ঢাকা শুক্রবার, ১৫ অগাস্ট ২০২৫

Motobad news
শিরোনাম

ভোট দিচ্ছে গাজীপুরের ভোটাররা

ভোট দিচ্ছে গাজীপুরের ভোটাররা
গুগল নিউজে (Google News) দৈনিক মতবাদে’র খবর পেতে ফলো করুন

জাতীয় নির্বাচনের আট মাস আগে সিটি করপোরেশনের নতুন জনপ্রতিনিধি বেছে নিতে ভোট দিচ্ছে গাজীপুরের পৌনে ১২ লাখ ভোটার।

বৃহস্পতিবার সকাল ৮টায় নির্ধারিত সময়েই ৪৮০টি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে, একটানা চলবে বিকাল ৪টা পর্যন্ত।

এ নির্বাচনের সহকারী রিটানিং কর্মকর্তা এ এইচ এম কামরুল ইসলাম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “এখন পর্যন্ত কোথাও কোনো সমস্যার খবর পাওয়া যায়নি। কেন্দ্রে কেন্দ্রে ভোটারদের উপস্থিতি বেশ ভালো।”

দেশের সবচেয়ে বড় এ সিটি করপোরেশনে ভোট নেওয়া হচ্ছে ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিনে। প্রতিটি কেন্দ্রে বসানো সিসি ক্যামেরার মাধ্যমে ঢাকা থেকে সরাসরি নজর রাখছে নির্বাচন কমিশন।

এ নিয়ে তৃতীয়বারের মত ভোট হচ্ছে গাজীপুর সিটি করপোরেশনে। এই ভোটের মধ্য দিয়ে একজন নতুন মেয়রের পাশাপাশি ৫৭ জন কাউন্সিলর এবং ১৯ জন সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলরকে নির্বাচিত করবেন ভোটাররা।

১১ লাখ ৭৯ হাজার ৪৭৬ জন ভোটারের এ নির্বাচনে মেয়র, সাধারণ ও সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে লড়ছেন ৩৩২ জন।

বিএনপি এ নির্বাচন বর্জন করলেও মেয়র পদে ভোটের লড়াইয়ে আছেন বিএনপির একজন সাবেক মেয়র প্রার্থীর ভাতিজা। বহিষ্কৃত সাবেক মেয়রের প্রার্থিতা না টিকলেও মাকে ভোটের মাঠে নামিয়ে তিনি নির্বাচন জমিয়ে দিয়েছেন।

জাতীয় পার্টির প্রার্থী সাবেক এক আমলাসহ মেয়র পদে প্রার্থী হয়েছেন মোট আটজন। জাতীয় নির্বাচনের আগে আগে স্থানীয় সরকারের এ নির্বাচনে নৌকার প্রার্থী ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে পারেন কিনা তা দেখার অপেক্ষায় পুরো দেশ।

নির্বাচন কমিশনও বলছে, গাজীপুরের নির্বাচন ‘অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ’। দেশের মানুষ, বিভিন্ন দেশ ও সংস্থা তাকিয়ে আছে এ নির্বাচনের দিকে। সেজন্য এ নির্বাচন ‘সুন্দর, শান্তিপূর্ণ, অবাধ ও নিরপেক্ষ’ করতে চায় কমিশন।

আর গাজীপুরে ভোটের রেশ খুলনা, রাজশাহী, সিলেট ও বরিশাল সিটি করপোরেশন নির্বাচনেও ধরে রাখতে চাইবে ইসি, যে ভোটগুলো আগামী মাসেই হবে।

নির্বাচন কমিশনার আহসান হাবিব খান ভোটের আগের দিন বলেছেন, “আমাদের বার্তা স্পষ্ট-আমরা সবার জন্য সমান সুযোগ তৈরি করছি, অবাধ সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচন করায় আমরা অঙ্গীকারাবদ্ধ এবং নির্বাচনে অনিয়ম বিশৃঙ্খলা করলে কোনো ধরনের ছাড় নেই। আশা করছি আমরা সুন্দর নির্বাচন উপহার দিতে যাচ্ছি।”

নির্বাচন বিশ্লেষক আব্দুল আলীম মনে করেন, বিএনপির বর্জনে এ সিটির নির্বাচন পুরোপুরি অংশগ্রহণমূলক বা প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক না হলেও ভোটে মানুষের অংশগ্রহণ ও ভোটাধিকার যেন ভালোভাবে হয় সেদিকে নজর থাকবে সবার।

তিনি বলেন, “প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক নির্বাচন না হলে তার গ্রহণযোগ্যতা এমনিতেই কমে যায়। এরপরও অনিয়ম ও বিধি লঙ্ঘনের বিরুদ্ধে ইসির কঠোর পদেক্ষপ দৃশ্যমান হলে এবং ভোটাররা তাদের ভোট দিতে পারলে আমরা এটা ভোটারদের অংশগ্রহণমূলক বলতে পারব।”

সামনে জাতীয় নির্বাচন। কাজেই সিটি নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক না হলেও ভালো নির্বাচন হলে কমিশন এক ধরনের স্বস্তিতে থাকবে বলেই আব্দুল আলীমের বিশ্বাস। 


আরজেএন
গুগল নিউজে (Google News) দৈনিক মতবাদে’র খবর পেতে ফলো করুন

সর্বশেষ