মনপুরায় আজও পানিবন্দি ১০ গ্রামের মানুষ


ভোলার মনপুরায় প্রবল বর্ষণ ও মেঘনার পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়ে ৪দিন ধরে পানিবন্দি রয়েছে ১০ গ্রামের বিপুল সংখ্যক মানুষ। ফলে ওই গ্রামের বাসিন্দাদের মধ্যে চরম দুর্ভোগ দেখা দিয়েছে।
ভুক্তভোগীরা জানিয়েছেন, ঘরবাড়ি সব পানির নিচে। তাই গত ৪দিন ধরে চুলায় হাড়ি ওঠেনি। শুকনা খাবারই তাদের ভরসা এখন।
উপজেলা থেকে বিচ্ছিন্ন বেড়িবাঁধহীন চরকলাতলীর অবস্থাও একই। সেখানে প্রায় ২০ হাজার বাসিন্দা গত ৪দিন ধরে পানিবন্দী বলে জানিয়েছেন কলাতলী চরের ইউপি সদস্য আবদুর রহমান। তাঁরা জানিয়েছেন, সেখানাকার মানুষও অর্ধহারে-অনাহারে দিনযাপন করছে।
এদিকে মেঘনার পানি গত তিনদিনের চেয়ে শনিবার কিছুটা কমে বিপদসীমার ৭০ সেন্টিমিটার ওপর প্রবাহিত হচ্ছে বলে জানিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) ডিভিশন-২ এর নির্বাহী প্রকৌশলী হাসান মাহমুদ।
সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, শনিবার দুপুর ১২টায় উপজেলার হাজিরহাট ইউনিয়নের চরযতিন, সোনারচর, দাসের হাট, চরমরিয়ম, চরজ্ঞান গ্রামের বেড়ীর ভিতর বাহিরে জোয়ারে প্লাবিত হয়ে রয়েছে। এছাড়াও উপজেলার উত্তর সাকুচিয়া ইউনিয়নের আলমনগর, মাষ্টারহাটের পশ্চিম পাশ বেড়ির বাহিরে পানিবন্দি অবস্থায় রয়েছে বাসিন্দারা। অপরদিকে মনপুরা ইউনিয়নের কাউয়ারটেক, পূর্ব আন্দিরপাড় গ্রামের বেড়ির বাহিরে একই অবস্থা।
দুর্গত এলাকার হাসিনা,করিমন, শামসুন নাহার, শবনম, রাহাত, করিমসহ একাধিক মানুষ জানান, ৪ দিন ধরে পানিবন্দি অবস্থায় অর্ধহারে-অনাহারে দিনযাপন করছি। কোন সরকারি সাহায্য সহযোগিতা পায়নি। আমরা কোনমতে মুড়ি ও পানি খেয়ে জীবনধারণ করছি।
হাজীরহাট ইউনিয়ন পরিষদের ইউপি চেয়ারম্যান নিজাম উদ্দিন হাওলাদার জানান, ৪ দিন ধরে পানিবন্দি অবস্থায় রয়েছে ৫টি গ্রাম। সরকারিভাবে সাহায্য আসলে তালিকা করে সহযোগিতা করা হবে।
এ বিষয়ে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা ফজলুল হক জানান, সরেজমিনে ঘুরে তালিকা করে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
আরজেএন
