বিভাজক


রাজধানীর ধানমন্ডির সাত মসজিদ সড়কের বিভাজক সজ্জিত করা হচ্ছে বাহারি ফুলের গাছ লাগিয়ে। রঙ্গন, কামিনী, বাগানবিলাস, চন্দ্রপ্রভা (টেকোমা) ও কাঞ্চন ফুলে সাত মসজিদ সড়কের বিভাজককে সাজিয়ে তুলতে এসব ফুলের গাছ লাগানো শুরু করেছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন।
প্রতিটি গাছের মধ্যে ৪-৫ ফুট দূরত্ব রেখে সাত মসজিদ সড়কের মোট ১ দশমিক ৭ কিমি দৈর্ঘ্যের বিভাজকের মধ্যে ইতোমধ্যে ৮০০ মিটার অংশে প্রায় ৬৫০টি ফুলের গাছ লাগানো হয়েছে।
সড়ক বিভাজকে ফুলের গাছ লাগানো প্রসঙ্গে ‘ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের বিভিন্ন অবকাঠামো উন্নয়ন (মেগা)’ প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক মো. খায়রুল বাকের জানান, আমরা সাত মসজিদ সড়কের বিভাজকে ফুলের গাছ লাগানো শুরু করেছি। পুরো বিভাজকে প্রায় ১ হাজার ৫০০ গাছ লাগানো হবে। আশা করি, আগামী ২ দিনের মধ্যে সড়ক বিভাজককে ফুলের গাছে সজ্জিত করতে আমাদের কার্যক্রম সম্পন্ন হবে।
১ হাজার ৭০০ মিটার দৈর্ঘ্যের এ সড়ক বিভাজকে ফুলের গাছ লাগানো এবং সেজন্য প্রয়োজনীয় ভিটি বালু, মাটি, গোবর ও সার ক্রয়ে মোট ১০ লাখ ৪০ হাজার টাকা ব্যয় হবে।
কয়েকদিন আগে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপসও জানান যে, ধানমন্ডির সাত মসজিদ এলাকার সড়কের বিভাজকে কোনো বড় ধরনের গাছ নয়, বরং ফুলের গাছ লাগানো হবে। সড়কের মাঝখানে বড় ধরনের গাছ লাগালে তাতে প্রাকৃতিক দুর্যোগসহ বিভিন্ন সময় জানমালের ক্ষয়ক্ষতি হওয়ার আশংকা থাকে।
এর আগে ৮ মে জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে ধানমন্ডি এলাকার সাত মসজিদ সড়ক বিভাজকের গাছ কাটা বন্ধ করে সেখানে নতুন করে গাছ রোপণের দাবি জানিয়েছে সাতমসজিদ সড়ক গাছ রক্ষা আন্দোলন কমিটি।
সংবাদ সম্মেলন শেষে ঢাকা নগরভবনে দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র বরাবর আন্দোলনকারীরা গাছ কাটা বন্ধ এবং কাটা গাছের স্থানে দেশীয় প্রজাতির গাছ লাগানোর জন্য ৩৭ জন নাগরিকের সই সংবলিত চিঠি দেন।
আরজেএন
