প্রতিবন্ধী তরুণীকে খাবারের লোভ দেখিয়ে ধর্ষণ, যুবক আটক


ভোলার বোরহানউদ্দিন উপজেলায় মানসিক ও বাক প্রতিবন্ধী এক তরুণীকে ধর্ষণের অভিযোগে গিয়াসউদ্দিন (৩০) নামে এক যুবককে আটক করেছে পুলিশ। আটক গিয়াসউদ্দিন উপজেলার কুতুবা ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের লক্ষীপুর গ্রামের সাহেব আলীর ছেলে।
গতকাল মঙ্গলবার দিবাগত রাতে অভিযান চালিয়ে তার নিজ বাড়ি থেকে তাকে আটক করা হয়। এর আগে গত সোমবার দিবাগত রাত ১০টার দিকে উপজেলার ওই ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডে প্রতিবন্ধী তরুণীর বাসায় এ ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় প্রতিবন্ধী তরুণীর মা মঙ্গলবার দিবাগত রাত ৯টার দিকে বোরহানউদ্দিন থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। প্রতিবন্ধী ওই তরুণীর মা জানান, তার মেয়ে শারীরিক ও বাক প্রতিবন্ধী হওয়ায় ঘরের পেছন তাকে ভিন্ন দরজা দিয়ে একটি ঘর বানিয়ে দেওয়া হয়।
গিয়াসউদ্দিন ওই এলাকার চৌরাস্তায় চায়ের দোকান করার সুবাদে গভীর রাতে দোকান বন্ধ করে বাড়ি ফেরার পথে জানালা দিয়ে পটেটো ও কেকসহ বিভিন্ন খাবার দিয়ে যেতেন। এ সুযোগে বিভিন্ন সময়ে ওই খাবারের লোভ দেখিয়ে ওই তরুণীর ঘরের দরজা খুলে ভেতরে প্রবেশ করে একাধিক দিন তার সাথে শারীরিক মেলামেশা করেন।
তিনি আরো জানান, এইভাবে কয়েকদিন যাওয়ার পর ওই তরুণী বিষয়টি বিভিন্ন ইঙ্গিতের মাধ্যমে তার বাবা-মাকে বুঝানোর চেষ্টা করতেন।
বিষয়টি প্রথমে কর্ণপাত না করলেও মেয়ে বার বার বলার কারণে তারা বিষয়টি দেখার জন্য গত সোমবার দিবাগত রাত ১০টার দিকে আড়ি পেতে থাকেন। এ সময় গিয়াসউদ্দিন ওই তরুণীর ঘরে আসলে তরুণীর বাবা তাকে পেছন থেকে ধরে ফেলেন। এক পর্যায়ে তার বাবাকে ইট দিয়ে পিটিয়ে রক্তাক্ত করে ছুটে পালিয়ে যান গিয়াস উদ্দিন।
মঙ্গলবার সকালে স্থানীয় ইউপি সদস্যসহ গণ্যমান্য ব্যক্তিদের কাছে ওই তরুণীর পরিবার বিষয়টি জানায়। এ দিকে ধর্ষণের ঘটনা এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে প্রভাবশালী একটি মহল গিয়াসউদ্দিনকে বাঁচাতে মরিয়া হয়ে ওঠে। এলাকার প্রভাবশালী ব্যক্তিরা বিচারের নামে টালবাহানা করতে থাকলে মঙ্গলবার রাত ৯টার দিকে তরুণীর মা বাদী হয়ে বোরহানউদ্দিন থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগের আলোকে থানা পুলিশ গিয়াসউদ্দিনকে আটক করে।
বোরহানউদ্দিন থানার ওসি মনির হোসেন মিঞা জানান, অভিযোগের ভিত্তিতে রাতেই অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত গিয়াস উদ্দিনকে আটক করা হয়েছে এবং প্রতিবন্ধী তরুণীকে পুলিশ হেফাজতে নিয়ে আসা হয়েছে। গিয়াস উদ্দিনের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা দায়ের হয়েছে। এ বিষয়ে পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
এইচকেআর
